ডায়েরি
ওই যে বাড়িটা! চিনতে পারছেন? জলের মতো সহজ সরল??
কবেকার পুরানো চালার নীচে দাঁড়িয়ে আছে, একা একাই!!
চারটে পা আছে বলে ওকে কেউ মানুষ ভাবেনি কোনোদিন!
অনুপম, পর্ণমোচী ও খসাজল
ধরুন syllogism অনুযায়ী তিনটে বৃত্ত আঁকলাম। প্রথম বৃত্তটি প্রেম, দ্বিতীয় বৃত্তটি যৌনতা ও তৃতীয় বৃত্তটি রাজনীতি। তাহলে দেখতে পাব তিনটি বৃত্তের মধ্যবর্তী অংশটি অঙ্গাঙ্গীভাবে, ছুৎমার্গহীনভাবে জড়িয়ে আছে সমাজ নামের একটি বিরাট বৃত্তের কোলে। ‘পর্ণমোচী’–র দৃষ্টিকোণ এটাই। ‘পর্ণমোচী’ তার সোশ্যাল বক্তব্যগুলিকে ছুঁড়ে দিয়েছে পাঠকের কাছে এবং বলতে চেয়েছে এই হলো মোহ এবং ক্রাইসিসের জাল। এবার পাঠক ওই জালটির প্রতি কতটা প্রতিক্রিয়াশীল ছিঁড়ে বেরোতে বা ব্যবহারিক প্রয়োগে তার দায়ভার পাঠকের নিজের হাতেই। দহের বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে লেখক বলে দিচ্ছেন জীবন, মহাজীবন ও অতিজীবনের ফলময়রূপ। বলতে চাইছেন সমাজ আজও জাতি-গোত্রের সীমা, অসীমকে encroach করতে অক্ষম।
প্রথম পর্ব
এক লেখকের জন্মকথা
গত শতাব্দীর দুইয়ের দশক। বাবা সতীশচন্দ্র ও মা কনকলতার সাতটি সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় এই কিশোর। হাজারিবাগ জেলা স্কুলের ছাত্র। মেধাবী।
ছোটোবেলা থেকেই শালবন, পাহাড় আর জংলী-ঝরনা-নদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব। ওয়ার্ডসোয়ার্থের কবিতা পড়ার অনেক আগে থেকেই কিশোরের মনে হতো— ঐ শালবনের বাতাস আর ঝরনার শব্দ যেন কথা বলছে।