লেখক নয় , লেখাই মূলধন

রাহুল হালদারের প্রবন্ধ

স্পুটনিক ‘V’ বাঙালির রোয়াকের এক কাল্পনিক প্রলাপ

অবশেষে বহু কাঙ্ক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন ১১/০৮/২০২০ তারিখ, ২৬শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে ধরাধামে আর্বিভূত হল। ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ আর কার্যকরী সেটা সময় বলবে কিন্তু আমরা চাইব কৃষ্ণ আর্বিভূত হয়ে যেভাবে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করেছিলেন আবিষ্কৃত হওয়া এই ভ্যাকসিনও মানবজাতির কল্যাণে সেই কাজই করবে। বলার অপেক্ষা রাখে না ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সমগ্র বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের সঙ্গে বাঙালিও যৎপরোনাস্তি ভীষণই আহ্লাদিত। মনে মনে উৎফুল্ল তবে কি এতদিনের নিভৃতবাসের শেষের প্রহর গোনা শুরু হল।

ওদিকে নিন্দুকে যে গেল গেল রব তুলে দিল। না এটা হতে পারে না কী করে সম্ভব সব কিছুরই তো একটা সিস্টেম আছে? এ তো দেখছি জোর যার ভ্যাকসিন তার।

এদিকে ভ্যাকসিনের জন্মদাতা ইউরোপ, আমেরিকাকে টপকে প্রথম স্থানে রাশিয়া। রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অফ এপেডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি আর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যৌথ প্রচেষ্টায়। আমরা জানি রুশ জাতির যে-সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে সেটা একেবারে অর্বাচীন নয় সুতরাং টিকার নিরাপত্তা, কার্যকারিতার বিষয়ে তবে এত সংশয়ের কী আছে? স্বগত সংশয় করতে হয় করো নিজের দেশের, কিংবা স্পষ্ট করে বলতে গেলে ইউরোপ ও আমেরিকা ছাড়া অন্য সকল দেশের মেধার প্রতি প্রতি। সেটা না হলে ভারতের কোভ্যাকসিন যেটা প্রথম পর্যায়ের মানব শরীরের ট্রায়ালে যে নিরাপদ সুনিশ্চিত করেছে সেটা আমরা শুনতে পাচ্ছি সুতরাং এই মহাদুর্যোগে টিকাটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাশিয়ার মডেল চালু করলে ক্ষতি কোথায়? যখন এদেশের আঠারো থেকে পঞ্চান্ন বছর বয়সি মানুষেরা সংসার চালানোর জন্য, পরিবারকে না খেতে পেয়ে কষ্ট থেকে মুক্ত করবার জন্য কাজে বাইরে বেরোচ্ছে। তবে একটা আশা জেগেছিল ৩রা জুলাইয়ের খবরে কিন্তু হায় সে-সুযোগ মনে হয় না হবে।

এত মাস ধরে টেলিভিশন, সংবাদপত্র, সোস্যাল মিডিয়ায় যে-ছোটো কাচের শিশিতে বড়ো বড়ো ইংরেজি হরফে Covid Vaccine লিখে তার ছবি দিয়ে সকল বিশ্বনাগরিককে ছিপিবদ্ধ শিশির প্রতি ক্রমাগত নেশাতুর করে তুলছিল আর “এই আসল, এল বলেই, না হবে না” ইত্যাতি ইত্যাদি বলে যাকে সোনার পাথরবাটিতে পরিণত করেছিল, ইচ্ছে করলে হয়তো— হ্যাঁ এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একজোট হয়ে শিশু আর বৃদ্ধদের আপাতত তিন-ছয় মাস বাদ রেখে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া বয়সের মানুষের মতো বৃহত্তর জনগণকে টিকা দিয়ে এই অসময়ের থেকে মুক্তি প্রদান করা যায় না। রুশ সরকারের মতো রাষ্ট্রের প্রলেতারিয়েত, মধ্যবিত্ত, মানুষের শংকা, অবসাদ, আগামী দিনের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ, চোখের জলকে একটুকরো শান্তির আশ্বাস বাণী দেওয়ার দরকারে সমগ্র বির্তককে পিছুটান করে একটা দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে মানুষ অসহায়ভাবে রোগে মরার চেয়ে অনাহারে মরাতে আত্মসমর্পণ না করে সাহসী মনে সব কিছুর মোকাবিলা করত। ভয়, শংকাকে নিয়ে সুস্থভাবে কি বাঁচা সম্ভব? যেন রোগী না হতেই রোগে নিজেকে আত্মসমর্পণ করছি।

