লেখক নয় , লেখাই মূলধন

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৯/০২/১৯

লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কেটে গেল সাতাশটা বছর। বইমেলার নবম দিনে লাইনের গণ্ডগোল নিয়ে আর কী ভাবব! ট্রেন কখন আসবে, বা কখন আসবে না— জানি না। যেতে বলেই তড়িঘড়ি যাওয়া। 

শেষ শনিবার, তারপর আবার স্বরস্বতী পুজো। ভেবেছিলাম, ঢুকতে না ঢুকতেই দেখব কিশোর-কিশোরীদের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় ঠেলে ঠেলে বৃদ্ধ আমি এগিয়ে যাব প্যাভিলিয়নের দিকে। না তেমন ভিড় নেই। অরূপদা সবে এসে টেবিল সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিকেলের দিকে এলোমেলো ভিড়। বাইরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে তার আভাস পাচ্ছি। তবে আমার ভিতরেও ক্রমাগত বৃষ্টি চলছে, আমি ভিজছি। হয়ত তার ছাঁট কারো জানালায় পড়েনি।

আজ অনেকগুলো লিটল ম্যাগাজিন কিনলাম। আজকাল পত্র-পত্রিকা আর পড়াই হয় না। তবুও ভালো কাজ সংগ্রহ করে রাখতে ভালো লাগে। আসলে লিটল ম্যাগাজিন জিনিসটাই এমন, সময়ে সংগ্রহ না করলে দরকারে হন্যে হয়ে খুঁজেও পাবে না।

আজ ডায়েরি লিখতে গিয়ে বারবার মনে হচ্ছে মুছে ফেলি। এগারো দিনের মেলায় একদিন বাদ থাক। তবুও এটুকুই লিখলাম। মুছে ফেলতে চাইলেই মুছে ফেলা যায় না। হয়ত চেয়েছি হাহাকারের কোনো গ্যারেজ হতে, হয়ত বা আনন্দের কোনো কারখানা।

এখানেই আমন্ত্রণ থাক…

 

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

পছন্দের বই