লেখক নয় , লেখাই মূলধন

পঙ্কজ চক্রবর্তীর গদ্য

একটি রক্তিম মরীচিকা

শুধুমাত্র গোটা জীবনভর একটা অলীক পথের রেখা আমি লুকিয়ে রেখেছি দুপুরের বুকের ভিতর। যেন সে নিজেই এসে বলে: দগ্ধ শালিকের ডানায় এই মুখ আমি প্রথম দেখেছি! অপ্রত্যাশিতের মুখোমুখি হব বলে কত ঝড়জল পেরিয়ে এসেছি— দেখেছি পাহাড় দেখে জটিল হয়েছি। আজও আমার সাদা পাতার কাঙালপনা, কবে সে নিজেই ফুটে উঠবে। তখন মনে পড়বে না প্রবীণ কবির ছলনা। একটি ভাঙা সাঁকো জুড়ে যাবে চারপাশে। মনে পড়বে প্রথম রোদ্দুরের স্মৃতি। মনে পড়বে বিষণ্ণ গোধূলির পিছনে লুকিয়ে আছে হলুদ বাথরুম; চারপাশে বেহিসেবি জঙ্গল। আর আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে দু-টি শরীর গভীর উত্তাপে। সেই প্রথম চোখ ফেলা হলুদ স্তনের ভাস্কর্যে। বিকেলের অভিশাপ তার মুখ বিষণ্ণ বড়দির মতো। শুধু কিছু করার ছিল না। যখন নিজের দু-হাত স্বপ্নের হত‍্যাদৃশ‍্য লেখে। আমি টের পাই ফাঁকা বাড়ির গর্ভে সন্তান এসেছে।

কথায় কথায় এসে পড়ে ছোটোবেলার গান। অনুরোধের আসর। বিবিধ ভারতী। অনিবার্য শ্রাবন্তী মজুমদার গাইছেন— ‘মাথার ঘন চুল যখন, মরুভূমি হয়ে যায়, ওয়েসিস নিয়ে আসে মরূদ্যান মেঘের ছায়ায় ছায়ায়’। একটি বিজ্ঞাপন জুড়ে এমন অপ্রত্যাশিত সুরের আশ্চর্য বিষাদে ভরে ওঠে দুপুর। আর মাঝে মাঝে ভাবি আরেকটু বড়ো হলে একদিন ওয়েসিস কিনে আনব ঝক্‌ঝকে স্টেশনারি দোকান থেকে। গুপ্তচরের মতো ঘুরে বেড়াব অলৌকিক নীল দোতলা বাড়ির জানলার ছায়ায়। অপ্রত্যাশিত চোখের আলো চোখের বাহিরে এসে পৌঁছবে একদিন। তারপর একদিন এই বাড়ি বিক্রি করে তারা উঠে যাবে সোদপুর স্টেশনের কাছে। বিকেলের পুকুরের গরম জলের ঘনশ্বাসে সেইসব উপকথা একদিন ফেলে এসেছি আমি।


মঞ্চ থেকে নেমে আসছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। গানের শেষে শ্রোতারা মুগ্ধ। শুধু এক বৃদ্ধা পথ রোধ করে দাঁড়ালেন তাঁর। অনেক দূর থেকে এসেছেন তিনি। হাতের ঠোঙায় প্রিয় শিল্পীর জন‍্য বাড়ির তৈরি নাড়ু। হেমন্তর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, বাবা কত গান গাইলে কিন্তু আমার প্রিয় গান তো গাইলে না? চোখে জল নিয়ে আবার মঞ্চে উঠলেন হেমন্ত। আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে গাইলেন— ‘বিষ্ণুপ্রিয়া গো আমি চলে যাই’। আরেকবার ফাংশন শেষ করে গাড়িতে উঠছেন হেমন্ত। হঠাৎই খালি গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল একটি ছোটো ছেলে। বলে অসুস্থ বাবার কথা। মৃত‍্যুশয‍্যায় একবার তিনি চোখের দেখা দেখতে চান প্রিয় শিল্পীকে। হেমন্ত বিষণ্ণ ছেলেটিকে গাড়িতে তুলে নেন। তারপর হাজির হন ছোটো এক গলির জীর্ণ কুটিরে। মৃত‍্যুশয‍্যায় শুয়ে এক অপ্রত্যাশিতের মুখোমুখি হন শিল্পী ও শ্রোতা। পরে হেমন্ত বলেছিলেন কী এমন আছে আমার যার জন্য মানুষের এমন ভালোবাসা আমি পেতে পারি! এখনও পৃথিবীতে আছে জীবনের বিষণ্ণ সন্ধ্যায় একপশলা অপ্রত্যাশিত। না বলে আসে। না বলেই চলে যায়। মানুষ যখন টের পায় তখন হেমন্তের পৃথিবী জীবনানন্দের ডায়েরিতে লুকিয়ে পড়েছে।