রাশিয়া যেন রাষ্ট্রের মানুষের কাঁধে হাত রেখে জানাল, রাষ্ট্র তার সর্বশক্তি দিয়ে নাগরিককে নব আবিষ্কৃত পৃথিবীর আরেক সুপ্রাচীন সভ্যতার মহান কুফল দানের হাত থেকে অতি শীঘ্রই মুক্তি দেবে।

প্রসঙ্গক্রমে বিশ্বে একটি সর্বরোগ বিশারদ স্বাস্থ্য সংস্থা আছে আমাদের স্বাস্থ্যের হাল দেখবার জন্য। সংবাদ মাধ্যমে খবর শুনে দেখে যা উপলব্ধি, করোনাকালে সংস্থাটি তার কর্মটির প্রতি কতটা সুবিচার করল হতদরিদ্র, মধ্যবিত্তদের জন্য? সারা বিশ্বে সামাজিক স্থিতবস্থা লঙ্ঘিত যাতে না হয় তার জন্য ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে কেনই-বা এটিকে মহামারি ঘোষণা করল না, সময় নিল কেন সেটা কিছুই বোধগম্য হল না। বারে বারে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে মানুষের জীবনকে একেবারে ব্যতিব্যস্ত আর মানসিক রুগীতে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আশার কথা কতটা শোনাতে পেরেছে আমাদের এই দীর্ঘ দিনে?

বিজ্ঞানী, ডাক্তারেরা বলেন, যদিও নতুন শত্রুকে পরখ করতে সময় নিতে হয় কিন্তু আমাদের মনে জাগে এইবারে কি বেশি সময় নেওয়া হয়ে গেল? এই বিষয়ে আমরা যাদের উপর নির্ভরশীল তাদেরকেও অনেকাংশ বিপদগামী করেছে মুখাবয়ব-সহ অনেক বিষয়ের একের পর এক বক্তব্য পেশ করে আর সেটি সংবাদমাধ্যমে পড়ে দেখে আপামর নাগরিকের একবার হলেও পিলে চমকে উঠেছে। একটি ইতিবাচকতাকে নেতিবাচক কীভাবে করতে হয় তার তুলনা সে নিজেই শতকরা হারে সফল সেটা আর বলার অপেক্ষা লাগে না। ফলে অচিরে যারা অন্যের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত তারাও নিজেদের জীবন দিল এবং দিয়ে চলছে এই মহামারিতে এখনও পর্যন্ত সাড়ে সাত লক্ষ মানুষের সঙ্গে।

শহীদ করোনা যোদ্ধাদের আর স্বাস্থ্য ও প্রশাসন-সহ অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর যোগান-সহ, সব ধরনের সামাজিক সংগঠন এবং তাদের কর্মীরা যারা প্রতিনিয়ত সমাজের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছে সেইসকল মানুষের অবদান কি আমরা কখনো ভুলতে পারব।

এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত গাইডলাইনও প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের তাঁর জনগণকে সুরক্ষা দেবার জন্য ছুটিয়েছে এখন সেই ছুটের বলতে গেলে বিরাম নেই। তাঁরাও সময়ের কাছে, পরিস্থিতির কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে। আর, কিছু জনসাধারণ হয়ে উঠেছে বেলাগাম।

তাই তো দুর্ভাগ্যের সঙ্গে বলতে হয় মাঝে মাঝে আমরা যাদের কথাবার্তা, চালচলন, দেশ পরিচালনের পদ্ধতিকে শ্রেফ বাতুলতা বলে ফুৎকারে উড়িয়ে দিই সেই অপছন্দের ব্যক্তির দু-একটা কাজকে সমর্থন না করে পারা যায় না। যেমনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত। জানি এতে অনুন্নত, উন্নয়শীল রাষ্ট্রের প্রভূত ক্ষতিসাধন হবে কিন্তু দিন দিন যেভাবে বিশ্ব মহামারি রোগের আঁতুর ঘরকে উহ্য রেখে সমর্থন করে চলেছে তাতে করে সর্বশক্তিমান দেশের সর্বাধিনায়কের এই হটকারি সিদ্ধান্তকে জ্ঞানতই হোক বা দিবানিদ্রায় মাঝে মাঝে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলেই মনে হয়।

