Categories
কবিতা

মানিক সাহার গুচ্ছকবিতা

হাত সরাও

হাত সরাও। গা পুড়ে যাচ্ছে ওর তাপে। এই ন্যাকাপনা হাসি আর চাউনির পেছনে যে সাপ বাস করে, তাকে আমি চিনি। তার দ্বিখন্ডিত জিভে হিংসা ও লোভ লেগে আছে। লোভের বাইপাস কিছু নেই। সে কেবল ধ্বংস করতে জানে৷ চামড়া গুটিয়ে নিয়ে সাদা মাংস রোদে শুকোতে দেয়। মন্ত্র পড়া শুরু করলেই বলে ওঠে, এটা ম্লেচ্ছদের পাড়া। এখানে প্রেম নেই। যৌনতা আছে।

Categories
কবিতা

জ্যোতি পোদ্দারের কবিতাগুচ্ছ


ঘোরানো প্যাঁচানো মুখের আদল দেখেই বুঝেছি
তুমি যে ঘাসের কথা বলছ
সে আমার প্রাণসখা;
মহাপ্রাণে একসাথে গেঁথেছি উড়ন্ত ডানার

Categories
কবিতা

সিদ্ধার্থ সিংহের গুচ্ছকবিতা

কী করে বলি

হাইকম্যান্ডকে কী করে বলি!

ও রকম দু-চারটে খুন সবাই করতে পারে
কিন্তু এক কোপে কারো মাথা নামিয়ে
সেই মুণ্ডু নিয়ে কখনও কি ফুটবল খেলেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়?

Categories
গদ্য

সেলিম মণ্ডলের গদ্য

রাস্তা কারো একার নয়

কলেজ স্ট্রিটে কাজ সেরে আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে রাজা রামমোহন সরণি ধরে হাঁটছি। মাথাটা ভীষণ ভার। শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে। মাঝরাত্রিরে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর আর ঘুম ধরেনি। সকালে থেকে চুয়া বমি। শরীরটা ভালো না। কয়েকবার গলায় আঙুল দিয়েও বমি হল না।

Categories
গদ্য

ভাইরাল গায়িকা রাণু (মারিয়া) মণ্ডল

গৌতম চট্টোপাধ্যায়

“রাণু কোনোদিন কারোর কাছেই গান শেখেননি। তার হারমোনিয়াম ছিল না, বাজাতেও শেখেননি। শুধুমাত্র মেধা, স্মৃতি, কর্ণ ও কন্ঠ সম্বল করে তিনি রেডিও-রেকর্ড-টেপে পরিবেশিত গান পড়শিদের বাড়িতে অথবা পথচলতি শুনে শুনে শিখেছেন। রাণুর মাসি বলেছেন সে নাকি রাস্তার ছুটে যেত মাইকে বাজানো গান শুনতে।”

 

রানুর ব্যাপ্টিজমের নাম হয় মারিয়া। সেটা সম্ভবত কৃষ্ণনগর চার্চ-এ কারণ, সেখানেই জন্মেছিল রাণু সম্ভবত ১৯৬৫ সালে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, রাণুর ঠাকুরদার নাম ছিল বসন্ত রায়, বাড়ি ছিল ফরিদপুরে।