সমৃদ্ধ বনান্তরে সকল শস‍্য আলো দেয়। উৎপাদন রহস‍্যের কাছাকাছি। জমির সীমানা মেপে নেয় একদা প্রাচীন মালিক। তবু কি ঝড়েজলে পাওয়া গেল তাকে? হাইরোডের পাশে গচ্ছিত ঋতুরহস‍্য। এই সমৃদ্ধি দেখছে বাঁকা চোখে শেষ কুশীলব। যখন বাতাসে বিধবা নাভির আকুলতা। বহুদিন পর ছায়ার নদী ভেঙে এগিয়ে এসেছে বনভোজন। নিজেকে তার মনে হয় নাবিক। চারদিকে জলের ভিতরে আলপথ বেয়ে যথার্থ ভ্রমণ। এবং এইসব অতিশয়োক্তি গিলে নিজের বয়স সুস্পষ্ট হয়।

এবার গরম ভাতের উপর সামান্য মাংসের ছোঁয়া পেলে আমি লিখে দেব সন্দেহজনক এই পিছনের বাড়ি। রোগা ছেলে উদাসীন জ‍্যামিতি আঁকে মাঠের দুপুরে। তারপর চৌমাথার মোড়ে ভিড় বাসে ঝুলতে ঝুলতে দু-একটি মানুষ চোখের সামনে দেখে ফেলে মৃত ধান, রক্তে মেশানো এক জন্তুর ছায়া। উৎপাদিত শহরের চারপাশে, এই ঝড়ে জলে যা কিছু আচ্ছাদিত তারা বাদলের সংসারে ভেসে ওঠে। তখন হাইরোডের দু-পাশে অকালমৃত ঝরে পড়ছে গান।

ক্রমশ ভোরের দিকে দেখে ফেলি। সায়া ও সেমিজ ফেলে অর্ধনগ্ন দেহ মিশে যায় মাটির শরীরে। শুধু গৃহস্থটুকু পড়ে রইল। একটি সোনার কলস ভরে সিন্দুকে রাখা হল চরিত্রের আমিষাশী নখ। এখন দু-টি সন্তানের দায়িত্ব, চাষবাস, প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারি— এক হাতে সব দিয়ে, বলুন দেখি সে কোথায় পালাল? যাত্রাপালার এই কথাগুলি ভোররাতে লণ্ঠনের পিছু পিছু চলে এসেছে আমার ঘরে। চায়ের জল চাপিয়ে তন্ন তন্ন খুঁজে চলেছে অসুখের বৃত্তান্ত।


তারপর একদিন ভোরে এসে পৌঁছল নবীন দম্পতি। নির্জন পাহাড়ের কোলে মধুচন্দ্রিমা। যে-বাংলোয় উঠেছে তারা সেখানে পর্যটক নেই। শুধু এক প্রবীণ দম্পতিকে দেখা যায় মাঝেমধ্যে। সকালের রোদ্দুরের ঋণ শোধ করে দেয় গোধূলির আলো। তরুণ স্বামী স্ত্রীকে সাবধান করে দেয়— যেন তাদের নতুন জীবনে ওই প্রবীণ দম্পতি আলাপ জমাতে না আসে। তবুও আলাপ হয়। একদিন সন্ধ্যায় প্রবীণ দম্পতির ঘরে চায়ের নিমন্ত্রণ আসে। নবীন দম্পতি সন্ধ্যায় পৌঁছে যথারীতি অপ্রস্তুত। বৃদ্ধা অসুস্থ। আর তাঁর মাথার পাশে বসে সেবা করে চলেছেন প্রবীণ স্বামী। সারাজীবন নিঃসন্তান, বহুবার অসুস্থ স্ত্রীকে সেবা করে আসছেন তিনি। একসময় ঘরে ফিরে আসে নবীন দম্পতি। তরুণ স্বামী টের পায় অবরুদ্ধ কান্নার স্বর। এক অপ্রত্যাশিত রূঢ় জীবনের ধাক্কায় বিশ্বাস টলে যায় তরুণীর। আজ তার যৌবন আছে। শরীরের লাস‍্য আছে। আজ ভালোবাসার কথা বলা অনেক সহজ। একদিন জীবনের পড়ন্ত বেলায় এই ভালোবাসা এমন অবিশ্বাস্য সুখের সন্ধান দেবে কি? না কি অর্থহীন নীরবতায় চরাচর জুড়ে নেমে আসবে অবলুপ্ত শরীরের শোক?

