লেখক নয় , লেখাই মূলধন

শাশ্বত ভট্টাচার্যের প্রবন্ধ

ফিরে দেখা: জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ও রবীন্দ্রনাথ

চারিদিকে তীব্র কোরোনা আতঙ্কের মাঝে আমরা প্রায় বিস্মৃত, কয়েকদিন আগে অত্যন্ত নীরবভাবে পার হয়ে গেল, ১৩ই এপ্রিল ২০২০, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০১ বছর পূর্তি, সমগ্ৰ বিশ্ব তথা ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে পৈশাচিক এক ঘটনা ও ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শক্তির দম্ভের এক জ্বলন্ত দলিল, যা তাদের ভালোমানুষির মুখোশটাকে এক টানে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিল, ঘটনাটি সম্পর্কে বিশদে জানতে গেলে চলে যেতে হয় একেবারে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ, মিত্রশক্তির জয় ও অক্ষশক্তির পরাজয়। যুদ্ধের পূর্বে ভারতীয়দের যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা দানের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, সে-প্রতিশ্রুতি রাখল না ব্রিটিশ, পরিবর্তে মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসনসংস্কার আইনের মধ্য দিয়ে দেওয়া হল ছিটেফোঁটা অধিকার, কিন্তু তার সাথে দেওয়া হল কুখ্যাত রাওলাট আইন‌, যে-আইনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ কেড়ে নিল আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও প্রতিবাদের অধিকারটুকু। ১০ মার্চ বলবৎ হল কুখ্যাত সেই আইন। চারিদিকে বিনা বিচারে শুরু হল ব্যাপক ধরপাকড়, পাঞ্জাবে গ্ৰেপ্তার হলেন দুই জনপ্রিয় নেতা সত্যপাল ও সৈফুদ্দিন কিচলুকে। সমগ্ৰ পাঞ্জাব ফেটে পড়ল বিক্ষোভে।১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে ডাকা হল এক প্রতিবাদসভা। স্থান নগরীর বিরাট জালিয়ানওয়ালাবাগ উদ্যান। সেদিন আবার ছিল পাঞ্জাবের অন্যতম বৃহৎ উৎসব বৈশাখীরও দিন। রাওলাট আইনের বলে তখন পাঞ্জাবে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও সাতসকালেই উদ্যান ভরে গেল উৎসাহী ক্রোধতপ্ত মানুষে। কোনোরকম সতর্কবার্তা ছাড়াই, ইংরেজ সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জেনারেল রেগিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে মুহূর্তের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ব্রিটিশ পুলিশের গুলি ছুটে গিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিল হাজার হাজার নিরস্ত্র জনতার দেহ, রক্তে রাঙা হয়ে উঠল জালিয়ানওয়ালাবাগের মাটি।সরকারি হিসাবে মারা গেল ৩৭৯ জন কিন্তু আসল সংখ্যাটা ছিল এর থেকে ঢের ঢের বেশি। উৎসব-আনন্দের বৈশাখী মুহূর্তেই পরিণত হল ‘খুনি বৈশাখীতে’। কিন্তু এমন বর্বর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের খবর তখনই ছড়িয়ে পড়তে পারল না দেশজুড়ে, আর তার প্রধান কারণ সংবাদপত্রের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা ও পাঞ্জাবে জারি জরুরি অবস্থা। এখন প্রশ্নটা এখানে যে, এমন নৃশংস পৈশাচিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া কী ছিলো, অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই, রবীন্দ্রনাথের কাছেও দ্রুত খবরটা এসে পৌঁছোয়নি,টুকরো টুকরো আকারে এসে পৌঁছোতে শুরু করল এপ্রিলের শেষের দিক থেকে, দিল্লিতে তখন ক্রমশ অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে, এবং দিল্লির সূত্রে কিছু খবর ভেসে আসছিল।রবীন্দ্রনাথ তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সি এফ আ্যন্ড্রুজকে দিল্লি যেতে বলেন, এবং আ্যন্ড্রুজ অসুস্থ শরীরেও দিল্লি গেলেন। তিনি দিল্লি ও সিমলা ঘুরে জালিয়ানওয়ালাবাগের চরম ন্যক্কারজনক ঘটনার খানিকটা আভাস পান, ২৪শে এপ্রিল রবীন্দ্রনাথ তাঁকে দুটি চিঠি লিখলেন এবং ২৬শে এপ্রিল ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদক ও বন্ধু রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন যে, আ্যণ্ড্রুজ দিল্লিতে এবং সেখানে থেকে দু’-একটা চিঠিতে যা লিখছেন, তা তাঁর মনটাকে উত্তপ্ত করে তুলছিলো।পয়লা মে লেখা এক চিঠিতে আ্যণ্ড্রুজ রবীন্দ্রনাথকে জানান, ‘অসহায় গ্রামবাসীর ওপর এয়ারপ্লেন বোমা ফেলছে আর কেবল লাঠি হাতে থাকা জনসমাবেশে মেশিনগান গুলি ছোটাচ্ছে।’ গোয়েন্দাদের হাতে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় তিনি আর কিছু লিখতে পারলেননা এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি একবার অমৃতসরেও ঢোকার চেষ্টা করেন, কিন্তু পারলেন না, তাঁকে গ্ৰেপ্তার করে পরের ট্রেনেই দিল্লী পাঠিয়ে দেওয়া হয়, গান্ধীর সাথেও বোম্বাইতে গিয়ে দেখা করলেন, আবার আমেদাবাদে ফিরে এলেন, আর আস্তে আস্তে খবর পৌঁছোতে লাগল কবির কাছে, অত্যন্ত মর্মাহত হলেন তিনি। ক্ষোভে ও দুঃখে ২২শে মে কিশোরী রানু অধিকারীকে এক চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আকাশের এই প্রতাপ একরকম সইতে পারি, কিন্তু মর্ত্যের প্রতাপ আর সহ্য হয় না।এই দুঃখের তাপ আমার বুকের পাঁজর পুড়িয়ে দিলে।…’, আবার ঠিক সেইসময় লেখা বাতায়নিকের পত্রে তিনি শক্তির দম্ভের একটা সমালোচনা করলেন।প্রশান্ত চন্দ্র মহালানবিশের সাক্ষ‍্য থেকে জানা যায় যে, বিজ্ঞানী রুচিরাম সাহানীর কাছ থেকে বনোয়ারিলাল চৌধুরী অনেক খবর পেয়েছিলেন, তিনি সমস্ত ঘটনা কবিকে জানালেন। মনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের আগুন জ্বললেও, বহিরঙ্গে ক্রমাগত নিজের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে চলেছিলেন কবি, কিন্তু একটা সময়ের পর আর স্থির থাকতে পারলেন না, ক্রমশ কথাবার্তা কমে যায়, মুখের হাসি উধাও, রাতের পর রাত চোখে একফোঁটাও ঘুম নাই, মনে এতটুকুও স্বস্তি নাই , প্রচণ্ড চঞ্চল, অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তাঁকে পেনেটির বাগানবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল, কিন্তু সেখানেও স্বস্তি পেলেননা, ফিরে এলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি আ্যণ্ড্রুজকে বললেন গান্ধীর কাছে গিয়ে একটি প্রস্তাব পেশের অনুরোধ করতে যে, তিনি দিল্লি যাবেন এবং অতঃপর তিনি ও গান্ধীজী একযোগে পাঞ্জাবে প্রবেশ করে আইন অমান্য করবেন।কিন্তু গান্ধী প্রস্তাবে অসম্মত হলেন এবং বললেন, “I don’t embarrass government now”, অগত্যা আ্যণ্ড্রুজ ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে এলেন। এরপর কবি ২৮শে মে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে আলোচনা করলেন এবং ৩০শে মে বিকেলে গেলেন স্বভাষী রাজনীতিবিদ চিত্তরঞ্জনের সাথে দেখা করতে এবং অনুরোধ করেন একটি সভা আয়োজনের, যেখানে তিনি স্বয়ং বক্তৃতা দেবেন, দেশবন্ধুর সাথে বার্তালাপ প্রসঙ্গে প্রশান্ত চন্দ্র মহালানবিশের নিকট দেওয়া কবির বয়ান অনুযায়ী, ‘মহাত্মাজী রাজি হলেন না পাঞ্জাবে যেতে। কাল তাই নিজেই গিয়েছিলুম চিত্তরঞ্জনের কাছে। বললুম যে, এই সময় সমস্ত দেশ মুখ বন্ধ করে থাকবে তা অসহ্য। তোমরা প্রতিবাদসভা ডাকো।’ কিন্তু চিত্তরঞ্জনও সম্মত হলেননা, পরিবর্তে তিনি নিজ দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে রবীন্দ্রনাথ একাই একটা সভায় প্রতিবাদী বক্তব্য রাখবেন—এমন প্রস্তাব দিলেন তিনি কারণ ততদিনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও চিত্তরঞ্জনের সম্পর্ক বেশ একটা শীতলতার যায়গায় পৌছেছে, সে কবির বিশ্বভাতৃত্ববোধের ধারণা হোক, কিংবা ‘ঘরে বাইরে’ ধারাবাহিকে সন্দীপের চরিত্র চিত্রায়ন, কিংবা কবির নাইটহুড উপাধি গ্ৰহন হোক, যা জানা যায় শরৎচন্দ্রের লেখা থেকে, কিংবা অন্য কোনো কারণে, চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুর পর যার প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর শিষ্য সুভাষচন্দ্র বসুর কলমে, যিনি মান্দালয় জেল থেকে ১লা আগষ্ট ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র বসুকে লিখছেন, “রবীন্দ্রনাথের ও রবীন্দ্রনুরাগীদের জীবনে ও সাহিত্যে যে শূন্যগর্ভ অগভীর আন্তর্জাতিকতাবাদের স্ফুরণ দেখা যায় এবং যে আন্তর্জাতিকতাবাদ ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদের মূল ব্রতটি অনুধাবন করতে অক্ষম।” যাইহোক, চিত্তরঞ্জনের কাছ থেকেও আশানুরূপ সাহায্য লাভে ব্যর্থ হয়ে কবি অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ হলেন, অন্তরে বিপুল বেদনা ও রাগ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ওই দিনই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, নাহ্, আর যে চুপ করে বসে থাকা যেতে পারেনা, এইবার তাঁর নিজের কথা নিজেকেই বলতে হবে, ঠিক যেন তাঁরই লেখা গানের প্রতিধ্বনি, ‘ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা বলো রে’।

