লেখক নয় , লেখাই মূলধন

গল্প

দেবকুমার সোম

প্রতিটা খুনই আসলে রাজনৈতিক

হোম মিনিস্টারের মোবাইল ফোনটা কাকে ডাকাতি করেছে। রোববার সকাল। শীতরোদের আমেজ নিতে ব্যালকনিতে নিউজপেপার আর গরম চা নিয়ে মন্ত্রীমশাই বসেছিলেন। পাশেই ছিল অ্যান্ড্রয়েড ফোন। ব্যালকনির গ্রিল ছিল খোলা। তিনতলার ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটের ব্যালকনি ঘোঁষে দাঁড়িয়ে আছে পাশের আবাসনের নধর নারকোলগাছ। মন্ত্রীর মন ছিল কাগজ আর চায়ে। এর মধ্যে সুযোগ বুঝে ধাঁ করে নারকোলগাছ থেকে উড়ে এসে কাকটা মোবাইল ফোনটা তুলে নিয়ে গেল। গেল, গেল, গেল। ধর, ধর। হোম মিনিস্টার চিৎকার করে উঠলেন। তাঁর তীব্র চিংকারে ভয় পেয়ে রান্নাঘর থেকে ছুটে এলেন তাঁর গিন্নি। ছেলেটা তখনও বিছানায় ল্যাদ খাচ্ছিল। সেও তড়াক লাফিয়ে এক ছুটে ব্যালকনিতে। মন্ত্রীর বউমা মনযোগ দিয়ে হাতে নেলপলিশ লাগাচ্ছিল। শ্বশুরের আর্তস্বরে তার হাত থেকে নেলপলিশের শিশিখানা পড়ে গেল। সে সোফা থেকে ঘাড়টা জিরাফের মতো দীর্ঘ করে একবার বোঝার চেষ্টা করল। মন্ত্রীর পাঁচ বছর বয়সের নাতি,— সেও ছুটে এল বাথরুম থেকে হেগো পোঁদে।

সকলেরই চোখ গোল গোল। মাগো! এও কি কেউ কখনো শুনেছে? কাকে চামচ চুরি করে, ছুরি চুরি করে, তা বলে মোবাইল! তুমি এত বেখেয়ালে থাকো কী করে? তোমার চোখের সামনে থেকে কাকটা মোবাইলটা তুলে নিয়ে গেল। মন্ত্রীর বউ আর পাঁচজন বাঙালি বউ থেকে পৃথক নন।

আর নিল তো নিল, একেবারে ধাঁ। বাবা, ইউ আর নো মোর আ সাধারণ পারসেন। তুমি এখন হোম মিনিস্টার।

তাহলে বল এখন লোকের কাছে মুখ দেখানো যাবে? ছেলের কথায় মা জনসমর্থন পান।

মন্ত্রীমশাইয়ের বিরক্ত বোধ হয়। মালটা চুরি হয়ে গেল, আর তোমরা দাঁত ক্যালাচ্ছ! তাঁর মাথা ঠিক থাকে না। আর থাকবেই-বা কী করে? ফোনের মধ্যে কত কী যে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের সব নেতা-নেত্রীদের গোপন হোয়াট্সঅ্যাপ। শিঞ্জিনির কিছু হট ছবি। পানু ভিডিয়ো। অনেকগুলো গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইল্স। সবচেয়ে বড়ো কথা ডকুমেন্ট। প্রচুর ডকুমেন্ট। হায় হায় কারো হাতে পড়লে কী হবে। দাদু, তুমি তো পুলিশ মন্ত্রী। গুলি ছুড়তে পারলে না: নাতিটা মন্ত্রীমশাইয়ের হাত ধরে টান দেয়। বউমা, ও বউমা, দেখছ না তাতান হেগো পৌঁদে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে ছুচিয়ে দাও। মন্ত্রীগিন্নি চিল্লে ওঠেন।

