লেখক নয় , লেখাই মূলধন

তৃষা চক্রবর্তীর গুচ্ছকবিতা


ভাবি খুব সহজ হবে লেখা
হিম পড়ার মতো প্রথম শীতের
‘গায়ে কিছু দিলি না’, মৃদু ভৎর্সনা—
আর কোনো নদী নেই আমাদের

বন্যায় ডুবে যায় গেহ, তবু
আর কোনো কথা নেই

সব শেষ, ভালো নয়
যদি না সহজ হয়

যদি না তুমি হও এমন নীরবতা


পুরোনো স্টেশন

ধীরবাঁঁকে জলের মতন

চেনা চেনা গাছ
আর অচীন পাখিরা

ওইখানে অপেক্ষার স্থান
শ্যাওলার মতো আছে ছোপ

ঐখানে ভাঙা চোড়া সিঁড়ি
তোমার গ্রামে যাবার পথ।


বিনয় যেমন হবে—

টুপটাপ ঝরে পড়া ফুল
বাগান বিলাসী নও

ওঠোনি কারুর ঘরে
এমন অচ্ছুৎ


চলে যাবার কথা সকলেই বলেছি
নিকটবর্তী সব পাখিরালয় ও দেশ ছেড়ে অর্থাৎ শুধু
মোচার খোলার মতো নিজেকে ছাড়িয়ে আর কুটে
রান্নায় স্বাদ আনা যায়?

যতবার সুদের কথা ভাবি আর সমস্তই ব্যর্থ মনে হয়
তামাদি দলিল ছিঁড়ে লোকসান উজ্জ্বল করে, ধাওতাল সাহু


অবসাদ থেকে, এমনকি মরণের মতো
ঘুম ভেঙে দেখি
তারার ব্রোচ আকাশের গা’য়
অপূর্ব হয়েছে– যেন পুরাতন দিন

তোমাকে বন্ধু বলে ডাকি, এসো—
নাকাল হাওয়ার মতো
ওষুধের দোকানের পাশে, খোলা রাস্তায়

তৃষা চক্রবর্তীর গুচ্ছকবিতা

পছন্দের বই