
সমন্বয়ের কবিতা
স্বল্পবয়সী ল্যান্ডস্কেপ
১
নারীরা, নারীর জন্য সমব্যথী হয়। শীতল কাঠের ওম পেতে চায় প্রবণতায় যেন অধিক যুক্তাক্ষরের পর এক সেতার বিকাল আসে গদ্যে— এক বাটি গ্রাম আসে ছাতিমের ঘরে। আঁখি ও ছাতিম, ছাতিম ও আঁখি দৃশ্যত বাতাসের থেকে পরপর কান্না-মাটি-জল ও মুগ্ধতা ছেঁচে নেয়। ইন-ইয়েং পদ্ধতিতে তারা অনর্গল মুগ্ধতা তোলে চামচে— জিভ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখে মৃত্যু। স্ববিরাম। আমি, মনে রাখি: হাজার ঢিলেও জ্যোৎস্না পালায় না।
২
আমার কবিতায় মেঘেরা এসে গুম্ হয়ে যাবার আগেই জলধারণের কল্পনা করেছিলাম। দুঃখ বালকের নীরব ছায়ার মতো ঝড়ে আরও অভিমান শিখে গেছে। যার ঊরুজংলার ছায়ায় কেটেছে রাত। তাকে শূন্যস্থান দিয়েছি উপহার। মনে মনে ভুলে গেছি, তবু মনে চন্দনপালা গায়…
নিজস্ব সমীক্ষার কাছে তখন আয়না করি। আরবার স্বভাবের চেয়ে বড়ো শত্রুর খোঁজে জামতিল ছিঁটে আসে এক-একই মুখে আমার তোমার বাতাসের
৩
একদলা লোভ শরীরে সাজিয়ে এই আমার চলাচল। পয়লা তারিখের মতোই আমার ভুতুড়ে সন্তান, ছাতিম, লাল হয়ে আছে। ধ্রুপদী ছায়ার মতো স্থপতি অহংকার নেই যা নিয়ে রাতের ঋষিসাগর আঁকব আমি। আমার তালুজ্বরে কাঁপে না কিছুই— দৃশ্যত অদৃশ্য করার কিছুই নেই আমার। আমার ক’জোড়া নখ আছে শুধু যা মনেটের ছবির মতো শিরশির করে খালি।
৪
অবিকল ঘন হয়ে আসছে সানাইয়ের ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসা ঘোড়া। আমার শায়িত কাঠামোর লোম ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে বলে। আমিও ছোকড়া রোদের মতন ধুলোহীন রেখেছি নিজেকে। ধ্যানভাঙা চোখে শব্দ সেলাই করে।
৫
কথা নেই শুরুর কাগজে যা ভূমিকার গা ঘেঁষে প্রকৃত পেঁচার মতন সাদা। উপন্যাসের ভেতরের নদীদের সৎকার হয়েছে এখানে। ছোবলের দাগ ও আগুনের হল্লার মতো শব্দ, যা কফিহাউসের টেবিল থেকে টেবিলে ড্রপ খেয়ে পিচে পড়া থ্যাৎলানো সবুজ আলোয় ড্রপ খেয়ে বিছানায় চুকে গেছিল— সাদায় আঁচ নেই তার। রক্ত হারানো সাদা বুকের মতন শ্বাস। তার ঘরঘর ত্তঠানামা।
৬
সাদা মানে বীর্যের মতন সাদা নয় সাদা আলোর মতন সাদা নয় সাদা নগ্ন ঊরুর মতন সাদা নয় সাদা কোনো পতাকার রং নয়। সাদা মানে ভার্জিন পাতা যার দাঁত নখ খুন সবই আছে। ভাবনার দূরের গড়মিল চুপ করে আছে সেখানে, সমস্ত বারিশ থার্মোমিটার মুখে যে পাতার ওপর একদিন ফেটে পড়বে।
৭
স্মৃতির ভেতর দিয়ে আমার দীর্ঘ পথচারী পেছনের দিকে। যেমন কালবৈশাখীর পাতা বৃক্ষ থেকে আলাদা তেমনই ছিটকে বেড়োই আমিও কখনও কখনও। কবুতরের জ্ঞানহীন ডানার ফুর্তিতে তার শেষ প্রহর কাটে। যা ভাবা হয়নি কখনও ; যুগকালহীন দুই পিঁপড়ের ভাষায় দেখা হবে আমাদের। ছাতিম…
Facebook Comments