লেখক নয় , লেখাই মূলধন

শানু চৌধুরীর গুচ্ছকবিতা

টিমবুকটু
ঋণ – Timbuktu journey to the empire of knowledge


বালির ভিতর ডুবে আছে চটি-জোৎস্না
যে জোৎস্না লুকিয়ে রেখেছিল সাহারার প্রবেশটুকু
সেখানে প্রচুর আলখাল্লা হতে কে যেন দ্যাখে
অপহত জন্মের শহর…
মহিলার আঁকা হাতে কে হয়েছিল
লামার বেঁকে যাওয়া কড়রেখা?
মানুষ ছাড়িয়ে তোমরা মরু হয়েছো
শুকনো মাছ আর চালের গুঁড়োয় রেখেছ
জীবনের পদরেখা।
নদীর ভাঁজ কেন হল সামান্য জুতোজোড়া!
এই তবে হোক, আলো ফুটুক
বেদুইন বর্ণান্ধে জ্বলে উঠুক রচনার পাঠোদ্ধার


নদীগুলো ক্যারাভ্যান।
আর সোনায় মোড়া সমস্ত কোরান হয়ে উঠল লিপিবিদ্যা
তবু কোথাকার কৃষি যেন কোথায় মিলে যায়
মাটি পেকে রং হয়ে ওঠার আগে,
রাস্তার মাটিতে কে বিক্রি করেছিল সফেদ জুতোর মাপ?
কালোমানুষ বসে থাকে পোশাকের গুণে
পরিসর হয়, খাঁজকাটা দেওয়ালের অক্ষর
যেখানে শান্ত হয়ে দেখা যেতে পারে জলের বিভাজিকা


টলেডো… কৃষ্ণসার হল তোমাদের অস্ত্রগুলো
হাতির দাঁতের ছায়াতলে কীভাবে এনেছ প্রদীপের শিরা?
কাপড় গলে যায়! মেশিনের সূঁচে জীবিকা হতে হতে…
গলে যায় মানুষের আনন্দে মানুষের ছোঁয়া
এই তবে নিকটতম গতি
যেখানে আলাপ হল বাবার লিপিভর্তি কাচের আলপনা


সংরক্ষিত লবণ গলেছিল, তোমার নিজস্ব কমলা আঙুলে
যতটা শৈশব বীজ ও গণিত হয়েছিল
ততোটা ফতোয়া ঝুলেছিল সোনা আর পর্যটকের ভূমিকায়
শান্তি তৈরি হোক হিকমা দালার চাকায়
যেখানে ছেঁকে উঠবে তোমার তৌহিদ!

শানু চৌধুরীর গুচ্ছকবিতা

পছন্দের বই