শৈলেন চৌনীর কবিতা
দৌড়
আপেলের কাছে যেন আমি এক..… অসম দাঁতের
হাসি।
রুগ্ন স্নায়ুর কাছে নামানো জটিল গণিত। ধিক
যৌবন। ধিক বেয়াড়া জ্বরের আয়ু। হা-হন্যে গহ্বরে
জমে থাকা ঘৃণা, আমি তার মুখে তুলে দিই রৌদ্রের
অনাবৃত ধিক্কার। শরীর সারসের ঠোঁট ভেবে
ভাগাড়ের পচাগলা স্তূপ থেকে উঠে আসে সরল
সন্দেহ।
যে পুরুষ নিখোঁজ, সে জানে বিচ্ছেদও শিল্প।
ম্যাজিক
এই রাত নিষ্ক্রিয়তার মন্ত্রে ভরা ম্যাজিক। মাহুতের
নৃশংস বল্লম। এই পথ নার্ভের পঙ্গুত্ব। সেলাইন পাইপে
উঠে আসা শীতল রক্ত।
পুরুষের আদিম চিৎকার এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ
আবিষ্কার। বেদম দু’হাতের মুঠোতে ধরে রাখা বালির
দানা শূন্য করে নেমে যায় নীচে।
অভ্যাস ভালো কিছু নয়— বুনো গর্তের ভেতর শুয়ে
থাকা পুরুষের নিদাগ আহুতি। স্বপ্নদোষ। আলোর
অভাব। আর স্মৃতির ভেতর থেকে ভেসে আসা
অপ্রেম বালিকাসঙ্গীত।
শ্রবণ
সুস্বাদু মাংসের মতো কেটে যায় সময়। আর তুমি
উগ্র হতে হতে বাতিল শিরার মতো বসে পড়ো
সাংঘাতিক; গাছের আগল ছেড়ে কীভাবে বেঁচে
যায় টবের কারু? জানা নেই…
বারুদের ভ্রম হলে যেমন— অবাধ্য বাজি, অসম
মুহূর্তে করে ধর্মের অন্ধ পালন, তেমনই তুমি—
সাপের মতো। সংক্ষিপ্ত শরীর। প্রতিটি খোলসে যে
রেখে যায় চঞ্চুর গোপন দাগ…
শাস্ত্রকথা
ভুলো না আলোর জখম। দোষ, গুণ, ত্রুটি।
পিছনে ফিরলে ছুরি বসায় নিয়তি…
আগুনের পাশে বসো,
বসো ঐ ছায়াটির পাশে— যেখানে তোমার
পিতৃরক্ত লেগে আছে।
এভাবে আসে না প্রেম। দোলাচল। বাতাসে
বাতাসে বিষাদ,
কেউ তো কারোর নয়!
শ্মশানের লাশ।
দুপুরের ফুলের রৌরবতা
১
প্রশ্নচিহ্ন মেঘ; প্রশ্নহীন।
চুর্ণ শামুকের বধিরতা নিয়ে শুয়ে থাকে মাংসের
ঘৃণা। আক্রান্ত ফুল, তোমাকে দিলাম মৌমাছির ব্যস্ত
দুপুর।
২
ধোঁয়া হয়ে ওড়ে বিস্ময়। আবহসঙ্গীত তার গতি মনে
রাখে!
