গৌরাঙ্গ মণ্ডলের কবিতা
সমঝোতা
১
একঘাটে যতদিন স্নান করা যায়
তার চেয়ে দীর্ঘ না সময়
নিঙড়ে নেওয়ার জন্য হাত কি
জলের আজ্ঞা শোনে?
উদ্বাস্তু শ্যাওলায় আমাদের সূর্যোদয়
পিছলে যাওয়ার আগে শক্ত করে বাঁধো আলিঙ্গন
২
রাজা নই, চন্দ্র নই, কর্তৃকারকের দায়
এখনও পারি না
খুচরো মাংসের দিকে জিভডগা সাপের ফকিরি
ঘর বড়ো, ধড় বড়ো, হাঁড়ি, শূন্য, কাঁধ…
বয়স বেশির মেয়ে, পারাপার দেবে বলে
তুমিও তো নিয়ে চলো
কায়াভীতিতলে
৩
বাংলা ভাষার থেকে সরে যাও
ব্যাকরণ বড়ো বেশি নিষ্ঠুর প্রেরণা
পদটির অনিচ্ছা জেনেও
ব্যাস বাক্য
ভেঙে ভেঙে রাখছ
এই বিচ্ছেদের দায় নাও। যত পারো দুঃখ করো। শোনো, কসাই হইয়ো না
৪
আমার যা পছন্দের, তার
বাইরে তোমাকে খুঁজি
যা অপছন্দের, তার ভেতরেও…
বিস্তৃত সিঁথির মাঝে
বালকেচ্ছা তীব্র হয়ে ওঠে
সমস্ত রৌদ্রকে আজ স্তনের মাদুলি করে নাও
বৃক্ষহীন এ জীবনে বিদ্ধ হোক অপ্রস্তুত ছায়া
সময়
চিহ্ন দেখে নির্ধারণ
বিশ্বাস রাখিনি এই প্রাচীন প্রথায়
কাদা কি পায়ের কেউ!
সে কেন, সে কেন
নির্মাণে ভুলেছে বৃষ্টিকে
দৃশ্যেও গোপন থাকে, রঙের আড়ালও
ছুরির লাগে না কোনো সাজঘর, ব্যাধি
যা বলার, বলে নাও দ্রুত
তুমি তো চন্দন না যে, ক্ষয়ে গিয়ে ছড়াবে সুখ্যাতি