তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
জীবন রাতখোর
পরিযায়ী
সমস্ত জেগে থাকায়
মাথার ভেতর ওড়ে শঙ্খচিল…
জীবনের কাছে একটামাত্র সিগারেট চেয়েছিলাম!
সে আমার হাতে আগুনটুকু ধরিয়ে দিয়ে,
উড়ে গেছে শঙ্খচিলদের কাছে।
***
চ্যাপ্টার
পা ভারী হয়ে আসে…
অথচ এতদিন এরাই,
সিঁড়ির যাবতীয় আমন্ত্রণ সামলেছে।
বন্ধ হয়ে আসে চোখ!
সেও কি পায়ের মতো ভারী হয়ে গেছে?
***
ডুব কিংবা বিদ্রুপ
কথা ‘দেওয়া ছিল’
কিংবা,
‘দেওয়ার ছিল’!
এখন এই র-ই আমাদের বাঁচাতে পারে।
স্থলে, জলে, আকাশে…
***
বিভুঁই
হাওয়ায় দুলছে দড়ি।
দড়ির সঙ্গে লেপ্টে আছে, সন্তানের মিয়ানো মুখ।
ওই মুখের দিকেই তাকিয়েছিলে বুঝি?
***
হে মাধুকরী!
জেনে বুঝেই সুতো হয়ে বাঁচি।
মনে করি,
তুমি আবার কোনোদিন কিশোরী হয়ে,
কান বেঁধানোর শেষে,
সন্তপর্ণে পরে নেবে আমায়।
***
অন্য সৌভাগ্য নিয়ে
যা কিছু ছড়িয়ে গেল জলে,
যা কিছু কুড়িয়ে নিল মাটি!
না হয় শস্য চেয়ে,
ভুল আর ঠিকের মাঝামাঝি তারা।
তোমাকে বলেছিল কেউ,
ক্ষমারা এমন রাতেই
আংশিক কবিতা হয়ে ওঠে?
***
জীবন রাতখোর
লিখে রাখো খসড়া ।
একদিন এসব টুকরো জুড়ে জুড়ে,
তোমার রাতখোর জীবন
ব্যতিক্রমী পতাকা বানাবে।