এমন করেই আবার একদিন গল্পের চরিত্রের মুখোমুখি হয় একজন সুদূর ‘আমি’ উদাসীন সংসারে। আমি মানুষটির সংসারে অথবা সমাজে সক্রিয় কোনো ভূমিকা নেই। আসলে তার কোনো ব‍্যক্তিত্ব নেই। নিজের স্ত্রী পর্যন্ত সংসারে তার কথার কোনো মূল্য দেয় না। গোটা জীবন জুড়ে শেষপর্যন্ত তিনি যেন এক অতিরিক্ত— উচ্ছিষ্ট। তবুও একদিন সকালে তিনি ফিরে পেলেন মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা এক নিজস্ব স্বর। বাজারে মাছওলাকে ধমকালেন। প্রতিবেশী এক কর্ণেলকে ব‍্যঙ্গের উপযুক্ত জবাব দিলেন। তারপর এসে দাঁড়ালেন বাড়ির দরজার সামনে। কলিংবেল টিপলেন। ভিতর থেকে তার স্ত্রী চিৎকার করে উঠল— কে? তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুধু বললেন— ‘আমি’। এই স্বর সত‍্যিই কি চেনে তার স্ত্রী অথবা সমাজ। তবু সে আছে। গোপন অমোঘ এক শুশ্রূষার মতো এই একরত্তি জীবনে।


তাঁর জীবনের সেরা পুরস্কার কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বনফুল শুনিয়েছিলেন এক আশ্চর্য গল্প। ভাগলপুর থেকে জরুরি কাজে কলকাতা যাবেন বনফুল। কুলি নিয়ে যখন স্টেশনে পৌঁছলেন প্ল‍্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। বনফুল হতাশ হয়ে বসে পড়লেন একটি বেঞ্চে। এদিকে কলকাতায় না-গেলেই নয়। ট্রেন আবার পরের দিন। হঠাৎ শুরু হল হইচই। যে-ট্রেন প্ল‍্যাটফর্ম ছেড়ে চলে গিয়েছিল সেই ট্রেন আবার ব‍্যাক করে প্ল‍্যাটফর্মে এসে দাঁড়াল। নেমে এলেন ড্রাইভার। বনফুলের সামনে এসে বললেন, আমি আপনাকে ডাক্তার হিসেবে চিনি তবে আপনার সমস্ত লেখা আমি পড়েছি। আপনাকে ছুটতে দেখেই বুঝেছি আপনি কলকাতা যাবেন বলে আসছেন। তাই আমি গাড়ি ব‍্যাক করে নিয়ে এলাম। চলুন স‍্যার। একজন লেখকের জীবনে এর চেয়ে অপ্রত্যাশিত পুরস্কার আর কী হতে পারে? ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই অবিশ্বাস্য ঘটনার হয়তো আর পুনরাবৃত্তি হবে না। একজন দক্ষ ড্রাইভারের দেখা মিলবে হয়তো, কিন্তু তিনি একজন পাঠক হিসেবে লেখককে এই স্বীকৃতি দেবেন কি?

সেবার আমেরিকার বঙ্গসম্মেলনে গিয়েছেন পঞ্চাশের একজন জনপ্রিয় কবি। এইসব অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাঙালিরা চান শিকড়ের গন্ধ। কিন্তু সাহিত্যের চেয়ে গান নাচেই থাকে প্রধান আকর্ষণ। একসময় এল কবিতাপাঠের পালা। দর্শকমণ্ডলী সুযোগ বুঝে মেতে উঠলেন গল্পে। কবিতা শোনার আগ্রহ নেই। সেই কবি যখন কবিতা পড়ছেন তখন রীতিমতো হইচই চলছে। সুযোগ বুঝে কবিও মাঝখান থেকে অনেকগুলি লাইন বাদ দিয়ে কোনোরকমে কবিতাপাঠ শেষ করলেন। ফেরার সময় প্রেক্ষাগৃহের বাইরে কথা বলছেন কবি। একজন যুবক বললেন আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আপনার কবিতা শুনছিলাম। কিন্তু আপনি মাঝখানে অনকগুলি লাইন বাদ দিলেন কেন? এই অবিশ্বাস্য পাঠকের জন‍্য কবির সেদিন মনে হয়েছিল তাঁর কবিতা লেখা সার্থক। এইভাবেই কাগজের নৌকো সব আলোবাতাসের জলে প্রাণ পায়।