এরপর রাত জেগে তিনি লিখলেন বড়োলাটের উদ্দেশ্যে সেই চিঠি, যার দুটি খসরা , ৩১মে স্বাক্ষরিত হল, ব্রিটিশদের দেওয়া নাইটহুড তখন তাঁর দেহে কাঁটার মতো বিঁধছে, যখন ভোরের আলো ফুটছে, শেষ হল লেখা। যখন ভোরে প্রশান্ত চন্দ্র মহালানবিশ তাঁর সাথে দেখা করতে এলেন, তিনি বলেন, ‘এই সম্মানটা ওরা আমাকে দিয়েছিল। কাজে লেগে গেল। এটা ফিরিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ করে আমার কথাটা বলবার সুযোগ পেলুম।’ ভোরশেষে আ্যণ্ড্রুজ যখন সে-চিঠি নিতে আসেন, তখন তিনি কবিকে অনুরোধ করেন, যদি তাঁর ক্রোধতপ্ত চিঠির ভাষা খানিক নরমসরম করা যায়, কিন্তু কবি তাতে ভীষণ ক্ষিপ্ত হন। ইংরেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কয়েকজন রবীন্দ্রনাথের উপাধি ফেরত নিতে অক্ষম বলে নিজেদের দাবি করে কিছু চিঠিপত্র কবির কাছে চালাচালি করেন। সম্ভবত এই ছলচাতুরির উদ্দেশ্য ছিল কবিকে বিভ্রান্ত করা। কিন্তু কবি নিজের অবস্থানে ঠিকই অটুট থাকেন। বস্তুত নামের সামনে থেকে ইংরেজি ‘স্যার’-এর লেজুড়টুকু মুছে ফেলতে পেরে তিনি অনেকটা শান্ত হতে পেরেছিলেন। মনের বোঝা নামিয়ে লেখালেখিতেও তিনি দ্রুত ফিরে আসতে পারেন নাইটহুড উপাধি ত্যাগের পরই। রবীন্দ্রনাথের এই প্রতিবাদ দেশজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করল, একদল তাঁর এই ত্যাগকে স্বাগত জানাল, অন্য দল তেমনি তাঁর সমালোচনায় মুখর হল, যেমন ধরা যাক, ‘ইংলিশম‍্যান’ পত্রিকায় বলা হল যে, রবীন্দ্রনাথ স‍্যার থাকবেন না বাবু, তাতে ইংরাজদের কিছু যায়-আসেনা, তবে ‘বসুমতী’ পত্রিকার একটি স্পেশাল ইস‍্যুতে কবির লেখা চিঠিটি ইংরাজী থেকে বাংলায় তর্জমা করে ছাপা হল, তা গোটা বাংলাজুড়ে নিঃসন্দেহে এক আলোড়নের সঞ্চার করেছিল, সেই বিষয়ে কোনো সংশয় নাই।আবার বসুমতী পত্রিকা থেকে উদ্ধৃতি নিয়েই ৩রা জুন তারিখে নায়ক নামের এক পত্রিকা সম্পাদকীয়তে কবির সমালোচনা করে লেখা হয়, ‘রবীন্দ্রনাথ উপাধি বর্জ্জন করিয়া নিজের সুবিধা কি করিয়াছেন তাহা জানি না, দেশের ও জাতির যে কোন সুবিধা করতে পারেন নাই, তাহা বলিবই। আমরা তাঁহার কার্য্যরে সমর্থন করিতে পারিলাম না।’ অমৃতবাজার পত্রিকার ‘Taking Risk’ বলে একটি লেখায় বিপিনচন্দ্র পাল মন্তব্য করেছিলেন যে, কবি বোধহয় অনেকখানি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছেন এবং আশা করা যায় সরকার বাহাদুর তাঁর প্রতি ততখানি নিষ্ঠুর হবেন না, বলা বাহুল্য তাঁর এই সান্ত্বনামূলক বক্তব্য কবিকে যারপরনাই ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এমনকী স্বয়ং মহাত্মা গান্ধীও একটি ব্যক্তিগত পত্রে রবীন্দ্রনাথের এই ‘জ্বলন্ত’ চিঠিকে ‘অকালপক্ক’ বলে অভিহিত করেন।

