লেখক নয় , লেখাই মূলধন

তন্ময় কুমার মন্ডলের কবিতা

তন্ময় কুমার মন্ডলের কবিতা

পেরেক ভাবছে বিদ্ধ করেছি, আসলে সেই- ই আটকে আছে

“বিকল্পই তোমাকে টেনে এনেছে এতদূর। ভাবছ অনন্ত ধারেকাছে কোথাও… অথচ অন্ধকারের বৃত্ত ;

এ জাল তোমারই বুনন, ঢেউ এবং আলমারি উঁচু হয়ে আছে

” বোঝাব বলেই পথ দৃঢ় নয় অথচ বাঁক গুলি যথোপযুক্ত বেঁকে আসেনি। এতদূর ফোলানো নিয়ে ফিরে আসার জন্যই অথবা প্রাপ্য নেই তাই অস্তিত্বও

” অস্বীকারের ফাঁদে পড়েছ তুমি। এই বিছানাহীন ঘুমের ভেতর উল্টো হয়ে আছে যে, তার চাকা নিয়ে মাথা ঘামাও কেন? ফুলের গ্রাস নাও আরও বড় হাঁ আর মুক্ত আলমারি

” ভুল এই গামছা টেনে কী বোঝাতে চাইছ তন্ময়, নীচে দেখ ঝুলে পড়ছ। চিহ্ন থেকে ফাঁকা কুয়াশায় আলগা তোমার অনন্ত

” আহা এইসব জলের আবহাওয়া তোমার ভেতর। আহা

বিন্দুতে লেগে আছে গতজন্ম, আর পুরনো পাতার প্রলেপ ডাকছে তন্ময় তন্ময়

“ছাদেও আসবাব রেখো, পতনের শব্দ থেকে সাজিয়ে রেখেছ পায়া, এতদূর শোনা যায় মিহি সুতোর টনটন। বাজো, গভীরে গেলাস ডুবে যায়

” সন্ধ্যার সন্দেহ দৃঢ় হয়, যতো বলো তুমি, তার থেকেও আরো তীক্ষ্ণ মেষরাশি। দাঁড়ানো শিঙের গভীর, ভাঙা ও গোঙানোর পাশাপাশি চিৎকারও স্বাভাবিক। আরও হও জড়, গুটিয়ে একাগ্র হও

“চৌকাঠরত। একা নও , ডিঙোনো ওপাড়ে এক কুকুর খেলা করে। লেজ ও চক্রাকার লোডশেডিং এর ভেতর, ক্রমাগত ক্ষেত্রফলহীন।

” আমিও খোলসময়, রেখা ও দাগের ক্ষত নিয়ে সমুদ্র পেরোচ্ছি। নিজেরই চুলের অগ্রভাগ অথচ দূর নক্ষত্রের আলো প্রকাশিত হয়। মনে করি উপচে ওঠা, মনে করি লাভাময়, ফেলে আসা লেজ নিতে বারবার আসি।

” এও এক পুনর্জাগরন, স্বপ্ন নেই তাই সত্যি দেখি।

“দাগ নেই, ব্যথা অনুভূত হয়। দাঁত নেই, আপেলও। ভ্রমণের ঝুলকালি আরও ঘন, আরও সংবদ্ধ টিকটিকি। দেওয়াল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে না

” আমিও তরল, পিপাসার গর্তে ঢুকি। ফেলে আসা বেসিনের গন্ধ আরও তীব্র হয় । এ পর্যন্তই, তারপর নিজেকেই দেখি আস্ত একাকার ফলে ও বেসিনে, ধীরে ধীরে গজিয়ে ওঠে

Facebook Comments

পছন্দের বই