Categories
প্রবন্ধ

অনিন্দ্য রায়ের প্রবন্ধ

পাঁচ পঙ্‌ক্তির পৃথিবী

যক্ষ্মা, এই রোগটির খুব প্রিয় কবিদের ফুসফুস, সেখানে বাসা বাঁধে, বেড়ে ওঠে, তৈরি করে নিঃসীম ক্ষত। কত যে কবি ভুগেছেন, ক্ষয়ে গেছেন, প্রয়াত হয়েছেন যক্ষ্মায়!
৮ অক্টোবর, ১৯১৪। নিউইয়র্ক, রোচেস্টার। ৩৬ বছরের এক ভদ্রমহিলা মারা গেলেন এই অসুখে। পরের বছর ম্যানাস প্রেস প্রকাশ করল তাঁর একটি কবিতার বই ‘Verse’.

Categories
প্রবন্ধ

রাহুল ঘোষের প্রবন্ধ

ইসমত চুগতাইয়ের গল্পে নারীদের কথা

উর্দু সাহিত্যের অন্যতম একজন মাইলস্টোন হলেন ইসমত চুগতাই (১৯১৫-৯১)। তাঁর ছ’টি গল্পগ্রন্থ এবং দশটি উপন্যাস রয়েছে। আছে আত্মজীবনীমূলক রচনাও। ইসমত চুগতাই সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় উচ্চতর শিক্ষালাভ করেছিলেন। তিনি একজন প্রগতিশীল লেখিকা, মেয়েদের ওপর অত্যাচারের কথা তাঁর বহু গল্পে আছে। তৎকালীন সময়ে মেয়েদের নিয়ে লেখালেখি করা সত্যিই ছিল সাহসিকতার পরিচয়।

Categories
প্রবন্ধ

শিবাশিস দত্তের প্রবন্ধ

কবীর সুমনের প্রতিভা : মূল্যায়নের সমস্যা

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না। নামের পদবি, চরিত্র নিয়ে খোঁচা তো আছেই, তিনি যে-কথা বলেন তা নিয়েও প্রায়শই কটুকাটব্য চলে। নিন্দুকেরা অধিকাংশই আবার জানাতে ভোলেন না যে, এতদসত্ত্বেও তারা কিন্তু সুমনের গানের ভক্ত। কেউ কেউ আবার পিপিং টমদের মতো বেডরুমে উঁকি মারার ঢঙে নানা কথা ভাবেন— কারণ, Morality-র বিচার তাদের মতে জরুরি। আর কে না জানে, Morality is essentially sexual morality. ‘গানের সুমন’, ‘রাজনীতির সুমন’ ‘মরালিস্‌ট সুমন’—শিল্পী সুমনকে এমন খণ্ড খণ্ড করে দেখার প্রবণতাই সর্বাধিক।

Categories
প্রবন্ধ

মানস শেঠের প্রবন্ধ

‘ডিস্কো’: হারিয়ে যাওয়া সময় ফসিল

তখন বোধহয় ক্লাস সিক্স। থার্ড বেঞ্চে বসে সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক কষতে ব্যস্ত ক্লাসের ফার্স্ট বয়। চক হাতে বিজনবাবু। দুপুরের রোদটা চু-কিত্‌কিত্‌ খেলছে অঙ্কের বইয়ের সঙ্গে। ক্লাসে অঙ্ক পারলে বুকের ভেতর একটা আনন্দ ঠেলে বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়। ফার্স্ট বয় ও বা ব্যতিক্রম হবে কেন। সেও অঙ্ক পারার আনন্দে হঠাৎই বলে উঠল ‘পক্যাও’।

Categories
প্রবন্ধ

গৌতম মিত্রের প্রবন্ধ

জীবনানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ: দ্বৈরথ

রবীন্দ্রনাথের কাছে জীবনানন্দ দাশ ‘ভিড়ের ভিতর হারিয়ে’ যাওয়া মানুষই হয়তো থেকে গেলেন চিরকাল।
সমসাময়িক আর কোনো কবির ভাগ্যে এতটা অবজ্ঞা জোটেনি। শুধু চিঠির কথাই যদি ধরি, রবীন্দ্রনাথ অমিয় চক্রবর্তীকে চিঠি লিখেছেন ১৩৭, সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে ৩৮, বুদ্ধদেব বসুকে ৩৬, বিষ্ণু দে ও সঞ্জয় ভট্টাচার্যকে ৮টি করে। অথচ জীবনানন্দ দাশের কপালে জুটেছে মাত্র ২টি চিঠি, তা-ও যতটুকু না লিখলে ভদ্রতা বজায় রাখা যায় না।