একটি সহিংস প্রেমের দৃশ্যে ঢুকে প’ড়ে বোঝা যায় প্রেম ও ঘৃণার মধ্যে বস্তুত পার্থক্য নেই। দু-জনের গায়ের রঙের ওপর লালার সর আড় ভেঙে বসে অপেক্ষা করছে, তীব্রতা ফুরিয়ে গেলে আদিম নিয়মের মতো চেঁছেপুঁছে ফেলে দেবে। ক্রমশ হাইড্রেনপ্রীতি বাড়ে, কবিকে আদর্শ মনে হয়, প্রতিষ্ঠাকে বড়ো কোনো ভুল।
একটা জ্বর, সকাল থেকে ঘুরেফিরে এসে আদর করে যাচ্ছে করিমন বিবিকে। নিজেকে, নিয়মিত জ্বলে পুড়ে পিছন কালো হয়ে যাওয়া একটা হাঁড়ির মতো লাগছে করিমন বিবির। ভ্রূণের ভঙ্গিমায় গুঁটি পাকিয়ে মাদুরে লেপে আছে সে। পাশ ফিরলে এক্ষুনি তার গালে বালিশের ভাজের দাগ দেখা যাবে।
— কেমন চলছে সবকিছু? বেরোচ্ছিস টেরোচ্ছিস না তো?
— এই সময়ে কেমন আর চলবে, সবারই তো এক অবস্থা। বেরোচ্ছি বলতে ওই খুব প্রয়োজন হলে তবেই। মানে খাদ্যবস্তুর অভাব হলে আর কী!