লেখক নয় , লেখাই মূলধন

মনোজ দে’র কবিতা

মাঙ্গলিক


ভেবে নেওয়াটুকু গল্প
আর যা কিছু মিলছে না
আয়নার সামনে দাঁড়ায়

একদিন ঠিক
দুঃখবোধ থেকে দীর্ঘ হবে তোমার পৃথিবী


একদিন আকাশ দখল করবে
পরিমিত রোদ। গাছে গাছে স্নেহের আঙুল

টুকটাক সংগীত সবাই জেনে নেবে

আমি কি সেদিন বাজাতে পারবো
তোমাকে পিয়ানো!


লগ্ন বলতে যা বুঝি
উলু সহকারে এসেছে বারাত

এ লেখার পাশে
সকলে তোমাকে মনে করে, বলে ওঠে
রাজযোটক! রাজযোটক!


কেউ সবজি বাজারে কাটায় যতক্ষণ
সেই অল্পখানি সময় বরাদ্দ। এর মধ্যে
দেখা, ফিরে যাওয়া— এতগুলো ঘটনার সাক্ষী আমরা

এখন যেকোনো অজুহাতে
ওই রাস্তা বরাবর যাতায়াত
দেখি, দীর্ঘ জ্যাম, অজস্র মানুষ
তাদের বিকট চিৎকারে বাজার ফুরোচ্ছে না


এতখানি ঝুঁকে দেখো কোনোদিন
যেখানে পা ভেদ করে চলে যাবে সমস্ত নিষেধ

দুহাতে সান্ত্বনা নিয়ে, যারা অপেক্ষায়
কাউকে বলিনি, কতগুলো টেক্সটের ভারে চাপা পড়ে আছো


ঠিক কতখানি প্রয়োজন যোগাযোগ
কতখানি শুশ্রূষা তোমাকে পেলে
সমস্ত রোদ্দুর শীতকাল হয়ে উঠতে পারে

যথেষ্ট জমেছে অভিমান

তবু জানি, আমাকে জড়িয়ে
আবার ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠবে তুমি


সে তো ততটা নিপুণ নয়
জানার পরেও, ইচ্ছে হয় ছুঁয়ে দেখি

অথচ বিশ্বাস কেমন অদ্ভুত

এ পৃথিবীর সমস্ত রাহু ও দোষ, তাদের উপশম
প্রেমিকার বিপরীতে পাথরে বসেছে


যুক্তি গ্রাহ্য নয়
এভাবেই একেকটি জীবন ঝুঁকে পড়ে অপর জীবনে

কিছুকাল কথা হয়, আলোচনা, গান বিনিময়
ধীরে ধীরে পুরোনো হয়ে ওঠে আঙুল, সামান্য শীতকাল

তবুও প্রকৃত ভালোবাসে যারা
গণিতের তোয়াক্কা তারা কখনো করেনি


আদতে একটাই শহর সেখানে
কেবল রাস্তার ঘেরাটোপ
আর রংবেরঙের আতিথ্য তোমাকে মুগ্ধ করে

সেসব বিভ্রম ভেবে
মুহূর্তেই ভেঙে যাচ্ছে চুড়ি, টিপ নিশানা হারিয়ে

একমাত্র যুবক সেখানে
তোমার চাঞ্চল্যে বহুকাল মুগ্ধ হয়ে আছে

১০
এত বিরূপ সামলানো যায়?

আরও শান্ত হতে হবে
আরও অনেক নিখুঁত

বছর খানেক পর, যদি কথা আসে
কোনো বাহানায় ভেঙে যেতে বলে, চোখ

যেন স্বতস্ফূর্তভাবে বলতে পারি
ওই নামের মানুষ এতদিন তো বাঁচে না!

Facebook Comments

পছন্দের বই