বাংলার ঋতুচক্রে শরৎ ঋতু তথা আশ্বিন মাস বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের আগমন বার্তা বয়ে আনে। বর্ষা শেষের মেঘমুক্ত আকাশ ও মাঠে মাঠে কাশ ফুলের অনাবিল সৌন্দর্য উৎসবের চিত্রকল্প সৃষ্টি করে।
বিদ্যাসাগর রচিত ‘বর্ণপরিচয়’ প্রথম ভাগে গোপাল নামে যে সুবোধ বালকের দৃষ্টান্ত দিয়েছিলেন বাঙালি ঘরে ঘরে সকলেই সেই সুবোধ বালকের প্রত্যাশা করেন। তার সঙ্গে তিনি তুলনা টেনেছিলেন রাখাল বালকের।
পৃথিবীতে সব থেকে বেশি যে-কয়েকটি চিত্রকল্প আর উপমা ব্যবহৃত হয়েছে তার মধ্যে একটি অতি-অবশ্যই নির্জনে বনের মধ্যে সবার অগোচরে ফুলের ঝরে যাওয়া। একটি ফুলের ফুটে ওঠা আর ঝরে যাওয়া— বিষয়টির মধ্যেই এক বিয়োগাত্মক বিষয় ঝিম মেরে বসে থাকে।
এই নিয়ে কম টিটকিরি তো শুনতে হয়নি! এমনকী পাড়া-প্রতিবেশীরা চরিত্র নিয়ে কথা বলতেও ছাড়েনি! আর বলবে না-ই-বা কেন? নিজের আত্মীয়-স্বজনরাই যখন বিষয়টাকে ভালো চোখে দ্যাখেনি, তখন বাইরের লোকেরা তো দু-পাঁচ কথা বলবেই।