কাকটাকে আর দেখা যাচ্ছে না। নারকোলগাছের লম্বা লম্বা পাতার মধ্যে ওর বাসা। সেখানে সেঁদিয়ে গেছে। মন্ত্রীমশাইয়ের ছেলে তার ফোন থেকে ফোন করে। মন্ত্রীর ফোনটা বেজে যায়। ওঁ জয় জগদীশো হরে। সোয়ামি জয় জগদীশো হরে। ওঁ জয় জগদীশো হরে। ব্যালকনি থেকে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। ফোনের চিৎকারে কাকটা তার পাতাঘেরা বাসার বাইরে আসে।

ওই তো। ওই তো হারামজাদাটা। নামা মালটাকে। হোম মিনিস্টার খেঁকিয়ে ওঠেন।

কিন্তু কে নামাবে? কাকে নামাবে?

তখনই চাঁদুদাকে বলেছিলাম, ও-সব নারকোলগাছ-টাছ হাটাও। তুমি তখন শুনলে না আমার কথা। এবার বোঝো। ছেলে সুযোগ পেয়ে পুরোনো ঝাল ঝাড়ে।

হ্যাঁরে হারামজাদা। তোর চাঁদুদা ফ্ল্যাট তৈরি করতে গিয়ে পাশের বাড়ির নারকোলগাছটা কাটত আর গাছ খুন করার দায়ে আমার পোলিটিক্যাল কেরিয়ারটা মায়ের ভোগে যেত। এই যে ঘরে বসে বেকার ফুটুনি ঝাড়িস, তখন পারতিস ম্যাও সামলাতে। শালা, ছেলে না অপজিশন পার্টির লোক। দাদু, ওই কাকটাকে চিনতে পেরেছ? তাতানের ফের মঞ্চে প্রবেশ। গত মাসে ওর বাসাটাতেই আমরা গুলতি মেরেছিলাম।

কাকপরিবারের সঙ্গে হোম মিনিস্টারের ঝামেলা নতুন নয়। এখন যেখানে আবাসনটা দাঁড়িয়ে আছে একসময় সেখানে পুকুর ছিল। পুকুর পাড়েই অন্য গাছেদের মধ্যে ছিল এই নারকোলগাছটা। প্রমোটার চাঁদুদা রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে ক্রমে পুকুর ভরাট করে বিল্ডিং তোলেন। হোম মিনিস্টার প্রায় জলের দামে বারোশো স্কোয়ার ফুটের একটা ফ্ল্যাট পেয়ে যান। কিন্তু তাঁর পড়শি থেকে যায় নারকোলগাছসমেত কাক পরিবার। অনুমান এই কাক পরিবারটা উদ্বাস্তু নয়। আর তারা উদ্বাস্তু হতেও চায় না। ফলে প্রথম থেকেই দু-তরফেই আকচা-আকচি শুরু হয়। মানুষগুলো উড়ে এসে জুড়ে বসায় শুরু হয় অন্তর্ঘাত। মন্ত্রীমশাইয়ের স্ত্রী ব্যালকনিতে ফুলের টব রাখলে কাকগুলো বিনা প্ররোচনায় উড়ে এসে ফুল ছিঁড়ে নষ্ট করে। রোদে বাসন শুকাতে দিলে চামচ-ছুরি উধাও করে দেয়। কাকের জ্বালাতন থেকে বাঁচতে ব্যালকনিতে লোহার গ্রিল লাগানো হল। ফলে কাকেরা সপরিবারে চিৎকার আর লাফান-ঝাপান শুরু করে দিল। সুযোগ পেলেই চোরাগোপ্তা গেরিলা ফাইট চলতেই থাকল। ফলে দাদু আর নাতি শঠ করে একদিন একটা গুলতি জোগাড় করলেন। ছাদে উঠে এলোপাথাড়ি গুলতি চালিয়ে কাকের কিছু ডিমও ভাঙলেন। এমন রাষ্ট্রবাদী প্রতিঘাতে কাকেরা মুষড়ে পড়েছিল। আজ আবার বেশ কিছুদিন পরে চরম আঘাত।