কিন্তু শত সমালোচনা সত্ত্বেও একথা বলতে হবে, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাযজ্ঞের পর পরাধীন ভারতবর্ষের রাজনীতিবিদেরা যখন নীরব থাকার পথ বেছে নিয়েছিলেন, সেখানে নাইটহুড বর্জনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের একক প্রতিবাদ তথাকথিত ‘সভ্য’ ও ‘সুশিক্ষিত’ ইংরাজদের দ্বারা সংঘটিত এই বর্বরতার দিকে বিশ্ববাসীর চোখ ফেরাতে পেরেছিল বলেই মনে করা যায় , কিন্তু তৎসত্ত্বেও হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি কখনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেননি, আর এখানেই তাঁর প্রতিবাদ সকলের থেকে আলাদা হয়ে উঠেছে, রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন অনন্য।

তথ্যসূত্র:

১. রবিজীবনী ৭ম খণ্ড, প্রশান্তকুমার পাল।
২. জালিয়ানওয়ালাবাগ: আ্যন এম্পায়ার অব ফিয়ার আ্যন্ড দ‍্য মেকিং অব অমৃতসর ম‍্যসাকার, কিম এ ওয়াগনার।
৩. রবীন্দ্রনাথ-সুভাষচন্দ্র, উষারঞ্জন ভট্টাচার্য।
৪. দূরদর্শন শান্তিনিকেতন-সম্প্রচার ‘শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ’: ড. মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও ড. অমিয় ঘোষ।

Facebook Comments

পছন্দের বই