অথচ সারা বিশ্ব যখন এই মহামারিতে প্রতিদিন তার আগের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে তখন ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার দেশ কীভাবে কোন জাদুমন্ত্রে দীর্ঘদিন একটি সংখ্যার মধ্যে সংক্রমণকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার মধ্যে বেঁধে রেখেছে? কীসের এত গোপনীয়তা তাদের অথচ প্রতিবেশীদেশের প্রতি আগ্রাসনের নীতি থেকে সরে না এসে তারা নিজের দেশের জনগণের মন ঘোরাতে দিনের পর দিন বেশি করে আগ্রাসী হয়ে উঠছে।

একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকের সূচনালগ্নে যদি ফিরি তবে তখন আমরা শীতের মরশুমে রয়েছি। গায়ে মোটা লেপের ওম নিয়ে মাঝে মাঝে শুনছি, দেখছি একবিংশ শতকের বিশ্ববাসীকে দেওয়া চৈনিক সংক্রমণ, শুনছি অজানা লকডাউন, চীনের নাগরিক সংক্রমণ, মৃত্যু, ডাক্তারদের নার্স, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিবর্গের অদম্য লড়াইয়ের কাহিনি। ভাবিনি মহামারি আসবার শতবর্ষ আসছে, ভাবব কেন কে-বা আমাদের সর্তক করবে। নতুন কী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব কে জানবে? আর যার জানানোর কথা সেই সংস্থার কার্যকারিতা আমরা তো আর আতস কাচের তলায় বিচার করিনি।

ইংরেজি নববর্ষ, শীতের মরশুম, বেড়াতে যাওয়া, পিকনিকে তখন আমরা মত্ত। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যক্তি, গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় মূলকথা। নিজর স্বার্থসিদ্ধি হলে কে দেখে সমাজের বৃহত্তর দিক। তাই সকলে মেতে উঠেছি উৎসব আনন্দে। হঠাৎই যেন ছন্দ পতন জমায়েত বন্ধ, যে মানুষ, বন্ধু, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন আমাদের অতি প্রিয়, আত্মার আত্মীয় তাদেরকে এক নিমেশে সন্দেহের বাতাবরণে নিয়ে আসলাম। শুরু হল এক নতুন ধরনের যুদ্ধ, যুদ্ধের নাম কোভিড ১৯। চারিদিকে চাপা আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা, দারিদ্র্যতা, কর্মহীনতা মৃত্যুদিন এগোতে লাগল। ইউরোপ, আমেরিকার ছবি দেখে মনে হল মৃত্যু যেন দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে তাই দুয়ার এঁটে রয়েছে পাড়া, গ্রাম, শহর, আবাসন।

সময় এগোতে লাগল মনে সাহসের সঞ্চার করতেই হবে এইভাবে তিলে তিলে মরার চেয়ে লড়াই করে বাঁচতে হবে। ফিরতে হবে স্বাভাবিক জীবনে। অতএব লড়াই— লড়াই অজানা, অদৃশ্য, ভীষণ রকমের সংক্রমিত বস্তুর সঙ্গে লড়াই। কর্তার ভূতের মতন ঘাড়ে উপর ভূতকে রাখলে হবে না। চাই দূরে দূরে থেকে সম্মিলিত লড়াই। যে-লড়াই বিশ্বের সমস্ত বিজ্ঞান সেবকেরা আজকের পৃথিবীর বুকে চেপে বসা মুখ আচ্ছাদনকে চিরকালের মতন সবার জন্য সদা জাগ্রত হয়ে নিরলস বিজ্ঞান সাধনা করে চলেছেন, চেষ্টা করছেন ওষুধ, ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার, মনুষ্য সমাজকে বাঁচাবার চেষ্টা করছে। পৃথিবীকে সুস্থ করে তোলবার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অপর দিকে প্রগতিশীলেরা ক্রমগত রক্তের গ্রুপ, উচ্চতা খাটো না লম্বা, বাজারের সবজি কেনার কেরামতি ও ঘরে তোলার পদ্ধতি, একের পর এক ওষুধের গুণাগুণের বিশ্লেষণ শুনে আগে থাকতে মজুত করা, থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধে হোমিও, আয়ুর্বেদ, ঘরোয়া টোটকা, যন্ত্রপাতি কেনার কথার সঙ্গে সামন্তরালভাবে এল ভ্যাকসিন জুজু, যেটা আরও মনের গভীরে দৃঢ়ভাবে গাঁথতে থাকল। জনগণও যখন সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের উপায় পেল না তখন তারা হয়ে উঠল কুসংস্কারগ্রস্ত।

