সমন্বয়ের গুচ্ছকবিতা
ক্ষরণ অতএব কাঠপোকামুক্তি
১
শব্দের আগাগোড়া বুঝে নিলে মধ্যের শ্বাস ভাস্কর হতে পারে না। শব্দ হাঁপায়, সাদা বুকে দীর্ঘ শ্বাসের ভারে শুয়ে পড়ে। অধিক হাঙ্গামার পর পাতারা হিমাচল খুঁজতে যায়…
২
যেরকম হন্যে হয়ে ঘুরেছে ঘড়ির কাটা সেরকম কি তুমিও চেয়েছ আমাকে ঘোরাতে… জানি দুটো পথের ফাঁকে অপেক্ষা নিভে গেছে। জানি জলের নীচে জল বয়ে গেছে, থামেনি…
৩
এখন ঢাকনা বুঁজে গেলে অশ্রুতে দিনলিপি লেখা হয়, ঠোঁটে ভিখারির তাপ তরতরিয়ে ঘামে— এখন সময়ের গুহা কেটে আমাদের জন্মতিথি থলেভর্তি বাজার নিয়ে ফেরে।
৪
বন্ধুর মুখস্থ মুখোস খুলে মুখ বের হলে মুখস্থ আয়নাও প্রতিবাদ করবে তোমার, আকাশের খোচর সেজে তুমি আর কতদিন— এবারে মুঠো খুলে আকাশে পাথর ছুঁড়ে দাও।
৫
কবিতা যখন জন্মলগ্ন ছাড়িয়ে ড্রামবিটের মতন কড়া হয়, আয়না যখন নিজস্ব আগ্নেয় চক্রান্ত দেখে ঘামে, যখন ঘুমন্ত প্রহরীরা খোলা শরীরে পেরেক গাঁথে, বুঝি নিমগ্ন তুমি ঘুমকবি— ছাতিম তুমি আছো, ভালোবাসা!