বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল
০১/০২/১৯
উদ্বোধনের পরেরদিনটাকেই আমরা মেলার প্রথমদিন বলে থাকি। পরপর তিনবছর প্রথমদিন মেলায় যেতে পারিনি। এবার কলকাতায়, যাব না তা হয়! হাসপাতাল-প্রেস সব ঠেলেঠুলে সঠিক টাইমে পৌঁছালাম। দেবু তখনও টেবিল সাজায়নি। তন্ময়, অরূপদা এসে গেছে। প্রলয়দাও ঘোরাঘুরি করছে। এবার লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের পজিশনটা খুব পছন্দ হয়েছে। একেবারে করুনাময়ী বাসস্ট্যান্ডের গায়ে।
যাইহোক, প্রথমদিন ভালো বেচাকেনা বা সকলের সঙ্গে দেখা হবে এই আশাটা ক্ষীণ থাকে। এবার উল্টোটা। প্যাভিলিয়নের লোকজন ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে এসেছে দেখলাম। আরাগবাগ থেকে মুক্তিদা চলে এসেছে। কল্যাণীর পীযুষদাও এসেছিল টেবিলে। আমি নিজেই টেবিলে থাকি না, এই কঠিন সত্যটা আর কাউকে বলতে হয় না। আমাকে বসতে দেখলে বরং লোকে অবাক হয়। তবে আজ বাবা বসেছিল। ভেবেছিলাম এই ভিড়ে আনব না। এই বইপড়ার নেশাটা এই মানুষটার জন্যই পাওয়া। আর আজকের ‘তবুও প্রয়াস’ এই মানুষটির স্নেহের ফসল। মেলার মধ্যে কলকাতায় আছে আর যাবে না, তা হবার নয় জানি বলেই বাধা দিইনি। বইপত্র কিনে বেশ খুশি।
আমিও কিনব না কিনব না করার প্রচুর বই কিনে ফেললাম। এই বদভ্যাস ত্যাগ না করেল ভবিষ্যতে কপালে কী আছে কে জানে!
প্যাভিলিয়নে ঘুরপাক দিতে বেশ ভালো লাগে। তবে প্যাভিলিয়ন থেকে বেরোই না তা নয়। কিন্তু আজ সেভাবে বেরোনো হল কই? নীল শাড়ির প্রতি কি এতটাই মায়া জন্মে গেছিল? নাকি, লবণ খেতে এই জোনাকির আলো ছেড়ে বেরোতে ইচ্ছে করছিল না?
কী জানি! আগামীকালও হয়ত জানব না!
