সু চক্রবর্তীর কবিতা
ব্যক্তিগত স্নানাগার
প্রতিটা স্নানের শেষে আমি অ পবিত্র হয়ে উঠি।
জল এসে ভিড় লাগায়
পায়ে
আঁচড় কাটে; মৃদুমন্দ এলাচ দানা
খুলি।
তিনটে রোয়াক সযত্নে
সাজিয়ে রাখি থালায়
তারপাশে ঘি কাজু কিশমিশ
চিনি ঢেলে গাঢ় করি
প্রগাঢ়!
আঁচ কমাই
শেষে
ভাজা ছানা উড়িয়ে দিই
ব্যক্তিগত স্নানাগারে
শম
দাঁড়কাকের আলো পড়া রাস্তায়
ট্রাফিক হারানো দু-এক পিস
বয়স উঁকি দেয়
আ
ড়া
লে।
হাই তোলে
প্রেমে পোড়া নাভি
মায়ের মতো গর্ভ ভরে না ঈশ্বরের।
চমকানো নুড়ি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে শম
মায়াপথের সান্দ্রতায়
এসে ঘর খুঁজে
ভোর খুঁজে
আ
র
আমরা এক এক করে
ইহকালের ঈশ্বর ডিঙোতে থাকি
ঠোঁট
বোবা ঈশ্বরের ঠোঁট
মৃত্যু
ধুয়ে দিচ্ছ
মিসক্যারেজ হলে শ্বাসাঘাতে
ঢুকে
পড়ে
নিঃসন্তান তুমি আর্তনাদ
পুরুষের প্রেমের মতো ঝুটিবাঁধা বর্ষাকাল।
প্যাথোলজির ল্যাব পেরোনো
চুম্বন
এসে ট্রেতে করে ঈশ্বরের
রক্তমাংস নিয়ে যাও
চুম্বন থেকে গাঢ়তম মৃত্যু কিছু হতে পারে না
শুক্তো
শুক্তো করতে সজনেডাঁটা সাথে ফুলকো কিছু ধর্ম।
শিলনোড়াতে বাটা মশলা বাড়ি বাড়ি
লিফলেট বিলি করে না
চাকুরীহীনা যুবতীর মতো।
সমবেদনা আর আদাবাটার মিশেলে একটা
তীব্র ঝাঁঝ বেরোয়
গন্ধে রহস্যময় জেলবস্তি থেকে
জানিগঞ্জের ডাইনিং হল।
আমি কলাইডালের
বড়ি
ছুঁড়ি
শেষপাতে
আটাশবিয়ানি
আটাশ দিনে মাস তবু
ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হও
চুলে জট পাকায় লাল পিঁপড়ে
সিঁড়ি ভাঙে
কলসি ভাসতে থাকে আনুগত্যহীন