লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

গৌতম দাস

বহুরূপী


কি এমন হলো বলো, ভোর হলে না যে
এভাবে চললে পাখিটা কতদিন বাঁচে

বগলদাবা হয়ে আছে জীবন যাপন


কবিতা পড়ে না উই
বর্ণমালা দাঁতে দাঁতে কাটে
বসতি বোঝে না গোত্রনাম
হৃদয় গ্রন্থের কথা
বাতাস মার্জনা করে মাঠে
মনে মনে জানাই প্রণাম


ভুল বানানে ভরা চিঠির মতো কাঁচা—
প্রেমের বিষয়, বার্তার অবলম্বন

যে-কোনো ভাষার ঠোঁটে ফুটে উঠে বাঁচা

জনপদে দেখা হয়, ও গ্রাসাচ্ছাদন


গলির পিঠে গলি একমুঠো কলাইভাজা—
চেবাতে চেবাতে ছাতু— ভালো-মন্দ সাজা

নাম করতে তৃষ্ণায় আ-কণ্ঠ শুকনো কাঠ
জীবন যেদিকে যায় দরোজা-কপাট

সটান বুজিয়া যায় ফাঁকা পেট ডাকে
জীবনানন্দ থেকে মুখস্থ বলি তাকে

আউটডোরে নাম লিখে দি ভালোবাসার
দু-একটা পিল-টিল গিলিয়ে পগারপার

মাইল মাইল হাওয়া ভিক্ষে চেয়ে চেয়ে—
অচেনা মুখের চেনাশোনা গান গেয়ে

একমুঠো কলাইভাজা গলির পিঠে গলি
জীবনানন্দ থেকে চিবিয়ে কথা বলি

ভিড়ের মাত্রা ধরে পা বাড়ায় রোদ্দুর
ভিড়ের মাত্রা খোঁটে ঘেমে ওঠার সুর


আবছা কথা আবছা রাস্তা আবছা ঘরবাড়ি আবছা গাছপালা
আবছা আলো আবছা যানবাহন আবছা মানুষজন আবছা
চলাচল আবছা ছ্যাবলামো আবছা সংসার প্রতিবেশী
আবছা দো-তারা আবছা ধুলোধুলি আবছা স্নানঘাট গামছা
আবছা স্বপ্ন আবছা জাগরণ আবছা বোঝাপড়া মুখ

আবছা আয়নার ভিতরে অনাবিল দু-চোখের ছলাৎ ভিক্ষুক


বলো, এ আমাদের কত তম আলাপ?
তত বাঁক ঘুরেছে সড়ক, তত তীর
ছাঁটলে তবে লোকে বলে— ভিখিরি স্বভাব

বলো, এ আমাদের কত তম ফিকির?


বৃত্তিমূলক চরণ রঙিন করেছে দিনে দিনে
প্রতিটি আলাপ আজও জনশ্রুতি গড়ে তোলে পিছে
ঘুম ভাঙা পৃথিবীর দু-পা সেইই বাঁধা আছে ঋণে
কোথায় পালাবে তুমি?আমি বিনা তুমি কিন্তু মিছে

লহর পাঠায় শঙ্খ গুজব রটায় জনপদ
বোঝ সাঁই, এ দুনিয়া প্রেমের আপদ…

Facebook Comments

পছন্দের বই