লেখক নয় , লেখাই মূলধন

সুবীর সরকারের গুচ্ছকবিতা

অপেরা হাউজ

দ্যাখো, অপমানের পাশে একটা তীব্র অপেরা

হাউজ
সেখানে বাজনা বাজে।
আজকাল মেজাজ হারাচ্ছি। কষ্ট

গোছাচ্ছি।
সরষে খেতের ভেতর তীব্র এক মায়া!
কাউকে দেখাব না ক্ষতচিহ্ন
এক বুক দাহ নিয়েই ডুবে যাব দহের

ভেতর
আমাদের জন্মান্তর নেই।
রোদে মেলে দেওয়া টুপি নেই।
অথচ জানালা খুলে দিলে রোদ ঢোকে

ঘরে
হাঁসের পিঠে বসে থাকে উদাসীন পাখি
আর বিবাহের পাশে কীভাবে জুড়ে বসে পুরাতন

সানাই

কান্না

ক্যাম্পফায়ারের রাতে খুব কান্না উঠে আসছিল
চুপচাপ কথার উনুনে গুঁজে দিচ্ছিলাম

কাঠ
দ্রুত দূরে সরে গেলে তুমি!
এদিকে গলায় মাফলার জড়িয়ে ড্যান্সবার থেকে

বেরিয়ে আসে নর্তকীরা।
আমার খামারবাড়ির দরজায় শকুন বসে

থাকে
দাঁড়কাকের ছবি তুলে রাখি।
কুয়াশায় ডুবে যাওয়া সাঁকো আর শীতল করতল
নিয়ে আবার খুঁজতে শুরু করি

একটা হাডুডু খেলার মাঠ।

জার্নাল-২০২০

খলনায়কের হাসি সামলাচ্ছে এখন আমার

দেশ
পোড়ামাটির পুতুলের চোখে আগুন
লাঠিচার্জের শব্দে হাততালি উড়িয়ে
আনা
চাঁদ পুড়ে গেলে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে চাঁদের

আলো
নোনাজল ও গোখরোর ছবি জুড়ে ভয়
আর ভয়
প্লিজ, শত্রুশিবিরে আর আলো জ্বালাবেন

না
আড়ালে থাকুন।গোপনে থাকুন।
আমরা নিশ্চিত বিষদাঁত উপড়ে ফেলা সাপুরিয়াতে দ্রুত ভরে উঠবে এই
দেশ ও ডহর।

সুগন্ধ

মরা আলো। সুগন্ধের স্মৃতি ফিরে এল।
মহাসড়ক কে পাশ কাটালেই
শূন্যতা
মাঠে মাঠে বিছিয়ে রাখা দুপুর।
তুমি নুপূর খুলছো আর ঢুকে পড়ছ
লেবুক্ষেতের হাওয়ায়

সাঁতার

আর সেই কাত হয়ে যাওয়া কবরের ফলক
আর সেই জলশূণ্য নদীখাত
পালিয়ে যেতে চাই ডুবসাঁতারে
দূরের ব্রিজের ওপর থেকে কেউ আমাকে

দেখছে

Facebook Comments

পছন্দের বই