লেখক নয় , লেখাই মূলধন

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৪/০২/১৯ 

দেখতে দেখতে চতুর্থদিন চলে গেল। সোমবার। ভিড় তুলনামূলক কম হবে এমন আশাই ছিল। দু’টো আড়াইটের দিকেও লোক তেমন ছিল না। আজ রবিউল এসেছিল চাপড়া থেকে। আমাদের আরেক সহকর্মী। আমি আর রবিউল সম্পাদনা করছি ‘ছাদ পেটানোর গান’ বইটি। ওঁকে দেখলাম অনেকগুলো গানের বই কিনেছে। এ-বছর আমিও অনেকগুলো গানের বই কিনেছি। কাজটা নিয়ে দু-জনই খুব আশাবাদী। জানি না, কী হবে। দুজনই এ-ফিল্ডের লোক না। ভালোবেসে এই কাজটাতে নামা।

অরূপদা, দেবু, শতানীক সকলেই টেবিলে ছিল। এসেছিল ফাল্গুনীদি। ওঁর নতুন বই বেরিয়েছে। কারো প্রথম বই বেরোলে মুখ যেন হয়ে ওঠে কোনো চেরি বাগান। গতবছরেই বুঝেছি।

কিনব না কিনব করেও আবারও বই কিনে ফেলছি। অধিকাংশই কাজের বই। চব্বিশ ঘণ্টার দিন, আমাদের ২৩ ঘণ্টা অন্যান্য কাজ আর ফেসবুকে কাটে। বাকি একঘণ্টা কাটে কিছু করব করব করে। এটুকুই আসলে বাঁচিয়ে রাখে। এটুকুই আমাদের অস্তিত্বকে পালিশ ও চকচকে করে রাখে। আমরা তার উজ্জ্বলতা ধারণ করি অথবা বহন করি। কখনো বা তার তাচ্ছিল্য।

মুনাই এখনো বইমেলায় আসেনি। কবে আসবে কে জানে… এত হুলুস্থুল করে বেড়ানোর পরেও কোথাও যেন সে আমার আলো, শ্মশান, স্থাবর…

Facebook Comments

পছন্দের বই