Categories
কবিতা

শাশ্বতী সরকারের কবিতা


জানালা

হে জন্মের চাওয়া,
তখনই বলেছিলাম এসো
আজ আমার সময় হবে না

Categories
কবিতা

গৌরাঙ্গ মণ্ডলের কবিতা

মহাজন

ছেঁড়া ল্যাঙটের মতো পুরোনো হাতের লেখা
কাউকে দেখাই না বা
দেখি না নিজেও

Categories
কবিতা

বিশ্বজিৎ মাহাতর কবিতা

দুঃখ সাঁতার

আমি একা একটি শব্দ
প্রেমিকাকে মনে রাখতে হয়
ভেজানো আগুনের শীর্ষদেশে…

Categories
কবিতা

হৃদয় দাসের গুচ্ছকবিতা

স্তন


স্তনে একটা কাঠঠোকরা বসে আছে। ঠোকরাবে?
পোকা নেই। মাংসালো পিণ্ড।
এখানে বসে থাকার কথা নেতা-মন্ত্রীর।
তবুও বসে আছে কাঠঠোকরা। স্তন কাঁপছে।

Categories
গল্প

সুজন ভট্টাচার্যের গল্প

ধরিত্রী

– কিচ্ছু খাবার নাই ঘরে? মেঝেতে বসে সুবল একবার মিনমিন করে মিনতির দিকে তাকিয়ে বলে। মিনতি ফিরেও তাকায় না ওর দিকে। তার মানে নেই। নেই মানে তো নেই। কেন নেই, সে গল্প আর নতুন করে পেড়ে কী হবে! কাজেই সুবলকে বেরোতেই হবে। যদি না বেরোয়, দুপুরেও নেই, রাতেও। কিন্তু বেরোতে পারবে কী? এমনিতে বৃষ্টি ধরার নামগন্ধ নেই। তার উপর আজ যেন কেমন খিমচে খিমচে ধরছে বুক আর পেটের ভিতরে। শেষ খেয়েছিল কাল দুপুরে। দুটো পাউরুটি। তার থেকে আবার খানিকটা দিতে হয়েছিল মিনতিকে। বড়ো ছেলেটা ওর ভাগের থেকে খাবলা মেরে পালিয়েছিল। কাজেই খিদের আর দোষ কী!

Categories
গল্প

শুভংকর গুহর গল্প

লেনিন

কিছুটা এগিয়ে গেলে, বাঁ দিকে সামান্য বাঁক নিলে, হাটখোলার মোড়। স্থায়ী দোকানপাট। ঝিমানো। কখনও কখনও লোকজন আর টুকটুকি অটো আর ক্লান্ত বিষণ্ণ রাতজাগা গরুযান। আরও একটু এগিয়ে গেলে পাকা রাস্তা। হাইরোড। বাস স্ট্যান্ড। শত প্রাচীন একটি নিম গাছ। নিম গাছের নীচে কুড়িয়ে নেওয়া পাথরের থান, সিন্দুরের বৈভব ছড়ানো, তেলচিটে। পাশে মাটির পুতুলের দোকান। বাসযাত্রীরা বাসে ওঠা ও নামার আগে মাটির পুতুলের দোকানের দিকে একবার তাকাবে, কেউ কেউ পুতুলের দোকানের সামনে এসে দাঁড়াবে। পরের পর কাঠের পাটাতনের ওপরে সারি সারি মাটির পুতুল। কত ধরনের পুতুল।

Categories
গল্প

রিপন হালদারের গল্প

দ্য বয় উইথ দ্য বাই-সাইকেল

যত এগোচ্ছে গল্পটা ততই যেন গোলক ধাঁধায় আটকে পড়ছে। ট্যুইস্টের পর ট্যুইস্ট গল্পটাকে ওঠালো বাস্তব থেকে অনেক উপরে, যেখানে গোরুর চার পা হাতের আবেষ্টনী হয়ে ধীরে ধীরে উঠে যায় গাছে।

Categories
গল্প

সেলিম মণ্ডলের গল্প

কুকুর

মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি যেকোনো সময় তেড়ে আসতে পারে। আসলে মন্দ হয় না। ক-দিন ধরে গুমোট আবহাওয়া। শরীর হাঁসফাঁস করছে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় যাইহোক অনি নিয়ম করেই বইপাড়ায় আসে। কাজ থাকুক বা না-থাকুক। কফিহাউস ঢুকতে ওর বিরক্ত লাগে। কলেজ স্কোয়ারের ভিতরটাতেই বসে। অনির ভালোলাগে মানুষজন পর্যবেক্ষণ করতে। তিন থেকে তিরাশির কত মানুষজন! কেউ কেউ আসে পাঁচ থেকে পনেরোর ছেলেমেয়েকে নিয়ে সাঁতার শেখানোর জন্য। অবসারপ্রাপ্ত বুড়ো-বুড়িরাও আসে সান্ধ্যআড্ডায়। আর প্রেমিক-প্রেমিকা বা বন্ধু-বান্ধবী? শহরের এমন একটা পার্ক থাকলে কেউ কি পারে তা অবহেলা করতে?

Categories
গদ্য

সুবীর সরকারের গদ্য

বর্মণটাড়ি


হাট আবহমানের। হাট চিরন্তন। হাটের কোলাহল থেকে সরে এসে হেরম্ব নেমে যাচ্ছে মাঠঘাটের ভিতর। দোলাজমি অতিক্রম করছে সে। অতিক্রমণের নির্দিষ্ট কোনো মাপকাঠি না থাকলেও দ্রুতগামী হবার সমূহতর সম্ভাবনা হেরম্বকে তাড়িত করে। একা হতে হতে একসময় সে একাকিত্ব সংশয় ঝড়জল ও ঘামের নোলক ঝোলানো মদিরতায় মেদুর সত্যকথনের পাশে গলা ঝাড়ে।

Categories
গদ্য

ঈশানী বসাকের গদ্য

শালুক

বহুদিন হল অপেক্ষা করছি। কেউ জিজ্ঞাসা করেন, কেমন আছেন। কেউ বা বলে, ভালো থাক, কবিতায় বাঁচ। রিলকের চিঠির ফাঁকে ফাঁকে জানতে পারছিলাম যে ফুরিয়ে যাওয়া হারানোর থেকে ভারি সোজা। নির্লিপ্ত যেসব বাড়িগুলো পরপর দাঁড়িয়ে তাদের এইসময় বলি চলে যেতে।