লেখক নয় , লেখাই মূলধন

তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

ভ্যান গগ ও আমি

রাস্তাটি কখনো মরে যাবে না।
আহ্বানে আকাশের দিকে তাকালাম।
পায়ের নিচে পৃথিবী
বলি পর্বের শেষ ঘোড়ার মতো ছটফট করছে।
বন্ধু ভ্যান গগ তৎক্ষনাৎ তাঁর তুলি দিয়ে
দু’টো তারা আর কী অসম্ভব রাত্রি
ঘোড়াটির দিকে ছুঁড়ে,
আমাকে নিয়ে ঢুকে গেলেন
ডানাহীন ক্যানভাসের ভেতর।

শিকার

আধভাঙা স্বপ্নে দেখি,
আমার জন্ম মুখে নিয়ে
শাশ্বত ইঁদুরটি দৌঁড়াচ্ছে।
জন্মটি ঠোঁটে দুলছে,
যেমন হাসনুহানার ফুল
দুলিয়ে দেয় বসন্তের হাওয়া!
এবং
মহান আত্মীয়গণ এই দৃশ্যের প্রতিটি অধ্যায়
উপভোগ করতে করতে বলছেন,
‘চমৎকার ভোজসভার শেষে
ইঁদুরটিকে পুরস্কৃত করা হবে!’

ভ্রষ্ট

রাক্ষস সামলে নেবে ঘেমে ওঠা বুক!
সমুদ্রে যা ভাসিয়ে আসতে চেয়েছিলাম!

হাওয়া দেয়,
এমন হাওয়ার কোনো দাঁত নেই!
শিশুদের কথা বলতে চাওয়ার মতো শব্দ করে বোঝায়
কাছে আসতে!
কাছে গিয়ে দেখি,
রাক্ষস এখন বাউল…

কপালের উপর পোকায় কাটা শালপাতা,
ফাঁক দিয়ে ধরা দিচ্ছে গরবিনী চাঁদ!
ভ্রষ্ট রাক্ষস,
উপহার পাচ্ছে সুর!
উপহার দিচ্ছে কবিতা।

খিদে

প্রতিদিন মানুষের ভুল ঝাঁকায় ভরে
ফেরিওয়ালা ঈশ্বর হেঁটে যান স্বর্গের দিকে।
যাওয়ার পথে পড়ে
আলোমাখা এক সরাইখানা।
ঈশ্বর থামেন!
তাঁর বন্ধু আল্লা
এখানেই ভাত আগলে বসে থাকেন—
একসঙ্গে খাবে বলে!

অন্বেষণে মেঘ জমে ওঠে

বিনুনির শাসন ডিঙিয়ে
প্রিয় পুরুষ,
কখনো আসে না দেওয়ালের দিকে—
যে দেওয়াল পিঠের গল্প জানে।

নারীটিও আসে না হ্রদের কাছে,
অথচ স্তন তার দীর্ঘ হ্রদের মতো চঞ্চল…

মধ্যাহ্ন আদরের পর তারা কেবল
পরস্পরের মুখের দিকে চেয়ে
খুঁজে চলে দাগ!

Facebook Comments

পছন্দের বই