প্রীতম বসাকের কবিতা
১
খেলো, যতদূর মাঠ তোমাকে ইবাদত করে
যতিচিহ্ন, স্পেস কিংবা বাইসাইকেল কিক
কতটা কি পরিমান রান্নায় মেশাবে, ফজর
তোমার, একমাত্র তোমার আয়ুর্বেদ জ্ঞান
পা ডুবিয়ে লেখো আলো, গতি, স্রোত
জলের সততা শুধু কাঁটাগাছ জানে
হাতের জ্যা থেকে তুমি উড়িয়ে দাও আয়ু
ফুঁ লেখো, দাঁড়াও পথিকবর, তিষ্ঠ
এখানে সান্ধ্য জ্বরে
কবি বুনে যায় মৎসপ্রণালী
২
দুঃখের প্রুফ দেখছে একথালা আকাশ
তার নামাজে সন্দিহান রেখো না
আমাদের গলির মাফলারে
বিঘা বিঘা আশ্চর্য ফুটে থাকতো
“তুমি কী পাওনি গিলে ফেলো
আমি কী পেয়েছি ছুড়ে দাও জলে”
বলেছিল জোনাকিদের মা
ওই যে ঘুরির অবশেষ দেখা যাচ্ছে
ওটা আসলে আমাদিগের অবিনাশ মেঘ
নিষিদ্ধ রুমালের অক্ষর চিনব বলে
চোখে বেশি পাওয়ারের বাল্ব টাঙিয়ে
আজও
রোদের অহিংসা আঁকি
বৃষ্টির ক্ষুৎকাতর শুনি
৩
তবু বৃক্ষময় এ সকাল
গৃহস্থ মুছতে মুছতে চলে যাচ্ছে শবের শ্রমিক
খইয়ের প্রাচুর্য থেকে কেউ কেউ তুলে নিল
সমর্পিত কয়েন
অবিমিশ্র সন্তান হেঁটে যায়
আমি অখিল দূরত্ব থেকে নমস্কার ছুঁয়ে দি
আহত ধুয়ে রাখি
ওদিকে জন্মের রহস্যকাব্য, তুতুল
ঘুমের কলস মুখে জেগে ওঠে নতুন গঞ্জ
আমি আবার মাথায় হাত ঠেকাই
দৃশ্য রাখি জন্মে, মৃত্যুর উপমানে
হাত থেকে খসে পড়ে শব্দের নকুলদানা
৪
মেঘের শ্যাম্পু মেখেছি বল্কলে
কোন কোন দুঃখের মৌলবাদে
লবণের দেহ টানটান ভিজে যায়
খুঁজতে খুঁজতে কবি নিজের ললিতকলায় টোকা মারে
তখন আর কোনো অসুখ নেই ভাবতে ভাবতে
আমি চৌকাঠ অবধি দান চালিয়ে দি, ঘাঁই মারি
তোমার স্তনের শালিখে
নেমে আসে নিখিলেশ আয়ু
আমি ছিপ ফেলে নদীনালা তুলে আনি লাঙলে
অদূরে ডুবে যায় পাখিদের মতিঝিল
৫
চলো কুটিরশিল্প লিখি, অণুগল্প
দ্বীপ রঙের পাখি, কুমোর পাড়া
চর্যাপদের ভাষায় পারঙ্গম ছিল তোমারই পিতা
কানু< কানহ্< কৃষ্ণ
তোমাদের শহরে এসে
টনসিল ভিজেছে শ্রমে
চলো ব্যথা বোজানোর স্ক্রু খুঁজি,
অন্ধ চা-ওয়ালা
একটা প্লট পেলে গৃহ হতো, আখ্যান
আমি মেয়েকে বোঝাতাম
উপন্যাসের সাথে রূপকথার
খাদ্যগুণের দূরত্ব
৬
চুলের সান্ধ্যভাষায় তুমি খুঁজছ অক্ষরের তাপশক্তি
আমাদের পিতাসকল পেয়েছিল সুলভ আয়ু
বৃক্ষবালক হওয়ার ভ্রম নিয়ে তুমি লিখছ আয়নাজীবন
বৃষ্টির আত্মায় টাঙাচ্ছ হাতরুমাল, অধীরতা
বিড়ালের অভিমুখ দিয়ে
কেউ চেটেছিল পরিব্রাজকের কান্না, নিয়তি
ওই ক্রন্দনের ক্ষমা নিয়ে লেখকপ্রতিম ভ্রম
তোমাকে খেলাচ্ছে
ভেঙে দিচ্ছে জলপ্রপাতের মায়া
ও মহেঞ্জোদারো
