শান্তমের কবিতা
ইস্কুল
কেউই আসে না
না ফেরা মানুষ; ভালোবাসাগুলি
ঠিকানা বদলে নেয় বার বার
এখন রাস্তার সামনে নতজানু আমি
শিখে নিতে চাইছি কেউ আসবে ভেবে
কীভাবে নিজেকে উজাড় করতে হয়
পুনর্ভব
ফিরিয়ে নিতেই পারো যদি চাও
সব নাও। নিঃস্ব হই সহজ আগুনে
শূন্য থেকে শুরু হলে
আরোগ্য চেয়ে এক তিল আলোর অপেক্ষা
জোনাকির নিভে থাকা মুহূর্তটি যেন
ঈশ্বরের প্রিয় কিছুক্ষণ
ঈশ্বর
খুদকুঁড়ো সেদ্ধ হলে তার
নরম গন্ধে খিদের দেবতা শান্ত হয়ে
খুলে দেন তাঁর আশ্চর্য জানালা
আকাশ ও মাটিকে
জুড়ে দেওয়া সরলরেখায়
যেন কেউ ঝুলিয়ে রেখেছে বিস্ময়
তারপর ঘন্টা পড়ে । পুজো শুরু হয়
নিঃস্ব
মায়ের মুখে আগুন ছুঁইয়ে
এই প্রথম দেখতে পেলাম
আগুনের শিশুটি হামাগুড়ি দিতে দিতে
কীভাবে উঠে দাঁড়িয়ে ছুটতে চাইছে
চিতা’কে পিছনে রেখে
আবার আমাকে দাঁড় করানো হল
তখন দক্ষিণের আকাশে পাক খাচ্ছে
শুধু কয়েক টুকরো ধোঁয়া
হারিয়ে ফেললাম আমার আগুনের শিশুটিকে