লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কুন্তল কোলের গদ্য

এই দুটো গল্প আমি উৎসর্গ করলাম আমার প্রিয় বাথরুমকে


তুমি অনুভব করো সেই হাগাটা যেটা আমি করে উঠতে পারিনি…

কে যেন পায়ের তলায় জ্বালানো সিগারেট ফেলে চলে গ‍্যাছে— না দেখে ফেলে দিলাম পা— বলে উঠলাম উউউউ— কিছুক্ষণের মধ্যেই চামড়াটা ফুলে গেল— জল জমল তার ভিতর— তৎক্ষণাৎ সেফটিপিন দিয়ে উসকে দিলাম— দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে— বাড়ির বেড়ালটা এসে চুক চুক করে চেটে নিল সেটা তারপর মুখটা বিকৃত করে ধপ শব্দে শুয়ে পড়ল— বুকে তুলে দেখলাম এক্কেবারে বরফ বরফ ব‍্যাপার ঘটে গ‍্যাছে— আমি ওর মুণ্ডুটা টেনে খুলে নিলাম— ছুঁড়ে দিলাম— ওটা সময়ের পিছন দিকে গিয়ে পড়ল— যেন তিমি মাছের স্বর— ঠোঁটে যে কয়েক ফোটা রক্ত ছিটকে এসেছিল তাদের জিভ দিয়ে চালান করে দিলাম পেটে— ঘরে ঢুকলাম— জ‍্যেঠিমা থোকে থোকা হেগে রেখেছে মেঝেতে— কিছু হাগা শুকিয়ে এতটাই কাঠ যে ছুঁড়ে মারলে খুনখারাপি হয়ে যেত মাইরি— আমি ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম— কিন্তু একি, এটা বাথরুম নাকি জঙ্গল?  অনেকগুলো ব‍্যাঙ একটা খুদে পরীকে চেটে চলেছে— লজ্জায় স‍্যাঁতস‍্যাঁতে হয়ে গ‍্যাছে মেয়েটার মাই আর গুদ— ডানার রঙে ব‍্যাঙের জিভগুলো ডোরা কাটা শেয়াল হয়ে উঠেছে যেন— তাদের গলাটা প্রেগনেন্ট হচ্ছে আবার কিছুক্ষণ পর হচ্ছে না— কিছু মশা পায়ে অনেকক্ষণ পিকনিক শুরু করে দিয়েছে বুঝতে পারলাম— ফট করে নিজের পায়ে নিজেই মারলাম তবে সব মশা তার আগেই সরে গ‍্যাছে ঠিক— একদিকে ভালোই হল জীব হত‍্যা মহাপাপ কিন্তু ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকি এবার— গেরিলা পদ্ধতিতে ওরা নিংড়ে নিচ্ছে আমার রক্ত বীর্য — অজ্ঞান হয়ে গেলাম— চোখ খুললাম তখন একটা গুহার ভিতরে শুয়ে আছি— খিদেতে গোঁ গোঁ করে উঠেছে আমার পেট— শব্দ পেলাম ছুঁচো ডাকচে চুঁ চুঁ করে— কিছুক্ষণ পরই আমার মস্তিষ্কে টর্চ জ্বেলে দিল যেন কারা— আমার মাথার কাছেই তার ন্যাংটো পায়চারী অনুভব করছিলাম বহুক্ষণ এবার চিতার ক্ষিপ্রতায় খপাত করে ধরে কামড়— ছুঁচো মেরে গন্ধ হাত শুঁকে আন্তর্জাতিক আনন্দ অনুভব করলাম আমি।



আমাদের মাষ্টারমশাই ভী ষ ণ ই বখাটে টাইপের— তিনি কলা কিনতে গিয়ে কলাঅলিকে নিজের কলাটা দেখিয়ে আসেন আবার কখনও কখনও আঙুর কিনতে গিয়ে কিসমিস-ইসসস— পৃথিবীর অবস্থা যে ভালো নয় হে — কোদাল নাও পুকুর কাটো পৃথিবী বাঁচাও হরিণেরা রাস্তায়— ও যেটা বলছিলাম— মাষ্টারমশাই রোজ বিকেলের দিকে তেলেভাজা মুড়ি খেতে খেতে মড়া পোড়ানো দেখতেন যান— ক্লাসে মাঝেমাঝেই তিনি ছাত্রীদের বলেন— শোনো মেয়েরা, তোমরা পৃথিবীর প্রাচীন পেশার ধারক ও বাহক— আমরা রেন্ডি? —দাও মাটি দাও সামনে দূর্গাপূজো— কিন্তু পৃথিবীই যদি না থাকে তবে খুলি ফাটবে কার? শুনবেই বা কে? —এবার উনি সিঁড়ি দিয়ে পড়বেন— ওনার হাতে দুটো ডাব— ব‍্যকগ্রাউন্ডে ঝমঝমঝমঝম করে খুলি ফাটার শব্দ- কাট


মাঝে মাঝে বিকেল বেলাতেও রাত্রি ঘনিয়ে আসে— মাস্টারমশাই যিনি মূলত অঘোরী তিনি মাথার লাল রূপাট্টা জড়িয়ে তার মন্ত্রপুত বিকিনি বিলি করেন চৌমাথায়— কোথায় যেন একটা পোকা আগুনে ঝাপ দিল— আমি পট শব্দ শুনলাম— দুটো বিড়ি শেষ হয়ে গেল লিখতে লিখতে— আমি বাথরুমে— কল থেকে জল পড়ছে স্লো-মোশান— সাবানের গন্ধ — সাদা একটা গ্লাসে মাজন ব্রাশ— বাথরুমপ্রেম ?


গত শনিবার হেডস‍্যারের চেম্বারে পেঁদে বেরিয়ে আসায় তার চাকরি চলে গেল— বড়বাজারে ডিল্ডোর দোকান খুলেছেন বেশ পসার এখন— কিন্তু জলে ফাইটোপ্লাঙ্কটন কমে আসছে বীভৎসভাবে— জলজ প্রাণীদের খাবারো তাই কমে আসছে— সমুদ্রের জল পাতলা হয়ে যাচ্ছে— বরফের নীচ থেকে মহান ভাইরাসরা চন্দ্রকলা নাচতে নাচতে শরীর খুঁজছে কিন্তু কার ? মানুষের নয় তো ? —সবাই মরবে সবাই আমি তুমি তোমরা সে তারা সবাই— তখন হায় মাস্টার কে কিনবে তোমার ডিলডো? —মানুষ পৃথিবী ওমলেট নয়— কিন্তু কেন তুমি গোলমরিচ ছড়াচ্ছ এভাবে? কেন শূন্য কাঁটা চামচ চালান করছ মুখের ভিতর? —রাস্তার মাঝখানে একটা প্লাস্টিকের ক‍্যাঙারু— তার পেটে অজস্র চোখ— তারা উড়তে চাইছে— কিন্তু কিছু বাচ্চা নেট হাতে অপেক্ষায়— মানুষ বাঁচাও পৃথিবীকে।

Facebook Comments

পছন্দের বই