সিরিজ— পঞ্চমুখী
(পাঞ্চালি নয়, পঞ্চকন্যাও নয়)
মহামায়া
দেখো, এভাবেই ঠিক, হারিয়েই যাব একদিন, বেঁচে আছি, এই কম্পন পদ্ম কাঁটার মতো ধ্রুবকহীন। ভেসে ওঠে, আবার মিলায়।
সম্পাদকীয়
স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া মানুষের মুখ না লিখতে পারা কবিতা। অপাপবিদ্ধ। যন্ত্রণাকে শিকার করতে করতে দক্ষ শিকারীর মতো চুপ থাকে। তারপর একদিন নিজেই নিজের শিকার বনে যায়। আমি শিকারি নয়, বরং জল্লাদ হতে চাই। নিজেকে হত্যা করে প্রতিটি যাপনে শরীর থেকে শরীরকে ছুঁড়ে ফেলে দেখতে চাই তার প্রতিটি গোপনাঙ্গে কী লেখা আছে!
নভেম্বর ইজ দ্য মান্থ অফ মাইগ্রেশনস
ভাষান্তর: রমিত দে
(জন্মসূত্রে হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখর সাঁওতাল এবং সাঁওতালী জীবনের অস্তিত্বের প্রশ্নগুলিই বারবার তার গল্পে অনুরণিত হয়েছে। বারেবারে একজন গল্পকার তার চরিত্রের মধ্যে দিয়ে পাঠককে মুখোমুখি করিয়েছেন প্রান্তিক মানুষের নির্বাসিত জীবনের। এমনকি তার প্রথম উপন্যাস-‘রুপি বাস্কের অদ্ভুত অসুখ”এর মুখবন্ধে হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখর যখন লেখেন –‘ এটি ইংরেজিতে লিখিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাঁওতাল উপন্যাস’ তখন বোঝা যায় কিভাবে তার যাপনে জড়িয়ে রয়েছে নিজস্ব জাতিসত্ত্বার ভাষ্যগুলো। এই উপন্যাসের জন্যই হাঁসদা শৌভেন্দু শেখর ২০১৫ সালের যুব সাহিত্য আকাদেমী পুরষ্কারে ভূষিত হন এবং ২০১৪ সালের ‘ক্রশওয়ার্ড বুক এওয়ার্ড ও হিন্দু লিটেরারি এওয়ার্ডের জন্য তালিকাভুক্ত হন। )