বাড়ির গেটের বাইরে মাটি খুঁড়তে লাগল কাঠকয়লার খোঁজে কাঠকয়লার সঙ্গে গঙ্গাজল মিশিয়ে খাওয়া অথবা কাঠকয়লার ছাই দিয়ে কপালে তিলক টানা, করোনাকে দেবী পরিণত করে নয়টি লাড্ডু, লবঙ্গ, জবাফুল আর গুড়ের শরবত দিয়ে পুজো করা, কেউ কেউ হল ন্যাড়া আবার কোথাও প্রচারিত হল কেউ স্বপ্নে দেখেছে বইয়ের মধ্যে একটা বড়ও চুল আছে সেই চুল ধোয়া জল খেলে করোনা আসবে না ইত্যাদি যা যা কানে এল সব করতে লাগলো কেউ প্রকাশ্যে কেউ-বা গোপনে। এগুলির সঙ্গে যুক্ত হল আ্যলকোহল পানে প্রীতি, আবার কখনো-বা তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কথা আবার কেউ বলল বাংলার তাপমাত্রা বেশি হলে করোনা ভাইরাস বাঁচতে পারবে না তাই করোনার প্রভাব বেশি হবে না কিন্তু যখন সেটাতেও হল না তখন সূর্য গ্রহণ হল করোনার অন্তিম যাত্রার শেষের শুরু কিন্তু হল হিতে বিপরীত আর অসহায়ভাবে চেয়ে রইলাম আমাদের ভাগ্যবিধাতাদের দিকে। সংবাদ সংস্থার মুহুর্মুহু আপডেট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতিবাচক মতবাদ এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রুশ সরকারের।

উৎফুল্ল হয়ে অনেকের সঙ্গে অনেকাংশ বাঙালি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে প্রিয়জনকে বলে বেড়িয়েছে, কেউ তো বের করল, এবার তাড়াতাড়ি অনেক বেরোবে, আমরাও পাব ভ্যাকসিন, যাক মনে একটা স্বস্তি আসছে।

বেকারের চোখে কর্মসংস্থান, শ্রমিকের কাজে ফেরা, বৃদ্ধ বাবা, মা অথবা শিশুর চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার ফিরে পাওয়া, বন্ধ হওয়ার মুখে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসা, তাঁতি, মজুর, মিস্ত্রি, গোয়ালা, ফেরিওয়ালা, বইয়ের দোকানির চোখে আবার স্বপ্ন, হাসি মুখের করোনা যোদ্ধারা সকলে শরীরের বর্ম খুলে খোলা আকাশের নীচে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে শত্রু নিধনের সফলতার আনন্দ ফিরে আসুক আবার।

ফিরুক হাসিখুশি মুখগুলো, ফিরুক আতঙ্কমুক্ত জীবন, ফিরুক প্রেম, ভালোবাসা, উৎসব, আনন্দ, মানুষিকতা, বিবেকবোধ, মূল্যবোধ, ফিরুক মহামারির অভিজ্ঞতাকে দেখে নতুন চিন্তা। আসুক হাসপাতাল, শিক্ষার উৎকর্ষতা, বিজ্ঞান সাধনা, নব্য দৃষ্টিভঙ্গিযুক্ত সমাজজীবন স্থাপনের অঙ্গীকার, দূরীভূত হোক প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা আর তার সঙ্গে অবশ্যই ফিরে আসুক বাঙালির দোকানে চায়ের গ্লাস হাতে নিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে তর্কের তুমুল তুফান তোলা।

Facebook Comments

পছন্দের বই