লেখক নয় , লেখাই মূলধন

প্রীতম বসাকের কবিতা

স্থিত হও। মধুর যে আলোক—চক্ষু মুদিয়া তাহার সংহিতা বুঝিয়া লও। প্রবীণ বাক্যের পার্শ্বে আমাদিগের সারল্য রাখিয়া দিয়াছি। ওলো কৃষাণীর দেহের কাঁচা লাবণি ভাসিয়া যায় স্রোতে! অধর ফাটিয়া জীবমণ্ডল প্রস্ফুটিত হইতে থাকে। একটি মানুষের দিনলিপির ভেতর ঢুকিয়া পড়ে ভিন্ন মানুষ। দুঃখের সনাতন কাঁপিয়া ওঠে। তুমি ধারণ করিও উহার সজল বায়ু। মেঘ নামাইয়ো আশার ছলনে। দুদণ্ড দাঁড়াইয়ো হে পথিন৷ নিকটে ঘুমাইয়া আছে আমাদিগের দীন সফলতা !

অতঃপর তাহারা পাখির উচ্চতায় আসিয়া বসিল। দেখিল কুঞ্জবনে ছড়াইয়া আছে কাহার নোলক। একটি অসম্পূর্ণ আত্মজীবনীর অংশ ভাবিল কেহ। কেহ কেহ নদীর নিকট রাখিল দুঃখের তরজমা। একটি সহজ রচিত হইতে হইতে সহসা বাঁক লইয়া মানুষের পাড়ায় আসিয়া পড়িল। দেখিল ফুলের প্রতি সন্দেহ! শুশ্রূষা কেন্দ্রের নিকটে পথ হারাইয়াছে একাধিক ছোটোগল্প। একটি শিশুর দাঁতে আমি দেখিলাম চাঁদের টুকরো লাগিয়া আছে। তাহাকে একটি সরলরেখা উপহার দিতে গিয়া আমার হাসি হাসিগুলোর অপমৃত্যু হইল।

Facebook Comments

পছন্দের বই