লেখক নয় , লেখাই মূলধন

গল্প

তীর্থংকর নন্দী

হট লুক বিষয়ক

প্রাচীনকালে কি হট লুক শোনা যেত! কী শহরে কী গ্রামে! এই শব্দ নিয়ে কি কোনো বই আছে! ধৃতি এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না। জানে না। দিউ তো আরওই জানে না। এ-সব বালক বা শ্রী কেউই জানে না।

***
শ্রী-র গল্প প্রথমে শুরু করা যাক। শ্রী মোটামুটি সুন্দরী। বিবাহিতা। বয়স তিরিশ। একটি মাত্র কন্যাসন্তান। শ্রী-র বিয়ে হয় দশ বছর আগে। বালাতে। বালা এই শহর থেকে বেশ দূরে। ট্রেনে লাগে একরাত। কিছুটা গ্রাম কিছুটা শহরের মিশেল নিয়ে গড়ে ওঠে বালা। বিয়ের পর প্রথম প্রথম শ্রী-র বালাতে থাকতে ভালো লাগত না। পরে অবশ্য অভ্যস্থ হয়ে যায়। শ্রী-র স্বামী রেলে চাকরি করে। নাম বুবু। দশটা পাঁচটা পুরুষের মতন বুবুও অফিস থেকে রোজ বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বাড়ি ফেরে। শ্রীও সারাদিনের একাকিত্বের শেষে বুবুকে বিকালে কাছে পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়ে। চা বানায় গরম লুচি ভাজে আলুর তরকারি করে। খুব আয়েশ করে দু-জনে সান্ধ্য টিফিন সারে। তারপর জমাটি গল্পগুজব। সারাদিন অফিসে কী হল। কে কে টিফিন খাওয়ালো এইসব।

মধ্য বৈশাখী বিকাল। গাছসারির সরু পথ ধরে শ্রী ছেলেকে নিয়ে চলে স্টেশনে। ছেলের জন্য খেলনা গাড়ি কিনতে। স্টেশনের এ-পাড়ে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। সবই ভালো ভালো জিনিস বিক্রি হয় বালা স্টেশনের ও-পাড়ে। এখন ছ-টা বাজে। রোদের হালকা তাপ বেশ অনুভূত হয়।

শ্রী ছেলেকে নিয়ে ওভারব্রিজে ওঠার সময় যেন খেয়াল করে বুবু দাঁড়িয়ে। সামনে একটি চায়ের দোকান। সঙ্গে অল্প বয়সের এক মহিলা। মহিলার ঠোঁটে চড়া রঙের লিপস্টিক। দেখলেই কেমন লাস্যময়ী মনে হয়। দু-জনে চা খায় খুব ঘনিষ্ঠভাবে। যেন বহু পরিচিত। পুরোনো। মহিলা মাঝে মাঝে বুবুর কানে যেন কী বলে। কী বলতে পারে। শ্রী ব্রিজে উঠতে গিয়ে থমকে যায়। দৃশ্যটি দেখে শরীর মন কেমন গরম হয়ে পড়ে। দু-কান দিয়ে আগুন ঝরে। শ্রী এই হট লুকের ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না। কে এই মহিলা। কে এই লাস্যময়ী!

হট লুকের ঘটনাটি শ্রী ইচ্ছে করেই ছ-মাস চেপে রাখে। অবশ্য চেপে রাখার কারণও আছে। বুবুকে একটি ঘটনা দিয়ে বিচার করতে মন চায় না। চায় আরও হট লুক। আরও ঘটনা। আরও দৃশ্য। তবেই তো বুবুকে চেপে ধরতে পারবে। বালা স্টেশনের আগে একটি ছোটো পার্ক আছে। গরমকালের সন্ধ্যায় মানুষ এই পার্কে আসে। বসে। হাওয়াতে শরীরসমস্ত মন ঠান্ডা করে। পার্কের ভিতর দিয়ে হেঁটে গেলে স্টেশন অনেক কাছে পড়ে। শর্টকাটে স্টেশনে চলে আসা যায়।

একটি শরৎ সন্ধ্যা। সন্ধ্যাটি আজও অমর। শ্রী সেই সন্ধ্যা কখনো ভুলতে পারে না। পারবেও না। ছেলেকে নিয়ে শ্রী-র বালা স্টেশনের বাজার থেকে আটা কেনার কথা। আটা লাগে বুবুর জন্যই। বুবু রাতে রুটি ছাড়া খেতে পারে না। পার্কের ভিতর দিয়ে শর্টকাটে স্টেশনে যাওয়ার সময় শ্রী হালকা অন্ধকারে টের পায় বুবুকে। বুবু পার্কের বেঞ্চে লম্বা হয়ে শুয়ে। মাথাটা সেই লাস্যময়ীর কোলে পাতা। লাস্যময়ী বুবুর চুলে বিলি কাটে। গল্প করে। হাসি ঠাট্টা চলে দু-জনের। আবছা অন্ধকারে শ্রী এই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠে যায়। ভুরু কুঁচকে ওঠে। এমন একটি হট লুক দেখতে হবে শ্রী কল্পনাও করতে পারে না। বাড়িতে এসে চুপচাপ বুবুকে রুটি তরকারি মাছের ঝোল খেতে দেয়। একটি বাক্যও সেই দৃশ্য নিয়ে ব্যয় করে না।

