লেখক নয় , লেখাই মূলধন

রাহেবুলের গুচ্ছকবিতা

ভিসেরাবাসী

অন্ধকারে শঙ্খচূড়ে মায়াময় হইত এ বাঁশতলা একদিন। যতেক আঙুল।
বা বহুদিন। কিবা বহুদিন পর আবার একদিন।
খেলতাম পাপাত্মা। যদি-বা

লেটেস্ট ভার্সন জেনেটিকে, আমি এই, তুমি, ও
আজ একত্র বা একা হই পষ্ট। কখনো মাওবাদীমন

গড়ায়ে নামে ভবা। আমার সন্নিকট। তহবিলে তার তামাম খাই-খরচার হিসেব।
সে এক উঁচা উঁচা পাবত। বা সমতল হতে এক বিমুগ্ধ পলিথিনগর্ভেতে থান পাতে।
বেফাল তুই হয় তো। অন্তে অনন্তে এক মনুষ্যপ্রজাতি যেইখানে আগুন শেখে, লাগাতার।

একদা

ঝাঁক বাদুড়ের ডানায় সাঁঝ নামলে এ গমগমেতে তুমি এলে একা।
ঝাঁক বাদুড়ের ডানায় সাঁঝ নামলো। তুমি এলে অবশ্য। অবশ্য একা।
সাটার নামানো সমস্ত পশার ঊরুতে উঁকি

এইখান থেকে একটা, একটা নয়, অতঃ অধিক
সংখ্যা নিয়া তক্কো করে অবিশ্যি লাভ কিতা…
কেন লাভ নেই? OBJECTION: এক শীতঘুমে সংসদ।
ফোকাসটা নড়ে যাইতাছে না ধীরে ধীর্‌?

তাক করা ছিল একখান স্তনের ডগায়…

পাখিরালয়। এবং থ্যাঁতলানো। হইচইগুলো সব ক’টা নিঃসাড়…

সম্বাদ

কথা উঠছে নাকি সর্বত্র হতে রাত্রির। পটে আর ভূমিকায়, বিষয়ে আর বস্তুতে খালি নাকি রাত।
মুদ্রাদোষ। মুদ্রাদোষের মতোই ব্যাপার দাঁড়ালো মনে হয়। মেনে নিলাম এইতক।
অদ্য এইবারকার কথা কওয়া। এক্ষণেও সেই রাত, জোনাক-ডোবা এক রাত।
বেহিসেবে অ্যাখোন কথা বলতে হয় অনেক, অনেকের। বা অনেকের, অনেক। খানিক পালটে নিলেম।

আগুন পুড়ছে। সাদাসুন্দর কোয়ি আগুন। একখান সাদা চক্ষু মোমেন্টাম ধরে।
আজি নাকি তুমি সঙ্গে এনেছ কিছু। ছাই।

গড়ে মিল: গড়মিল

অজানা সে রকম। কী রকম। এক যে ছিল ঘেন্না। গতানু গতিক
চাইতে যা তুমি। এইভাবে বলতে চাচ্ছি না। হচ্ছে
স্বাভাবিক আর অ-স্বাভাবিক বলে ব্যাপার আছে এক
তার পার্থক্য মনে গড়ি। তা বলে মনগড়া নই

আসলে হচ্ছে বা হলই ধরা যাক
বোঝানো। জানানো কাউকে। তরফে আমার তোমাকে
আমি যা নিজে থই থই ভিনটেজ
নিস্ফলত বেখবর সব। বা সবেতে বলতে পারি

তবু স্টিং। হিডেন যে ক্যামেরা— হিডেন ক্যামেরা ওই
সেই মোতাবেক, খোঁজ্‌ খোঁজ্‌
দোলা-ডাউরি না কী ড্রয়িংরুম এই সব চিরায়ত মার্কা
আর বুঝতে পারিনা গোল-যোগ। হেথায় পুলিশি রেড

নিজ্‌ নাম ফুর্‌কুন্দু

এইডা হক্কলে জানে (মিছা কতা, সবাই কিতা জাইনব?)
কতা আমার অল্পে ফুরায়। কবিতা হতে হতেও
হয় না। কোবি হই হই, ওই তো স্টে অর্ডার।

