লেখক নয় , লেখাই মূলধন

নীলাব্জ চক্রবর্তী-র গুচ্ছকবিতা

অশ্বক্ষুরাকৃতি একটা সম্পর্ক

রুটি। শব্দ করছে। অশ্বক্ষুরাকৃতি একটা সম্পর্ক। কাঠের গায়ে বিঁধে আছে স্ত্রী-অক্ষর হয়ে। বিশ্বাসের বাগান। বিশেষণের। কার অভ্যাসের নীচে পিষ্ট হচ্ছ আর ধীরে অর্জন করছ স্মৃতি-স্থাপকতা। রং করছ মানুষে মানুষে নড়াচড়ার প্রোটোকল। ভারী স্বপ্ন। প্রাচীনতা ধারণ করছে। বারবার বেঁকে যাচ্ছে। পোজ দিচ্ছে অথচ। সে রাস্তা এক বুনুয়েল। ঘাস। এই আলো ভেঙে ফেলল। কাট-পেস্ট। ক্রিয়াদের যত অবয়ব। যৌনতার ভেতর যেসব কুয়াশা। রিভার্স-অসমোসিস। যোনি এক দেশ এভাবে। না, রাষ্ট্র। নৈঃশব্দ্য করছে…

স্বাদ

লেস বসানো একটা বিকেল। স্থির মাংসের সাথে এঁটে ওঠা। স্পেস। স্পেস। শরীর নতুন হয়ে এক ফল ঋতু। ক্রমশ একটা দীর্ঘ বাক্যের সরলতার দিকে চলে যাওয়া আয়নাঘর। বৃন্তে ফিরছে। ভার্চুয়্যালি। আসলে, সব কাঁচ ঘরে ফেরে। ঘরের গভীরে ফেরে। লক্ষ করে, মাংস এক বহিরাগত ব্যবহার। বোতামে আঙুল রাখে। ফ্রেম পুড়ে যাচ্ছে। নেগেটিভ। ভাল লাগছে এই অন দ্য রাইজ। ওয়েলকাম বেল। বেলুন। ধাতুর তৈরী প্রচ্ছদ। ভাঙা ভাঙা ভাষা। আমাদের ক্রিয়া ঘোর হয় তখন। স্বাদ হয়…

রেখা

রিভার্স কার্ভেচার। গল্পের ওপর গল্প চড়ে বসছে। টান পড়ছে আর বাঁক অবধি লিখে রাখছি ওয়াই স্ক্যোয়ার ইজ ইকুয়াল টু ফোর এ এক্স। বৃত্তের অধিক এই ঋতু। ডায়াল করছি। নাভি মানে ফোকাস। সাদাকালো এই জঙ্গল। অথচ ঘরের সবটা জুড়ে কাগজ আর শিকলের রঙিন উড়ছে। চামড়ায় যে সংখ্যা। গায়ে জড়িয়ে যাওয়া যে জন্মদিন। হলুদ বেলুন খুলে নীল বেলুন তার উড়ে যাওয়া শব্দরেখা…

উদাসীন

জুতোর নতুন বাক্সে
কেটে নেওয়া রাস্তার মাপ দেখছে
একটা অপেক্ষার রং
শরীর ফেলে
হাত নাড়তে নাড়তে অন্য একটা কবিতায়
উদাসীন কার
একটাই নীল ছায়ায়
পড়ে ফেলছে
সর্বস্ব নামের একটা ঘ্রাণ
দিনের এক মুগ্ধ ভেতরে
বিরহের ভেতরে
তীব্র ফোকাস করছে বারবার…

মাংসের গান ভেবে

চোখের গভীরে কার চোখ
লাল কোনও একটা দৃশ্যে
অথচ
ফেলে রাখা
নাতালিয়া নামের দিক
ভ্রমের ভেতর
মাংসের গান ভেবে অপেক্ষা নিয়েছে
যে ফ্রেমে
পড়ে যাওয়া
এই কলোনী-বাজার অবধি মার্চ…

Facebook Comments

পছন্দের বই