আসুন শুনে নিই সেই অন্ধ মানুষটির কথা। রোজ অনেকটা পথ পেরিয়ে, অনেক কষ্ট করে তিনি মন্দিরে যান। প্রতিদিন একজন যুবক তাঁকে হাত ধরে রাস্তা পার করে পৌঁছে দেয় মন্দিরে। রোজ একই কাজ করতে করতে শেষপর্যন্ত কৌতূহলবশত যুবকটি সেই অন্ধ মানুষটিকে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা আপনি তো ঠাকুরকে দেখতে পান না, তাহলে রোজ রোজ এত কষ্ট করেন কেন? অন্ধ মানুষটি গাঢ় স্বরে বলেন, আমি আসি তার কারণ আমি ঠাকুরকে দেখতে না পেলেও, ঠাকুর তো আমাকে দেখতে পান! এই বিশ্বাসের পাশে কোনো অবিশ্বাস নেই, অন্তরের চোখদু-টি যেন সদাজাগ্রত! তিনি জীবন দিয়ে সত‍্য করে তোলেন ‘অন্তরে আজ দেখব যখন আলোক নাহি রে’।


এসো এই অপরিমিত শস‍্যের গায়ে হাত বোলাও। যতক্ষণ রূপকথা দণ্ডিত মানুষের আয়ুরেখা আঁকে। সূর্যাস্তে উড়ছে সব ধুলোমাখা স্মৃতি। মৃত মেয়ের কথা মনে পড়ছে যখন ওর মতো বিড়বিড় করে জুড়ে দাও অহেতুক অপাপবিদ্ধ খেলা। দণ্ডিত সবুজের দেশে কুসুমের রং। গর্ডকেশর। সেই দিনের রাজার গল্পটা বলো। যার শরীর জুড়ে পলাতক মানুষের চোখ। প্রহরীর মৃত‍্যুদণ্ড। তারপর মনে পড়ুক ঘুমের ভিতর কীভাবে বদলে গেছে পথ। সেই পথে ধীবরের জাল খেলা করে। মনে মনে একটি প্রকাণ্ড বাঘ সাক্ষী রইল তোমার রূপের। আর এক পেপে গাছের মলিন স্তনভার। বুকজোড়া দুধের পিপাসা। তারপর নীরবতা জলের সমান।

এখন সবুজ তিথি। বংশানুক্রমিক ওই ব‍্যক্তিগত অভিমান— পাঁচিলের দুষ্প্রাপ্য বই।

মৃত মেয়ের ছবির চেয়ে সুদর্শন পাখিসমাচার। গণআদালতে ছুটির মহড়া। একচিলতে রোদ্দুরের গায়ে এই মৃত বনপথ।

স্রোতের বিরুদ্ধে এই স্পর্শের হাত। লিখে রাখি। মৃতদেহ নিয়ে ম‍্যাটাডোর ছুটে য়ায় অন্ধকারে। বহুদিন খোঁজ নেই। একটা বারো বছরের না মিশে যাচ্ছে কুয়াশার ভিতর। যা কিছু দৃশ‍্যাতীত সেই দিকে দু-চোখের বাধা। এবার প্রহর মেপে ধানের উপর বসে আছে ক্লান্ত চড়াই। রূপকথা অসম্ভব দামি। নদীর জল ফিরিয়ে দিচ্ছে ঠোঁটের চুমুক।

এইসব দিনরাত মানুষের কথার পিছু পিছু উঠে বসেছে বিছানায়। বারো বছর পেরিয়ে একজন অচেনা পুরুষ দেখে ঘুমন্ত শিশুর মুখ, ছেঁড়া কাঁথা সর্বস্ব আমার। এখনও সাঁতার। ঝোলায় রয়েছে ভ্রমণ— লাল নীল টিকিটের আশ্চর্য ধুকপুক। ভেঙে পড়ার আগে এই সমর্পণ। কচুরিপানার মতো মিথ্যে লেগে আছে।

ও যদি এসেই পড়ে, ভাঙা ডানার ছায়ায় পেতে রাখে নিবিড় যৌনতা আমি তবে এলোমেলো জ্বরের বিকার। সন্তানের বুকে একশো আট রকম মিথ‍্যে বুনে ফুল ফোটাই মধ‍্যরাতে। সে এসে দেখুক একটা শরীর জুড়ে নিশিদিন মোমবাতি জ্বলে। একটা শরীর রহস‍্যের ক্রমাগত ব‍্যবহার ভুলে গেছে আজ।

একটা না-ঘটনা ছুটে যাচ্ছে কাহিনির দিকে। চারদিকে জলের অশৌচ। কথায় কথায় ঢেকে যাচ্ছে খড়ের মানুষ। অবলুপ্ত দেহ— তবুও সুন্দর তোমাকে ছেড়ে যায়নি। ছোটো স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে দূরদেশের গাড়ি। তুমি বাথরুমে সাবান রেখে সেই যে ছুটে এলে…

আড়চোখের ভাষা সিগন্যাল পেরোচ্ছে। চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে যতদূর…

শেষ পাতা

Facebook Comments

পছন্দের বই