হৃদয় দাসের গুচ্ছকবিতা
স্তন
১
স্তনে একটা কাঠঠোকরা বসে আছে। ঠোকরাবে?
পোকা নেই। মাংসালো পিণ্ড।
এখানে বসে থাকার কথা নেতা-মন্ত্রীর।
তবুও বসে আছে কাঠঠোকরা। স্তন কাঁপছে।
পালক থেকে ঝরে পড়ছে প্রেমিকের আসবাব।
চাকচিক্য বাড়ছে। নিরীহ স্তন চুপিচুপি যেন বলছে:
আমিও গাছ হতে পারি।
২
প্রজাপতির স্তন চেটে পালিয়েছে বুনো মোষ।
অরণ্যে আজ মেঘ। কে খুঁজবে
ওই অন্ধকার। কে খুঁজবে একলা হওয়া রঙিন ডানায়
মিথ্যা ওড়ার শিংভাঙা গল্প?
৩
হাঁ করা মুখে স্তন ঢেলে দাও।
৩২, ৩৪ বা ৩৬। দুর্যোগের দিন।
শিশু-যুবক-বৃদ্ধ আজ বড্ড প্রেমিক।
দ্যাখোই না, কামদেবীর মাতৃত্বে শিউলিফুল কতটা বোধনদ্বীপ জ্বালে?
৪
স্তন টিপলেই যদি প্রেমিক হওয়া যেত
তাহলে কোনো বাজপাখির সঙ্গে বন্ধুত্ব হতো না।
দৃষ্টি হয়ে উঠত আলোর ঝরণা।
কোনো যৌননদী মাঝপথে গতি হারিয়ে
চরে ফেলে রাখত ক্ষয়ে যাওয়া কোনো বাদামি পাহাড়।
তর্পণ
দশতলা ছাদ থেকে তোমার যোনিকে মনে হয় একটা পুঁটি মাছ।
এমনই মাছ পছন্দ করি।
কাঁটার ভয়। স্তনে মুখ লাগাই।
দেড় বছরের শিশুর মতো।
চুক চুক শব্দ হয়।
আমার আকাশ ফুটোর ভিতর
অর্ধেক চাঁদ গিলে নেয়। আর অর্ধেক কাটা বটিকে তর্পণ করে।