জীবন রাতখোর
পরিযায়ী
সমস্ত জেগে থাকায়
মাথার ভেতর ওড়ে শঙ্খচিল…
জীবনের কাছে একটামাত্র সিগারেট চেয়েছিলাম!
নিষেধাজ্ঞা
নিষেধাজ্ঞা জারী হলো, আমার মুখের দিকে তুমি তাকিয়ো না। এই যে উচুঁ- নিঁচু খানা-খন্দক, পাহাড়-পর্বত, আলোর তীব্র ঝলকানি, তুমি পা পিছলে পড়ে যেতে পারো। জানো তো, আমার চোয়ালে রাগী পিপঁড়েদের বাসা। চোখের ভেতর সমুদ্র। তুমি স্নানের বাসনা নিয়ে খুলে ফেললে বুকের কাঁচুলি, আমার ভীষণ ভয় করে। আমি কাউকে বলি না, তোমার প্রেমে পড়ার স্বভাবে মৃত্যু আসে।
[পরিকল্পনা ছিল, নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নকে ভিত্তি করেই হবে আলাপ-বিস্তার। তার সঙ্গে কিছু আনুষঙ্গিক প্রশ্নও উঠে আসবে। কোথায় কী! আমার সাংবাদিক-প্রবণতা ভেঙে গেল খুব তাড়াতাড়ি। ফোনের ওপারে, কথক-ঠাকুরের মতো ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরলেন বিপ্লবদা… কবি বিপ্লব চৌধুরী…]
১— টুকরো
এক জানলা থেকে আরেক জানলায় যেতে গিয়ে দেখি, ডানার কমতি পড়ছে৷ গুনে গুনে বলা যায় আকাশের মেঘ কতটা শ্রম দিয়ে ঘাম নিংড়েছে৷ ওরা বৃষ্টি হয়ে ঝরে আমি সাগরের মাঝে জলচৌকি নিয়ে নৌকা কাটি৷ তালিবানের মতো এক তীব্র আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে পেলাম আরোগ্য নিকেতন৷ যতদূর চোখ যায় রোগী আর হিসেব৷ কতদিন মরুভূমির পাশ কাটিয়ে পেরাতে গিয়ে দেখেছি, উটের শৃঙ্গার৷
পথ
গভীরে কোথাও এক জন্মদাগ। নক্ষত্রের নাভিকুন্ড পুড়ছে অল্প শীতে। আমাদের খাদ্যের উত্তাপ থেকে সরে যাচ্ছে একটা জন্ম, অলখ এক তরঙ্গের দাগ। বেশি পুড়ে যাওয়া মাটির মন্দিরে প্রণাম লেখা এক অন্ধকারে দুলছে দুধলতা। তার ঠোঁট, নাভি ও মৃত্যুর সব আয়োজন মুছে গেছে। অসুখজ্যামিতির ঈশ্বরের ক্ষীণ চিৎকার দূরে কোথাও ফেলে এসেছে সন্তানপ্রভ এক আলো।