লেখক নয় , লেখাই মূলধন

সমন্বয়ের গুচ্ছকবিতা

ক্ষরণ অতএব কাঠপোকামুক্তি


শব্দের আগাগোড়া বুঝে নিলে মধ্যের শ্বাস ভাস্কর হতে পারে না। শব্দ হাঁপায়, সাদা বুকে দীর্ঘ শ্বাসের ভারে শুয়ে পড়ে। অধিক হাঙ্গামার পর পাতারা হিমাচল খুঁজতে যায়…


যেরকম হন্যে হয়ে ঘুরেছে ঘড়ির কাটা সেরকম কি তুমিও চেয়েছ আমাকে ঘোরাতে… জানি দুটো পথের ফাঁকে অপেক্ষা নিভে গেছে। জানি জলের নীচে জল বয়ে গেছে, থামেনি…


এখন ঢাকনা বুঁজে গেলে অশ্রুতে দিনলিপি লেখা হয়, ঠোঁটে ভিখারির তাপ তরতরিয়ে ঘামে— এখন সময়ের গুহা কেটে আমাদের জন্মতিথি থলেভর্তি বাজার নিয়ে ফেরে।


বন্ধুর মুখস্থ মুখোস খুলে মুখ বের হলে মুখস্থ আয়নাও প্রতিবাদ করবে তোমার, আকাশের খোচর সেজে তুমি আর কতদিন— এবারে মুঠো খুলে আকাশে পাথর ছুঁড়ে দাও।


কবিতা যখন জন্মলগ্ন ছাড়িয়ে ড্রামবিটের মতন কড়া হয়, আয়না যখন নিজস্ব আগ্নেয় চক্রান্ত দেখে ঘামে, যখন ঘুমন্ত প্রহরীরা খোলা শরীরে পেরেক গাঁথে, বুঝি নিমগ্ন তুমি ঘুমকবি— ছাতিম তুমি আছো, ভালোবাসা!

Facebook Comments

পছন্দের বই