কবর
ফুল দাও, চুপচাপ নিই
ফুল মরে যায়, তাও আসো
এখানে মাটির নীচে
কার মৃত হাড়, কার ছায়া
আলগোছে শুয়ে আছে
কতদিন
তুমি টের পাও?
বিড়াল
দুধের বাটিতে এই দু-দিনেই পোকা পড়ে গেছে
পিঁপড়েরা টেনে নিচ্ছে অবশিষ্ট মাছের কঙ্কাল
মায়ের কান্নার শব্দে মনে পড়ছে কত শত মা-কে
একাত্তর… বাহাত্তর সাল…
জ্যোৎস্না
এখনও সামান্য ঘরে
অন্ধকার দিনগুলো
কীরকম ফিরে ফিরে আসে
নত হয়ে থাকি, তাই
ভুলে থাকি
আপাতত
তোমার দু-হাত ধরি
প্রকাশ্যে, আলোয়
অবৈধ
অনন্তের দিকে আজ শুয়ে আছ মাথা
উঁচু করে,
আর যে দুখানা পা, ছড়াতে ছড়াতে
এই এতদূর নরকে ঠেকেছে
আমি যে সেখানে আছি, দেখা যায়
চুপ মেরে, তক্কে তক্কে আছি
নরকের ভিতরে বসে অনন্তের দিকে
চেয়ে আছি
ঘুম ভেঙে কোনোদিন দেখে ফেলবে
এই আশা নিয়ে
পরিণতি
সেও তো অনেকদিন হয়ে গেল
ভাসানে আর নাচি না
পায়ে কেউ শিকল বেঁধেছে
শরীর আড়ষ্ট হতে হতে
একদিন কাঠ হয়ে যাবে
সবার চোখের জলে
ভরে উঠবে উঠোন আমার
ভেজা কাঠ জ্বলে উঠবে, ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়…
3 replies on “পৃথ্বী বসুর গুচ্ছকবিতা”
ভালো লাগলো পড়ে ।
নতুন প্রজন্মের আমার খুব প্রিয় কবি পৃথ্বী বসু।একগুচ্ছ অসামান্য কবিতা পড়লাম ।ওর কবিতায় একটা নতুন বাঁক এসেছে ।উদাসীনতা দিয়ে ও ছুঁয়ে আছে একটা গোটা জীবন ।কত নিবিড় সম্পর্ক উদযাপন ।ওর লেখায় বড় মায়া ।অদৃশ্য সুতোয় গেঁথে রেখেছে সম্পর্ক আর পরিপ্রেক্ষিত ।অজস্র ধন্যবাদ পৃথ্বী এবং সেলিম ।আমার অকুণ্ঠ ভালোবাসা দুজনের প্রতি ।
কবিতাগুলি ভালো লাগলো। একটা একইরকমের আবহ কবিতাগুলির পিছনে কাজ। একটা রকইরকমের মনখারাপও। যা তীব্র ঝাঁকুনিময় কোনো যন্ত্রণা নয়। শান্ত সমাহিত হারিয়ে ফেলা কিছু যা আসলে ছিল না কোথাও।