পরদিন সকালে ছেলেকে নিয়ে শ্রী শহরে চলে আসে। বাবা মা-র কাছে। বালাতে আর কখনো কোনোদিন ফিরে যায় না।

***
বালকের গল্প শুরু করা যাক। বালকের গল্প না শুরু করলে বালক আড়ালে থেকে যাবে।

বালকরা থাকে শিল্পাঞ্চলে। চারিদিকে বিভিন্ন শিল্প। তবে ইস্পাতের কারখানাই বেশি। বালকের বাবা ইস্পাত কারখানার কর্মচারী। বালকের বয়স কুড়ি-একুশ। ক্লাস সিক্স অবধি পড়ে আর স্কুলের দিকে যায়নি। স্কুল ভালো লাগে না। ফলে বালকের কাজ সারাদিন টো টো কোম্পানি। আরও দু-চারজন একই বয়সের ছেলে বালকের সঙ্গে থাকে। ওদের একটি ছোটো দল আছে। প্রত্যেকে গাঁজা বিড়ি চোলাইয়ে অভ্যস্থ। সর্বক্ষণ ওদের চোখজোড়া লালবর্ণ। কোনো বাড়ি থেকে আম চুরি করবে। কোন বাড়ি থেকে পেয়ারা! কোন বাড়ি থেকে কলা এইসব নিয়েই বেশ কেটে যায় নিত্যদিন। সঙ্গে আছে আজ কোন বাড়ি থেকে বাসন চুরি করা যায়। অথবা কোন বাড়ি থেকে ভাঙা সাইকেল! মোবাইল! লোহার টুকরো! চুরি করা জিনিস বিক্রি করে দিব্যি জুটে যায় গাঁজা। বিড়ি। চোলাই। এইসব কুকর্মের জন্য মাঝে মাঝে হাজতবাসও হয়। অবশ্য হাজতবাস এদের কাছে গা সওয়া।

বালকদের বাড়ি থেকে মিল্ক কলোনি একটু দূরে। কলোনির পাশে বটবৃক্ষ ঘেরা একটি শান্ত পুকুর আছে। শান্ত পুকুরটি বয়স্ক সকালে কেমন যেন অশান্ত হয়ে পড়ে। কলোনির ছেলেমেয়েরা এমনভাবে স্নান করে সাঁতার কাটে যে শান্ত জল ভেঙে বড়ো বড়ো ঢেউ খেলা করে। বটগাছের আড়ালে বসে বালক বন্ধুদের নিয়ে মজায় আড্ডায় মেতে ওঠে। নেশার জন্য সবাই কেমন এলোমেলো। অসংলগ্ন কথাবার্তা। কিন্তু বালকের চোখজোড়া বন্দি থাকে পুকুরে। মেয়েদের স্নানের দৃশ্যে। আরও কত কী! ছেলেরা জলে দুপ দাপ লাফিয়ে পড়ে। চিত সাঁতার কাটে। বাটারফ্লাই সাঁতার। কেউ কেউ ডুব সাঁতার দিয়ে উলটো দিকের জমিতে গিয়ে ওঠে। বেশি নেশার জন্য বালকের বন্ধুরা গাছর ছায়ায় একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু বালক জেগে থাকে। ঝিম মাথায় ঝিম চোখে অশান্ত পুকুরের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন দৃশ্য দেখে।

কলোনির রুম্পা অনেক বদলে গেছে। স্নান সেরে জলের ঢেউ থেকে পাড়ে দাঁড়ালে ভেসে ওঠে নীল বর্ণের সিক্ত প্যান্টি। নীল বর্ণের সিক্ত অন্তর্বাসের জলছবি। বালক ঝিম চোখে একদৃষ্টে রুম্পাকে দেখে। রুম্পার সিক্ত শরীর দেখে এমন হট লুকে রুম্পাকে কোনোদিন দেখেনি। রুম্পা নীল বর্ণের প্যান্টি নীল বর্ণের অন্তর্বাস নিয়ে একসময় বটবৃক্ষের আড়ালে হারিয়ে যায়। বালকের ঝিম চোখ থেকে রুম্পা লুকিয়ে পড়ে। তবুও বালক অশান্ত পুকুরের দিকে তাকিয়ে থাকে। ভাবে আর কি হট লুকের দৃশ্য দেখা যাবে না! মনে মনে ভাবে পুকুর যখন আছে স্নানের দৃশ্য যখন বর্তমান তখন হট লুক অবশ্যই কোথাও লুকিয়ে।

