সন্দেহ
লোহার পৃষ্ঠা থেকে পাহারা করছে বেড়ালের মাথার সামান্য
একটু ঘুমের মাছ। কাঁটাপোঁতা গলির সন্ধে। নলিকাটা
নদীর পাথর সূর্যাস্ত কাটছে যাঁতি খুলে
বেড়ালের মাথার কিছুটা সন্দেহপ্রবণ কোনো ছায়ার পিস্টন
বনের নীলচে দূর। ছটাক ছটাক ঘরবাড়ি। ফোঁটামাত্র
ছিলকে প্রাণের
তীক্ষ্ণ কুয়াশার নীচে ফিলমক্যান যে চিহ্নে গড়ায়
***
শ্রম
আঙুলে পেরেক ঠুকে মাত্র বললাম
পুরনো জ্যামিতি। রক্তনেভা হাঁস খুলে মুষড়ে উঠছে
লাল গোলকের ছায়া। পা থেকে টুপিয়ে নদীর মুস্কান
প্রেরণা কৌণিক। মাংসাশী হাওয়ার উঠোন
আঁচহীন তাওয়ায় ফোলা রুটি
যেটুকু কামাই। পূর্বাশ্রমে ফোটা ঘিলুর কোরক
পুঁতে রাখা হাড় থেকে পেরেকের জোনাকি অকাতর
***
বটগাছ
বটগাছ ফাঁক হয়ে যেটুকু বাঁচাল
নীচে ঘুঙুরস্তব্ধ মহাকাল
লাভার রঙিন মাছ। ঝাঁঝিশেওলার ঘুম
চাঁদের সুরুয়া ফোটে ঢিমে আঁচে। ঝিঁকের জ্যোৎস্নায়
গুঁড়ি থেকে সাইকেলে এসে এত পাতার হারমোনিয়াম
দুই চাকার ফুলকি থেকে গোঁ ওঠে বেগুনি হাওয়ায়
চিমটের মুখে মাংসপোড়ারাত শূন্য নাচায় আলজিভে
বটগাছ ফাঁক হয়ে অন্ধকাল। ঘিলুর প্রপাত
***
গোধূলি
রঙের গরজ থেকে একলা হচ্ছে পট। মেঘের রক্ত
কবেকার মরচে কামান জেগে খেলার রুপোয়
ঘুমের তলাও। গোলাবারুদের স্তূপে হাড়ের পাতাল
রঙের ইশারা যায় চুলে স্তনে হ্রদের বর্তুল
স্বপ্ন একলা হচ্ছে অপচীয়মান রঙে। মেঘলা কেদারায়
2 replies on “সমীরণ ঘোষের গুচ্ছকবিতা”
এক অনির্বচনীয় সুখানুভূতি! বটগাছ ও গোধূলী বাকরুদ্ধ করে আমায়! শ্রদ্ধা জানাই দাদাকে….
সবকটাই অসাধারণ! কী সুন্দর শব্দ ব্যবহার! যেন নতুন শব্দশিল্প তৈরী হয়েছে!! ❤️❤️