লেখক নয় , লেখাই মূলধন

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৩/০২/১৯

মেলায় যাবার আগেই অভিমন্যুদার মেসেজ— ‘জয় গোস্বামী, শাশ্বতীর বই নিয়ে আজকের ‘রোববার’তে আলোচনা করেছেন’। বইটি প্রেসে। দু-এক কপিও আর নেই। তাপসদা’কে ফোন করতে, কিছু কপি দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
একদিকে ব্রিগেড, আরেকদিকে রবিবারের মেলা… ভিড় নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। কিন্তু মেলায় ঢুকেই দেখি— লোকে লোকারণ্য। দেবু, শতানীক প্রেস থেকে আসবে। ট্রেন লেট, ঢুকেছি বেশ দেরিতে। মেলায় ঢুকেই বিশ্বভারতী আর বাংলা আকাদেমির স্টল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই সংগ্রহ করেছি। অরূপদা একাই ততক্ষণে টেবিল সাজিয়ে বিক্রিবাটা শুরু করেছে।
বর্ধমান থেকে এসেছিল এক অলিখিত প্রেমিকা। স্নেহা। কিছুক্ষণ আড্ডা-ইয়ার্কি হল। তবে, ও বর্ধমানের মিহিদানা না আনলেও দেবু এনেছিল জন্মদিনের পায়েস। অরূপদা, আমি, অর্ণব, তন্ময়, ব্রতীনদা সকলে ভাগাভাগি করে খেলাম।
‘লবণ খেতের জোনাকি’ আমাদের টেবিলের সমস্ত কপি শেষ হয়ে যাওয়ায় আবার সঙ্গীতাদিকে ফোন করে টেবিল থেকে আনালাম। দ্বিতীয় বইটিও এত লোক কিনবে সত্যিই ভাবিনি। আর ‘ফারেনহাইট’ বলেই ছিলাম পুরো মেলা অবধি থাকবে না। পত্রিকা অল্প ছাপব, শেষ হলে রিপ্রিন্ট করব না। আর মাত্র ১০-১২ কপি পড়ে আছে। সবাইকে হয়ত দিতে পারব না।
যাইহোক, আজ টেবিলে এতজন এসেছিল ! নাম উল্লেক করতে গেলে আর এটা ডায়েরি থাকবে না, হয়ে উঠবে একটা স্রেফ নামলিস্ট। কত কত প্রিয় মুখ!
বেরোনোর মুখে কয়েকবার দেখলাম সেই নীল প্রজাপতিকে। আজ সে নীল ডানা খুলে, যেন কিছুটা উদাসীন, কিছুটা এলোমেলো। তবুও এক হলদে আভা ক্রমশ ফাঁকা হওয়া প্যাভিলিয়নকে পরবর্তী দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল।
মেলা থেকে বেরিয়ে শুনি, রাজ্য-কেন্দ্রের নাটক জমে উঠেছে। খেলা ছলছে বাঘ-বন্দি-খেলা। আমরা সাধারণ মানুষ দূর থেকে ভাবছি— ভাবছি আমরা নাটকের ঠিক কোন চরিত্রে আছি? বা আদৌও আমাদের কোন চরিত্র আছে তো?

Facebook Comments

পছন্দের বই