লেখক নয় , লেখাই মূলধন

জাতিস্মরের কবিতা

একটি দোমড়ানো
স্বপ্ন রাখা টেবিলে।
পাশে স্পুন ও ফর্ক
গরম একটা চেয়ার।
খাদ্য হওয়ার আগে দেখে নিচ্ছ
বুঝে নিচ্ছ
কোন কোন ইন্দ্রিয় সজাগ আছে তোমার…

উলের বল ও শীতকাল নিয়ে
খেলা করতে গিয়ে
বিব্রত হচ্ছ তুমি

উলের বল গড়িয়ে গেলে
শীতকাল এসে ছুরি রাখে গলার কাছে

আর শীতকাল গড়িয়ে গেলে…

যে কোনো দিকে একটা দরজা খুলতে পারে
অনন্ত ঘুমের পরে

যে কোনো দরজা দিয়ে উড়ে আসতে পারে
এক টুকরো পশম
আমার আশেপাশে নেই কোনো গ্রীষ্মের ঘরবাড়ি
উঠোনে পচা বর্ষার জল, শীতের মাদুর

তবে কেন দো-ফসলি রক্তমাংসের স্বপ্ন দেখিয়ে
বালিশের পাশে মৃদু হাতে রেখে যাচ্ছ হাড়ের লাঙল

অনন্ত কালো রাত

ঘন নিঃশ্বাস ভাঙতে ভাঙতে
ঠোঁটে ক’রে সমুদ্র পেরোচ্ছ তুমি

ঘোড়ার মৈথুন শব্দে
ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ছে
জল

তুমি
গুনে চলেছ
কটা তিল কুমারী থেকে গেল
তোমার গায়ে

এমন নিয়তি পাবো বলে
ধরে আছি ঈর্ষার শরীর

বাঙময় পৃথিবী বলে কিছু নেই
সবই সাদামাটা প্রবঞ্চনা।

শুধু দূর থেকে দেখি

আকন্ঠ বিষের নদী বুকে ধরে
মায়াজন্মে শুয়ে আছো তুমি

আর তোমার ব-দ্বীপ জুড়ে
জেগে উঠছে
আমার মায়াভুখের
একটি দুটি সফল যতিচিহ্ন

একটি গাঢ় লাল মেঘের
গায়ে তুমি ঘুমের মধ্যে
গেঁথে দিচ্ছ হারপুন

আর অজস্র সৌররেণু বিঁধতে বিঁধতে
তোমার দুচোখ প্রত্যক্ষ করছে
কীভাবে একটি গুপ্তকক্ষ পরিণত হচ্ছে
পাখিরালয়ে

এক, দুই, তিন করে পরপর ষোলোটা কবিতা
লেখার পর বুঝতে পারছি
ষোলো জন কুমারীর স্তন ছাড়া কিছুই আঁকি নি
এদিকে শরীর জুড়ে যে মাদকতা জেগেছে
তাতে মনে পড়ছে
গতজন্মের বিহু উৎসবের কথা

আমার মত এক নগন্য রঙিন পালককে
তুমি যত্ন ক’রে গুঁজে রাখছিলে মাথায়

Facebook Comments

পছন্দের বই