লেখক নয় , লেখাই মূলধন

সঞ্জয় ভট্টাচার্যয়ের কবিতা

কে, বাবাকে

দুই উনুনের সাথে দেখা হয়
লক্ষ করি
আঁচ
সামলাচ্ছে আজও প্রবীণা স্থগিত

এক মগ দু’মগ ঘাম ফের জল হয়ে আসে

হয়তো সংহার নেই আর

শুধু সেতুর দুই পাড়ে দেখি
রন্ধন
আকুল ঢেউয়ের মতো চলকে উঠেছে

মধ্যবর্তী

আসলে মৃত্যুর কথা কোথাও লিখিনি
যতখানি মরন সম্ভব

অঝোর বৃষ্টির মধ্যে যে কতবার শুকিয়ে উঠেছি
জানে শুধু আখার ত্রিমুখ
আর চকিত স্বস্তির হাওয়া শুষে খায়
নিভৃত বেলুন

আসলে জীবনের কথাও সেইভাবে
চলকে ওঠেনি
যার জন্য ক্যামেরাকে বলি
চল, আরও একটু ঘুরে আসা যাক

বিয়োগ পর্ব

ওষ্ঠের ওপর ওষ্ঠ রেখেছি
তারপর চুম্বনের পাশে বটপাতা
আর নিভৃত ক্ষরণ

মানো বা না মানো
দ্বিধা লিখতে লিখতে পৃষ্ঠায়
বারংবার ভিজেছে অক্ষর

পরিনামহীন মায়ার ভিতর এই যাওয়া আসা
আর চিঠি বাক্স ভারী হয়ে আসে

অবচেতনের নীচে শুয়ে থাকি, একা
দেখি, সদরে মৃত্যু নেই লিখে

চিত্র: ইভস্ ট্যাঙ্গি

চিতা উসকে দিয়ে চলে গেছে
আরও এক না বলা কাতর

বদলা

অথচ দর্পণের শব্দে ওরা ফিরে এল

আমিও লিফলেট থেকে পড়ে নিচ্ছি রাঘব
কীভাবে বোয়ালের মতো উলঙ্ঘন লিখেছে বাংলায়

উৎসর্গিত হাঁ-এর ভেতর
আমি দেখছি ছায়া খুবলোচ্ছে সেই নারীটির
ম্যাজিক প্রতাপ

পরিপূরক

পলাশ বাসনার পাশে সারাক্ষণ
ফুটেছে পলাশ

এটুকুই অবচেতন, আর পাশঘরে বিবিধ আতর

ভ্রূণ বিদ্ধ হাওয়ার হাপর শুধু দৈনন্দিন
ছুঁয়েছে ধাতব

যতটা উদাসীন থাকা ভালো
ততটা নিরক্ষর মালা আমি জানি
তুমিও গাঁথোনি

ক্ষুধা

শিয়রে অর্কেস্ট্রা

তবু পার হবে ভেবে
বাঁশি ফের ছাপিয়ে উঠেছে

দিন আনা দিন খানার এই সংসার
চাঁদকেই কুর্নিশ করে শুয়েছে জ্যোৎস্নায়

প্রতিটি রূপকথার ভেতর
আমি দেখি, ক্ষুধা সেই সাচ্চা দর্শক
তালির বিকল্প থেকে যে কখনই
মাপেনি উল্লাস

সঞ্জয় ভট্টাচার্যয়ের কবিতা

পছন্দের বই