Categories
আফিম: অলোকপর্ণা উপন্যাস ধারাবাহিক

অলোকপর্ণার ধারাবাহিক উপন্যাস: আফিম (দ্বিতীয় পর্ব)

আমাদের কোনো শাখা নেই, কোনো শাখা নেই

বড়োমেয়ে ফিরেছে আধা ঘণ্টা হল। দোরে দোরে আলো জ্বলে উঠেছে। জাহান আরা বড়ো মেয়ের সামনে মুড়ির বাটি রেখে বেরোতে গিয়েই দাঁড়িয়ে পড়ে। বড়ো মেয়ে জানে এই থমকে যাওয়ার মানে।
‘কত টাকা লাগবে?’ বলে মুখে মুড়ি ভরে রোশন আরা তাকিয়ে থাকে জাহান আরার দিকে।
ছোটোমেয়ে মনে মনে হিসেব করে বলে, ‘আড়াইশ,’

Categories
কবিতা

সমন্বয়ের গুচ্ছকবিতা

বাতেলা


আবিষ্কার ভুলে গেছি—
পুরানো মাঠেই খেলা করি— ক্ষতি কী?
সুখ্যাতি আমরা এমনিতেও পাব না,
শেকল হওয়ার বিবস্ত্র অজুহাতে—

Categories
কবিতা

সুমন সাধুর গুচ্ছকবিতা

একলা চলার মন্ত্র

৫ ডিসেম্বর

একটা দমকা হাওয়া বেশ চমকাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। ধরো, সে তোমার হাত ধরবে। কাঁধে হাত রেখে বলবে মদ খাওয়া যাক? তারপর রাতে সারা বিছানাময় উত্তাপ দেবে। আর এই শীতের হাওয়া জানান দেবে ক্যাম্প ফায়ারের আরেক অর্থ ডিটেনশন ক্যাম্প। আমাদের আদর জল-বাতাসা পাবে?

Categories
কবিতা

মনোজ দে’র গুচ্ছকবিতা

আমাদের ভালোবাসা


তুমি চাও
যথেচ্ছ হওয়ায় উড়ে যাক চোখ

অথচ এখানে আয়না ও দেওয়াল ততটা পৃথক নয়

Categories
কবিতা

হাসান রোবায়েতের কবিতা

দুপুরের বন্ধন

কখনো এমন হয়, পাতাঝরা আইলের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের মনে পড়ে—দক্ষিণের বাতাস চলে গেছে কতদিন আগে, কতদিন আগে পৃথিবীর বেহুলা নারী নিয়ে গেছে দূর রূপকথা, ভাসানের অবছিন্ন আলোয় থেমে গেছে রজনীল হাওয়া—

Categories
কবিতা

শতানীক রায়ের গদ্য

কুহকের লেখা ও অন্যান্য গদ্য

কুহকের লেখা

একটা কুহক নিয়ে জন্মেছি যেন। যত এগোচ্ছি কেমন অদ্ভুত দৃশ্য খুঁজে পাচ্ছি। পর্দা সরালেই জগতের বাহার। মাংস অদলবদল হওয়ার কারিগর হয়ে উঠছি ক্রমে। কেন কী কারণ— এ-সব নয় মানুষের শরীরে এইসব বার্তা মানায় না। সংশয় যখন তৈরি হতে থাকে একটা তীর্যক জীবনের রহস্য খুলে আসে। কেউ কাউকে ক্ষতি করছে না।

Categories
কবিতা

রাতুল ঘোষের গুচ্ছকবিতা

কাম


আগামী হপ্তায় মারা যাব, তবু তোমার ঐ কাম
সার্কাসে বাঘের মতো লাফ দেওয়ায় আমাকে আগুনগোলক
ভেদ করে। কেন এত শয্যাপরায়ণ বলো মৃত্যু আমাদের?

Categories
কবিতা

সেখ সাদ্দাম হোসেনের কবিতা

সঙ্গরোধের মেলানকলি


একটানা দীর্ঘদিন দরজা বন্ধ

একটানা দীর্ঘদিন কাঠি আর তালা
অনঘ দূরত্বে ঝুলে আছে

Categories
কবিতা

প্রশান্ত সরকারের গুচ্ছকবিতা

পাখিসর্বস্ব

পাখিদের কথা লিখতে গেলেই যথাসম্ভব ছোটো হয়ে আসে জানালা, প্রথাগত কৌতুহল থেকে সামান্য সচেতনতা উড়িয়ে দিলেই যেখানে দূরত্ব মাপা যেত সহজে, সেখানে কীসেরই বা প্রয়োজন ছিল এতসব বিবৃতির? পাখিদের কোনো মাইলফলক নেই, তাই যেতে যেতে একবারও চোখে পড়ল না ফিরে আসার উপায়…

Categories
কবিতা

পঙ্কজকুমার বড়ালের গুচ্ছকবিতা

গান

কেবলই মনে হয়, গভীর শোক এলে মানুষ গানের কথা ভাবে৷ যেমন তুকনামাই, হাজার বছর আগে তাঁর প্রিয় খরগোশটি নিয়ে গেল চিলে৷ সে তখন মুড়াকিরি পাহাড় থেকে উপত্যকার দিকে, গভীর উদাস করা একটি গান ভেসে যেতে দেখে৷ তাঁর কোনো সঙ্গী ছিল না৷ এমনই নির্জন যে, তাঁর স্তনে কখনো-সখনো মেদুর প্রজাপতি বসে৷