ঝিমুনিতে চোখজোড়া বুজে আসে যেন। তবুও হট লুকের লোভে বালক চোখ বোজে না। জানে আর দশ মিনিট অপেক্ষা করলেই জল ঢেউ থেকে উঠে আসবে কলোনির লালি বৌদি। লালি বৌদির আগুনের মতন ফিগার। তিরিশ আঠারো চল্লিশ। স্নান শেষে যখন ডাঙায় ওঠে মনে হয় স্বর্গ থেকে পরি নেমে এল। কী রূপ! কাঁধ অবধি ঘন চুল। টানা দুটো চোখ। ভারী নিতম্ব নিয়ে যখন হাঁটে মনে হয় মাটি ফেটে যাবে। লালি বেউদির ভারী নিতম্ব কে না দেখে! এই হট লুক সর্বজনপ্রিয়।

***
দিউ ঘর অন্ধকার করে শুয়ে। শরীর মন একদম ভালো না। দিউ-র গল্প এইখান থেকেই শুরু হক। অন্ধকার ঘরটি কেমন ভূতের মতন। তবুও অন্ধকারই ভালো। দিউ শুয়ে শুয়ে দু-টি জিনিসের কথা খুব ভাবে। এক আজকের ইন্টারভিউ কেমন হল! দুই ইন্টারভিউ দিতে যাবার সময় লেকের কাছে যে-ছেলেটিকে ব্যায়াম করতে দেখে! অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরে শুয়ে শুয়ে দিউ চিন্তা করে চাকরিটা কী হবে! প্রশ্ন-উত্তরের পালা ঠিকঠাকই হয়। দিউ শুয়ে শুয়ে মনে করে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যেমন মাপা মাপা হওয়া দরকার ঠিক তেমনই সে উত্তর দেয়। চাকরিটা তা হলে হবে তো! চাকরিটা তার ভীষণ দরকার। চাকরিটা না হলে তিনজনের একটি সংসার সম্পূর্ণ বসে যাবে। ডুবে যাবে। অন্ধকার ঘরে দিউ-র কখন ঘুম এসে যায়। দিউ গভীর ঘুমে ঢলে পড়ে।

ঘুমের ভিতর সকালের ঘটনাবলি হুবহু এক হয়ে স্বপ্নে ফিরে আসে। দিউ স্বপ্নে দেখে সকাল ন-টার সময় গোলপার্কে। লেকের রাস্তা ধরে ধীরে ধীরে হেঁটে চলে দশ নম্বর লেক ভিউ রোডের তিন তলা বাড়িটিতে। দোতলায় সকাল দশটায় ইন্টারভিউ। দিউ হাতে সময় নিয়েই বাড়ি থেকে বেরয়। ধীর পায়ে লেক রোড ধরে। লেক থেকে উঠে আসা হাওযা ভালোই ঠান্ডা। শীতের সকাল ন-টা মানে এখনও ভোর ভোর ভাব। পাঁচ মিনিট হাঁটার পর চোখে ভেসে আসে তিনজন যুবকের শরীর কসরত করার চিত্র। বয়সে বড়ো ছেলেটির শরীর স্বাস্থ্য বেশ। বাইসেপ দারুণ। সিক্স প্যাক যেন মনে হল। ফ্রি হ্যান্ড করার সময় দারুণ লাগে। অত্যন্ত সুঠাম চেহারা। দেখলেই চোখজোড়া ফেরানো যায় না। দিউও অনেকক্ষণ চোখ ফেরাতে পারে না। পারেনি। কয়েক মিনিটের জন্য যেন ভুলেই গিয়েছিল তাকে ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে। দিউ অনেক কষ্টে সেই হট লুক ছেলেটির থেকে চোখ সরিয়ে গাছমালা ধরে লেক ভিউ-এর দিকে হাঁটা শুরু করে। ঠিক এইখানে এসেই ঘুমটা ভেঙে যায়। দিউ তাকিয়ে দেখে অন্ধকার ঘর। বিছানায় ক্লান্ত শরীরে সে একা। অন্ধকারের ভিতরেই ছেলেটিকে আবার যেন দেখতে পায়। এইরকম হট লুকের চেহারা এই শহরে আর কোনোদিন দেখেনি। দেখবেও না। দিউ-র মনে হল অন্ধকারের ভিতর সুঠাম পুরুষটিকে ডাকে। বিছানায় আসতে বলে। পাশে আদর করে শোওয়ায় তারপর সারারাত ছেলেটির সঙ্গে গল্প করে। নাম জানতে চাইবে। কোথায় থাকে জানবে। কী করে ইত্যাদি।

