লেখক নয় , লেখাই মূলধন

সমন্বয়ের গুচ্ছকবিতা

বাতেলা


আবিষ্কার ভুলে গেছি—
পুরানো মাঠেই খেলা করি— ক্ষতি কী?
সুখ্যাতি আমরা এমনিতেও পাব না,
শেকল হওয়ার বিবস্ত্র অজুহাতে—
জড়িয়ে নিই যা-কিছু দৃশ্যমান ও ফাঁকা।

এবারে পা দুটো খুলে রাখি—
দৈব মাদুরে শুয়ে-শুয়ে ভাবি—
নতুন পায়েরা গজাবে না জেনেও, লিখে যেতে হয়:
মই ও কাচের ইতিহাস।


সরল হবার দিকে একা মা চলে গেছিলেন…

পেটফোলা কুকুরগুলো এখন হাততালি করছে মাঝরাতে…

পর্দা সরিয়ে দিয়েছি ছ-তলার। এবারে,
আমি দেখতে পাচ্ছি:
পৃথিবীর সাথে আমারও ব্যাস্তসম্পর্ক রচিত হচ্ছে—
পিছিয়ে যাচ্ছি আমি ও আসবাব—
কড়ে আঙুল খেলা করছে মরূদ্যানে।

উৎসবের দিন কারা পিঠে বেঁধে নিয়ে গেল

চোখ বসালাম আবার কুঠুরিতে—কুঠুরিতে—
শুচিবায়ুগ্রস্ত ধূলা ও আলোর বাতহীন ওঠা-নামা
বয়স্ক কিসমিস গোঙাচ্ছে ঘরময়
আর বুঝলাম,
একটা বেজন্মা গান থমথমে গান
কামড় বসাচ্ছে আমার ঘাড়ে…

নীল নদীর সাথে আমার ভাবভালোবাসা
রোগা হয়ে আসছে ক্রমশ…


ভুলে গেলেই চাবুকের আঁঠি পড়ে থাকে
কান সতর্ক হলে শুনি: হাত দীর্ঘ হয়েছে আরও
আমরা যারা, আকাশ খুঁজতে খুঁজতে গৃহপালিত হয়েছি—
তাদের লোম অক্ষরজ্ঞানহীন ঝরে পড়েছে বিছানায়

ঢেকুর শব্দে নীরবে ডানা ভেসে গেল—

আয়কর দিতে আর যারা এখনও গম্ভীর মোজা পড়ি—
তাদের বিরতি দুপুরের আলজিভ ধরে দোলে,
গায়েত্রী রাত শিকারীর গাল চেটে নেয়—
ভেতরে শুধু বাজে হাঁড় ও রক্তের থকথকে স্মৃতি।

Facebook Comments

পছন্দের বই