লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

জাতিস্মর

বিড়ালচরিত


যা অদৃষ্ট তার কাছে গোপন করিনি
সন্দিগ্ধ আতর।

আমার প্রাণময়বিড়ালটি মৎস্য ধর্ম
ছেড়েছুড়ে বসে আছে— রোদসন্নিকটে—
আমার সন্দেহবিড়ালটি শিউরে উঠছে
স্বগন্ধহীন— দর্পণের দিকে…

ওই দর্পণ যেন প্রসব করছে তার চতুর্থ শ্বদন্ত


নীল চোখ বন্ধ রাখার স্বভাব
দরজার ওপারে গেলে আর থাকবে না

এমনই শিক্ষা দিয়েছি আমার ভক্তিবিড়ালটিকে

কাঁধের থেকে এক খাবলা মাংস
তুলে নিয়ে খেতে খেতে
আচমন মন্ত্র গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে
সুষুম্নাবিড়ালটির


পাথর হয়ে যাবার নির্দেশ অমান্য করে
স্বয়ং পাথরদেবতা আমাকে দান করেন
প্রচণ্ডবিড়ালটি

আমার বাহু দু-টি যে মজবুত হয়েছে আরও
এ ব্যাপারে আমার বাহুদ্বয় এখনও সন্দিহান

যেন প্রচণ্ড বেগে ছুটে আসা
মর্মনখরের কাছে তারা
এখনও অভিসম্পাত মার্জনা চায়…


আমার ভ্রমণবিড়ালটি দেখি এখনও আমার
দু-চোখের দৃষ্টি এড়িয়ে চলছে

সারাদিন জলের ওপর জল
নষ্ট ঢেউ, অশ্লীল পদচারণা
তারপরে বালি আর কাঁকড়ার আশ্চর্য মৈথুন দেখে
আমার চোখ কি ক্রমে ক্রমে

যৌনাঙ্গের মতো দৃঢ় হয়ে উঠছে?


এমন মন্দির আমি কখনো যাইনি
যেখানে যন্ত্রণার গর্ভগৃহ আছে

তবে আমার মস্তিষ্কবিড়ালটি
বার ছয়েক ঘুরে এসে আমার সুপ্রাচীন কানে
ফিসফিস করে জানিয়ে গেছে

যন্ত্রণা আসলে পদদলিত ফুল

Facebook Comments

পছন্দের বই