অনিন্দ্য রায়ের ধারাবাহিক: ফর্মায়েসি
দশম পর্ব
থান বাউক
(Than bauk)
মায়ানমারের একটি কবিতার ফর্ম ‘থান বাউক’।
এই বর্মীয় কবিতা তিন লাইনের। প্রতিটি লাইন চার সিলেবলের।
সিঁড়ির মতো মিলকাঠামো এই ফর্মের বৈশিষ্ট্য; প্রথম লাইনের শেষ সিলেবলের সঙ্গে দ্বিতীয় লাইনের তৃতীয় ও শেষ লাইনের দ্বিতীয় সিলেবলের মিল থাকে।
মিলকাঠামো এইরকম:
x x x ক
x x ক x
x ক x x
এই কবিতা সাধারণত হয় মজার বা এপিগ্রামসুলভ।
বাংলায়:
ভালোবাসা
কারও সাথে
পাশা তো না
যা দু
(Ya-Du)
আরেকটি বর্মীয় আঙ্গিক ‘যা দু’।
এই কবিতা স্তবকভিত্তিক। তিন বা তার চেয়ে কম সংখ্যক পঞ্চক নিয়ে এর গঠন। স্তবকগুলির প্রথম চারলাইনে চারটি করে সিলেবল থাকে, আর পঞ্চম লাইনটি ৫/৭/৯ অথবা ১১ সিলেবলের।
এর মিলকাঠামো:
x x x ক
x x ক x
x ক x খ
x x খ গ
x খ x x গ
প্রথম লাইনের শেষ সিলেবলের সঙ্গে দ্বিতীয় লাইনের তৃতীয় ও তৃতীয় লাইনের দ্বিতীয় সিলেবলের মিল থাকে; তৃতীয় লাইনের শেষ সিলেবলের সঙ্গে মিল থাকে চতুর্থ লাইনের তৃতীয় ও শেষ লাইনের দ্বিতীয় সিলেবলের, চতুর্থ ও শেষ লাইনের অন্ত্যমিল থাকে।
সাধারনত কোনও ঋতুকে বা সেই সময়ের অনুভূতি নিয়ে লেখা হয় ‘যা দু’।
‘যা দু’র জাদু আমরা পেতে পারি বাংলায়:
শরৎ
ছেঁড়া মেঘ দূর
বাতাস ঘুরছে
নূপুর আলো
জ্বালালো যে
ভালোবাসার যন্ত্রণা কি সে বোঝে
রোদে আশ্বিন
ছায়া চিন্তার
এইদিন তার চোখ
অপার সখ্যে
ঘুম ভেঙে দেখি একলা দেবীপক্ষে
