Categories
গল্প

সরোজ দরবারের গল্প

বিক্রি


টিনভাঙা, লোহাভাঙা, কাচভাঙা… সুরটা ক্রমশ কাছাকাছি আসতেই সজাগ হয়ে উঠলেন বৃদ্ধ। এবার একটা এসপার নয় ওসপার। এই বহুতলটির নীচের তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। মেন গেট ছেড়ে এসে সামনে খানিকটা শান বাঁধানো জায়গা। তারপর পাঁচিল শুরু। এ বাড়িতে সিকিউরিটি নেই, তবে গেটে রোদ্দুর আছে। খোলা জায়গাটায় প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে রোদটুকু আয়েশ করে পোহান বৃদ্ধ। এই এখন যেমন সেখানেই বসে আছেন।
Categories
কবিতা

মনোজ দে’র কবিতা

মাঙ্গলিক


ভেবে নেওয়াটুকু গল্প
আর যা কিছু মিলছে না
আয়নার সামনে দাঁড়ায়

একদিন ঠিক
দুঃখবোধ থেকে দীর্ঘ হবে তোমার পৃথিবী

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

১২/০২/১৯

শরীরটা সকাল থেকেই ভালো না। সেই অক্টোবর থেকে ডাক্তার-ক্লিনিক-বাড়ি-হাসপাতাল-প্রেস করে বেড়াচ্ছি। কোনোদিন একদণ্ডও মনে হয়নি ক্লান্ত। আজ নিজে থেকেই মনে হচ্ছে ছুটি নিই। কার কাছ থেকে ছুটি চাইব? সেই মানুষটিকে কোথায় পাব যে আগে থেকে ঠিক করে রেখেছে ন’টার ঘণ্টা বাজাবে?

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

১১/০২/১৯

শেষ রবিবার। ভিড় হবে এমনটা আশাই ছিল। তারপর সরস্বতী পুজো, যাকে বলে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন। চারিধার লালা-নীল-হলুদ শাড়ির ভিড়। সকালে কৌস্তভের বাড়ির প্রসাদ খেয়ছি ঠিকই কিন্তু এত সরস্বতী দর্শন হবে ভাবিনি। সবাই পট ছেড়ে ময়দানে? নিজের চোখে কি ঘনঘন ফুঁ দেব?

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৯/০২/১৯

লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কেটে গেল সাতাশটা বছর। বইমেলার নবম দিনে লাইনের গণ্ডগোল নিয়ে আর কী ভাবব! ট্রেন কখন আসবে, বা কখন আসবে না— জানি না। যেতে বলেই তড়িঘড়ি যাওয়া। 

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৮/০২/১৯

দিনটা শুরুই হল খুব খারাপভাবে। এক ফ্ল্যাক্স গরম চা পায়ে পড়ল। তীব্র জ্বালা করছে।  আজ কেউ আসবে না। শুরু দিকটা একেবারেই একা সামলাতে হবে। একার পক্ষে টেবিল সাজানো, ভিড় হলে বিল করা খুব চাপের। নাহ্‌, ভয় পাইনি। একটা সময় গেছে পত্রিকার সমস্ত কাজ একাই করেছি। প্রেসে পত্রিকা ছাপাতে দিয়ে আসা থেকে শুরু করে মাথায় করে নিয়ে আসা। যাইহোক, অনেকটা আগেই বেরিয়েছি, কিন্তু স্টেশনে গিয়ে দেখি ট্রেনের গণ্ডগোল। লাইনে কাজ চলছে। ট্রেন লাইন ছাড়া আর তেমন রুটও নেই। দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ট্রেন পেলাম। উলটোডাঙায় দেখা হয়ে গেল আনসার কাকু আর অমৃতাভদার সঙ্গে।

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৭/০২/১৯

আর মাত্র চারদিন? নাহ্, এভাবে ভাবছিই না। মেলা সাতদিন হল, মেলা চলছে, এভাবেই চলবে। আমরা রোজ দুপুরে ঢুকে সারাদিন হইহই করব। টেবিলে বসব। ধার-দেনাহীন এই দোকানদারের জীবনে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই চাওয়ার বা পাওয়ার নেই।

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৬/০২/১৯

পনেরোটা রোজা পেরোলেই, ছেলেবেলায় আমরা গোনা শুরু করতাম— আর কতদিন পর ঈদ! দিন যত কমে আসত কচি কচি মুখগুলো  হয়ে উঠত আরো বেশি উজ্জ্বল। এখন আর ছোটোবেলা নেই। নেই উৎসবের সেই আনন্দ। এখন সারাবছর অপেক্ষা থাকে এই বইমেলার জন্য। মেলা শুরুর দিন থেকেই আমাদের ঈদ। দিন যত এগোতে থাকে ভিতরটা হু হু করতে থাকে। ঠিক যেন উলটোটা।

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৫/০২/১৯

মনটা আজ খুব এলোমেলো। ল্যাদ খেতে খেতে সকাল গড়িয়ে গেছে। বেজে গেছে আড়াইটে। যে মানুষটার একটা মানে একটা বা দু-টো মানে দু-টো, সেই মানুষটি, অরূপদা আজ আসবে না। কিন্তু মেলায় ঢোকার আগে যদি এমন ফোন আসে— ‘এটা তবুও প্রয়াস? আপনারা আজ বসবেন না?’ তখন সমস্ত বিষণ্ণতাকে কষিয়ে এক চড় বসানো যায়। নিজের ভিতর অপরাধের বুদ্‌বুদ ফুটতে থাকে।

Categories
অন্যান্য

বইমেলার ডায়েরি: সেলিম মণ্ডল

০৪/০২/১৯ 

দেখতে দেখতে চতুর্থদিন চলে গেল। সোমবার। ভিড় তুলনামূলক কম হবে এমন আশাই ছিল। দু’টো আড়াইটের দিকেও লোক তেমন ছিল না। আজ রবিউল এসেছিল চাপড়া থেকে। আমাদের আরেক সহকর্মী। আমি আর রবিউল সম্পাদনা করছি ‘ছাদ পেটানোর গান’ বইটি। ওঁকে দেখলাম অনেকগুলো গানের বই কিনেছে। এ-বছর আমিও অনেকগুলো গানের বই কিনেছি। কাজটা নিয়ে দু-জনই খুব আশাবাদী। জানি না, কী হবে। দুজনই এ-ফিল্ডের লোক না। ভালোবেসে এই কাজটাতে নামা।