লেখক নয় , লেখাই মূলধন

শৌভিক দে সরকারের কবিতা

বর্ণ অন্ধ এক

মেঘ ও মারীর এই চিহ্নটিও আমার
অপরাধের সূত্র ধরে কাচের ওপর দিয়ে হেঁটে যাই
সন্তর্পণ জানালার বিচারক্ষেত্রটির দিকে ঘুরে দেখি
স্পর্শের দক্ষিণ, থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকা সিলিং ফ্যান
পোড়া মেঘের ছায়া এসে লাগে কাচের ওপর
আমি মুখ নামাই, জিভের করুণা খুঁজি,
খুঁজে দেখি শাদা ও কালোর অবশ্যম্ভাবী একটি চরাচর

পারদ

ফাঁকা রাতের আলস্য
দ্যাখো পিঠের ওপর জড়ো হয়ে আছে অবিকল ঘুম

প্রচ্ছদ

এই উত্তরটিকে প্রতিউত্তরের দিকে ঠেলে নিয়ে যাই
পুঁজরক্ত, কণ্ঠার মৃদু হাড় ডিঙ্গিয়ে লিখি
আঙুলের অস্পষ্ট দাগ, মহড়ার লাল আয়না

আসলে এই গাদ, মাটির তাল হয়ে ওঠা বর্ণমালা
খুব নীচে নেমে আসা অতীত মেঘটিকে লিখি
অপর্যাপ্ত বৃষ্টিতে খুলে যাচ্ছে হাড়ের জোড়
খড়ের প্রতিমার দেহকান্ড, খড়ের নির্বেদ

ক্যালিগ্রাফ

বাড়িটিও ক্রমশ রাত্রিকালীন হয়ে ওঠে
তোমার ঘুম, নিঃস্ব বসতির দিকে এগিয়ে যায় রসাতল

দেশ রাগ

প্ররোচনা ও অংশগ্রহণের জুয়াছক
অহেতুক একটি বৃত্তের মধ্যে ঢুকে পড়ছি আমি
সংক্রামিত আবাদ, চীনা পেতলের সামান্য চাবি
আংশিক বশ্যতা ভেবে আমিও ঢুকে পড়ছি
বৃত্ত বিন্যাসের ভেতর, শাদা পাঁউরুটির ভেতর
লক্ষ্য করছি পরবর্তী পান্টারের হাতযশ
নিষ্ক্রিয় বসন্ত, দেওয়াল অবধি বেড়ে ওঠা
অতিপ্রাকৃত ইতিহাস

Facebook Comments

পছন্দের বই