সমুদ্রের গল্প
দিদির দেওয়া লাল মলাটের বইটা তখনও সঙ্গে। আমরা তিনজন মেরিন ড্রাইভে বসে আরব সাগরের বিকেল মাপছি।
বোম্বের দুপুরে নিজেকে বেশ করে সেঁকে নিয়েছি গত দু’দিন। শুকিয়ে নিয়েছি খানিকটা ব্যর্থতা, অনুশোচনা…
“পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরার মরশুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোনো সময়েই মাছ ধরিবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলো অনির্বাণ জোনাকির মতো ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। জেলে–নৌকার আলো ওগুলি। সমস্ত রাত্রি আলোগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় ম্লান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সংকেতের মতো সঞ্চালিত হয়। একসময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়।
কবি সন্তু দাসের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেলিম মণ্ডল এবং শতানীক রায়
[স্পষ্ট বক্তা এই কবির সঙ্গে আমরা চেয়েছিলাম প্রশ্নোত্তরের খেলা নয়, চেয়েছিলাম চায়ের দোকানে বসে যেমন আমরা দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিই, গল্প করি তেমনই কথাবার্তা। শেষপর্যন্ত এই আলাপচারিতা সেভাবেই এগিয়েছে। ধন্যবাদ সন্তু দাসকে]
ভাষান্তর: সুদীপ ব্যানার্জী
যেদিন প্রথম খবর পেলাম সাহিত্যে আমি নোবেল পুরস্কার পাচ্ছি, ভাবতে বাধ্য হলাম ঠিক কীভাবে আমার গান সাহিত্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। যোগাযোগটি ঠিক কোথায়, অনুভব করতে চাইছিলাম। চেষ্টা করছি আপনাদের সামনে সেটাই স্পষ্ট করে বলতে। যদিও এই বলাটা হয়তো ঘুরিয়ে বলা হতে চলেছে, কিন্তু আশা করি যা আমি বলব তা সার্থক ও ফলপ্রসূ হবে।
একটি জনপ্রিয় বাংলা ছবি। সিনেমার পর্দায় ভেসে উঠেছে ভোরের উত্তর কলকাতার ছবি। ক্যামেরা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে পুরোনো একটি বাড়ির ভিতরে। একতলার উঠোনে বাড়ির এক মহিলা একটি জ্বলন্ত উনুন নিয়ে এসে রাখলেন এবং নীচু হয়ে বসে একটি হাতপাখা দিয়ে উনুনে হাওয়া করতে শুরু করলেন। ধোঁয়ার কুণ্ডলি পাকিয়ে ধীরে ধীরে ওপর দিকে উঠতে দেখা যায়।
ভাষাবিদদের গবেষণা ও মতামত অনুযায়ী: ভাষার কেন্দ্রচরিত্রে থাকা শব্দের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য মূলত দুটি। প্রথমটি হল ধ্বনি এবং দ্বিতীয়টি হল দৃশ্য। ধ্বনি হল, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাথমিক এবং আদিমতম রূপ। যাকে বিশ্লেষণ করে, সম্ভাব্য দ্বিমাত্রিকতায় রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকে অক্ষর এবং যাকে আবার জোড়া লাগিয়ে শব্দ তৈরি করার প্রচেষ্টা থেকে দৃশ্য।