যাহা হোউক কতাটা হইল যেডা বলার ( বালের না কিন্তুক )

লিঙ্ক ফেইল। এখোন তাই ম্যাটিনি হউক। টাইম আউট। টাইম আউট
ফুরকুন্দু মানে কিতা?
বাবা মায়ে মিলায়ে যে নাম
তার অর্থ তারাও জানে না বালা
আমিও সেলেব থাইকা ডাইরেক্ট রাজনীতিক নি, ক্যামনে কমু

নেটয়ার্ক বিজি। আর বিজি নেউল তারা অ্যাখোন কোথা?
জঙ্গল তছনছ খামোখা। ওগু তো বিকিনিবিচ লাগে

পরের কারণে স্বার্থ নিয়া ভাবি। আপনারে আপনি
তাইতো চিনি না, সেও হক কতা। বস্তু কি আপনাতে
মিলায় সবই, সই?

বিপ
আপত্তি ছিলনা উধাও হতে সেখানে তোর কোনো ব্রান্ডেড চুম্‌বনে। মিছে কৃষ্ণকালোর গ্যালাক্সিতে একটা।
একটা সাতমহলা টং-ঘর বাঁধিয়া লইতে।

কোথাও এক ডারপোক লুকোনো চাপাতি। কোথাও এরকমই এক আনপর হাম্বা। কোথাও এরকমই কত।
আর আয়নামহলে আটকা সেই অজ্ঞেয় তুমি।

।। ফেরত ভাবছ তুমি ।।
সবটা লালে রাঙানো হয়নি তো এখনও ডিএনএর ঠোঁট। আরও বাকি বিস্তর সেই প্রেম। নোয়া-নৌকার পাড়ি।

শঙ্খিনী সনে

স্বতই যদি সাধ জাগে মনে খুব তোর
দেন, আয় ছেঁচড়ে-গুঁড়িয়ে যা দিয়ে
কুকুরের ধূসর ধুলোর ঘাম কী ঘুম

আর টিয়ার গ্যাসের কাঁদানোয় মিশুক রক্তিম রক্তিম লাল

শিওরের শিরে তামাকুর টেমি হাতড়ে চলে বেঘর নিশা
ভাইরাল চুম্বনে কেউ থুতু লেপে লেপে দিয়ে বিগত হতেছে
তাহলেও একটা মিহিদানা তলপেটে এসে জমে

সেনানীদিগের লোলুপে চক্ষে লালা, সন্দেহ করো না এমন

রাক্ষস কোথা ?
সে তো বিরূপকথা। নৌ-ঘাটেতে পসার খুলেছে গো চটিচপ্পলেরা। এসো একদিন দুজনাতে।

গুঁড়োকবিতা

সেন্সর
ইতোবৎসরে আমি সবটা সেন্সর্ড হতে থাকলাম। এবং আবারও নখদন্তযুগ

মার্চপাস্ট
আর সেই অর্ধনমীত পতাকার পাশে, কিছু লাল সূর্যাস্তের মার্চপাস্ট

ঘুম
একটা ঘুমের বন্দোব্যবস্থা হবে এখানে তোমার?

রাত্রির তৃতীয় প্রহর
নিশিপায় কেহ। ফোঁটা কয় সাদার বেশি আমি। ভালো তোমার নামগন্ধ।

আয়নামহল
তুলতুলে বলিতে পরশে স্তনের নরম। সেই ভাবি সুখ পেলে। দেখবা না এসে আয়নামহলে বারুদঢিবি?

সাধো
একটা ঠ্যাং কবরে, তাহে কী? সাঁঝদিগন্তে পাখনা মেলিছে সাধো।

পর্দা
যেলা চান উঠিবে সবায় দেখিবে…

ঘোড়
ঘাস কাটতে ব্যস্ত ঘোড়া কী মনে করে তোমার গুঁড়ো ঘুমে?

Facebook Comments

পছন্দের বই