মৃণালেন্দু দাশের কবিতা
কেলি
অবরুদ্ধ শ্বাস
ঘুরে ঘুরে সদা কেলি করে বায়ুপিত্তকফশ্লেষ্মা
মরি ! মরি ! —বদন ভরিয়া যায় শমে
হরি সদয় হলে দিন গুজরান ভালোই হয় !
বমি
যাইতে যাইতে পথে সখী জ্ঞানহারা
ওলাওঠা সর্বাঙ্গে তাহার নাচিয়া বেড়ায় ৷ মর !
ভেদবমি হয়ে,
ঘুণাক্ষরে কাকও জানিল না তাহার বাসায় কোকিলের ছা!
ক্ষয়
ব্যথা উঠিয়াছে তলপেটে
রোদ্দুরে পুড়িয়া কাঠ অঙ্গখানি তার,
কার? যার কোনো হয় নাই ক্ষয়রোধ গেহ—
বলিতে বলিতে চলিলেন সুবিবেক সরকার !
পান্ডু
বিধিমত নৈবেদ্য দক্ষিণা নাথাকিলে ,
পূজা সমাপন হয় কীসে!
গহনে গর্জন শুনি, হৃদয়ে নর্তন—
পথে পথে শুস্ক পান্ডু মুখখানি ধায়
—না বলিতে কার মন করে আনচান?
জলের কিনারে শ্যাওলা শালুক ফুল হয়ে ফোটে
কারো কারো ভাতের হাঁড়িতে তারা শোভা বৃদ্ধি করে ,
প্রাণের পিদীম জ্বেলে কারা বৃথা শক্তিক্ষয় করে?
জানি না জানি না বলে, হাওয়ায় উড়িতেছে পাখি
লজ্জা
নিছক মৃত্যুর কথা অনেকেই বলে,
বেঁচে থাকার কথা বলে না—
বলে না, কারণ—
অনেক সংঘাত ক্ষয় বঞ্চনার কথা এসে যায়
তাতে, বোধহয় লজ্জায় পড়তে হয়
লজ্জাও যে একধরণের মৃত্যুই বোঝে না কেউ
ছাই
আচমকা এমন ভেঙে দিই নিজেকে ,
কাচের টুকরোর মতো বা কলসি ভাঙার মতো
ছড়িয়ে পড়ি মাটিতে যেন শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম
কী যে অপরূপ— ছাই হয়ে উড়ে যাই, মন পড়ে রয় জলে