***
হট লুকের সঠিক ভাষা কী! হট লুক কেন বলা হয়! হট লুক নামকরণ কে বা কারা করে! হট লুক শব্দটি কবে থেকে চালু হয়!

ধৃতি অফিস থেকে এসে চা খেতে খেতে কথাগুলো নিয়ে ভাবে। চিন্তা করে। ধৃতি ভাবে তার বাবা অথবা ঠাকুরদা যখন অল্প বয়সের ছিল তারা কি এই হট লুক শব্দের সঙ্গে পরিচিত ছিল! অথবা হট লুক-এর কি কোনো অন্য নাম ছিল! ঘরে টিভি চলে। ধৃতির চোখ এমনিই টিভির পর্দায়। খুব যে মন দিয়ে সংবাদ শোনে তাও না। অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে এলে শরীর মন যখন আর দেয় না ধৃতি তখন চা খেতে খেতে টিভি চালিয়ে দেয়। খবর হয়। বিজ্ঞাপন দেখায়। চটুল গান হয়। নেতারা তর্ক করে। বিতর্ক হয় কোন নেতা কত বড়ো চোর। কোন তেলে চুল ওঠে না। কোন ক্রিমে মহিলাদের দেহ চকচক করে। কোন পিল জন্ম নিয়ন্ত্রণে একদম নির্ভুল কাজ করে ইত্যাদি।

টিভি নিজের মতন চলে। আধঘণ্টা বাদে সিনেমা হবে। রাতে একসময় অ্যাডাল্ট মুভি হয়। বাবা মা হয়তো খেয়ে শুয়ে পড়ে। ধৃতি কীসের টানে যেন নিত্য এইসব অ্যাডাল্ট মুভি দেখে। এইসব মুভিতে কোনো ভালো গল্প থাকে না। থাকে শুধু বেড সিন। চুমু দৃশ্য এইসব। ধৃতি যদিও এইসব মুভি ভালো করে মন দিয়ে দেখে না। শুধু যেন টাইম পাসের জন্য টিভি খুলে রাখে।

রাত এগারোটা। ধৃতি বাথরুম থেকে হাত পা মুখ ধুয়ে আবার সোফায় এসে বসে। চিন্তা করে কাল অফিসে কী কী কাজ প্রথমে করতে হবে! পেমেন্টে গিয়ে কিছু কথা সেরে নেবে। টিফিন টাইমে বাইরে না বেরিয়ে কিছু খাবার আনিয়ে নেবে। কেন-না বকেয়া কিছু কাজ কালই শেষ করতে হবে। প্রতি রাতে অফিসের চিন্তা করতে করতেই রাত বেড়ে যায়। চোখেও ঝিমুনি আসে। একসময় মা রাতের খাবার টেবিলে এনে রাখে। বলে খেয়ে নে। রাত হচ্ছে। ধৃতি রাতের খাবার ইচ্ছে করেই দেরি করে। কেন-না খাওয়া শেষ হলেই চোখজোড়ায় গাঢ় ঘুম নেমে আসবে। তখন বসে থাকা খুব কষ্টকর। সাড়ে এগারোটায় বিজ্ঞাপনের মেয়েটি আসে। রোজই আসে। আসে চমৎকারভাবে। টিভির কাচ পর্দায় ভেসে উঠবে মেয়েটির হালকা হাসির রেখা ঠোঁটে দুলিয়ে। পরনে মেরুন বিকিনি। মেরুন অন্তর্বাস। চেহারা যথেষ্ট ভালো। পুরুষ্ট। হাসতে হাসতে চেয়ার টেবিল সোফা ডাইনিং টেবিলের মজাদার কত গল্প শোনায়। দামে কম। মজবুত বেশি। আবার অত্যন্ত কম সুদে ক্রয়ও করা যায়। লোন সহজেই পাওয়া যায়। তিন বছরের জন্য সহজ লোন। দশ মিনিটের বিজ্ঞাপন ধৃতি খুব মন দিয়ে দেখে। শোনে। কাচ পর্দায় মেয়েটির হট লুক দেখতে দেখতে রাতের খাওয়া শেষ হয়। চোখে গাঢ় ঘুম জড়িয়ে আসে। বিছানায় চলে যায়।

আগামীকালও ধৃতি হট লুকের মেয়েটিকে দেখতে দেখতে রাতের খাওয়া খাবে। ঘুমিয়ে পড়বে। রোজই দেখবে। এই হট লুক যেন শেষ না হয়।

Facebook Comments

পছন্দের বই