হোম মিনিস্টারের চিৎকার-চেঁচামিচিতে তাঁর দেহরক্ষীরা ফ্ল্যাটে চলে এল। মন্ত্রী নির্দেশ দিলেন, একটা লোক জোগাড় করতে যে কিনা ভালো গাছি। সে নারকোলগাছে উঠে মোবাইলটা কাকের বাসা থেকে উদ্ধার করে আনবে। কিন্তু শহরে হুট বলতে গাছি পাওয়া যাবে কোথায়? খবর ছুটল ওলা-উবেরের বেগে। শেষে লোকাল থানার বড়োবাবু একটা ক্ষীণজীবী লোককে ধরে নিয়ে এলেন। একে কোথ থেকে পাকড়াও করলেন। মন্ত্রী বেশ অবাক।

আর বলবেন না ছ্যার। থানার লক্-আপে ছিল। ছিঁচকে মাল। তবে ভালো গাছি। বড়োবাবু বুক ফুলিয়ে জবাব দেন। এই কেষ্টা এই নারকোলগাছটার মগডালে উঠে ছ্যারের মোবাইলটা ফিরিয়ে আন।

দেখিস বাবা, সাবধান। কাকগুলো বড়ো খচ্চর। হোম মিনিস্টারের সাবধান বাণী। তবে গাছি লোকটা যতই করিৎকর্মা হোক, কাকের সঙ্গে পেরে ওঠে না। তাকে গাছে উঠতে দেখে প্রথমেই তারা পিরিচ-পিরিচ করে ও ছড়াতে লাগল। লোকটার খালি গায়ে সাদা সাদাটে-হলদে গুয়ে ভরতি হয়ে গেল। লোকটা তবুও অদম্য। তাকে কাছাকাছি উঠে আসতে দেখে কাক পরিবার সাঁ করে নীচে নেমে লোকটার চোখ খুবলে নিতে চাইল। পিঠে নখের আঁচড়ে রক্ত বইয়ে দিল। লোকটা দক্ষ। কিন্তু এমন গেরিলা ফাইটে সে দিশেহারা হয়ে ওপর থেকে ঝুনো নারকোলের মতো ধপ্ করে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। ফলে ফের আর একটা কেলেঙ্কারি। মিডিয়া জানলেই চিত্তির!

ঘণ্টা খানেক ভালো মতো শুশ্রূষা করার পরে লোকটাকে ফের লক্-আপে চালান দেওয়া গেল। পার্টির ছেলেরা এর মধ্যে খবর পেয়ে গেছে। তারা দল বেঁধে এসে নারকোলগাছটাকে গোড়া থেকে বাঁকাতে লাগল। উদ্দেশ্য ঝাঁকুনির চোটে যদি ফোনটা নীচে পড়ে।

শালা, গান্ডু আর কাকে বলে। রাগে ফেটে পড়েন হোম মিনিস্টার। ওরে শুয়োরগুলোকে কেউ বোঝাও অত ওপর থেকে পড়লে আমার ফোনটার আর কিছু থাকবে না।

দাদা, ফায়ার বিগ্রেড ডাকব? পার্টির তরুণ-তুর্কি নেতা কানের কাছে ফিশফিশ করে।

কেন ভাই! হোম মিনিস্টার ঘাবড়ে যান। আমার পোঁদে কি আগুন লেগেছে? না, ছোটোবেলায় টিনটিন কমিক্সে পড়েছিলাম, কুট্টুস এমন তিনতলায় আটকে যেতে ফায়ার বিগ্রেড এসে তাকে উদ্ধার করে। আমাদের কুটুস নেই, মোবাইল আছে।

এই কে আছিস, এই আঁতেলটাকে হাটা তো এখান থেকে।

দেখতে দেখতে সূর্য মাথার ওপরে উঠতে থাকে। নারকোলগাছের ছায়াও ক্রমে ছোটো, আরও ছোটো। কাকগুলো মোবাইল পাহারা দিচ্ছে। বাসা ছেড়ে নড়ার নাম নেই।

স্যার, আমি একটা ডিভাইস ইনভেন্ট করেছি। মন্ত্রীর সেক্রেটারি আই.এ.এস. বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকস ছাত্র ছিলেন। হোম মিনিস্টারের পড়াশুনো খুব বেশি দূর নয়। ফলে লোকটাকে এড়িয়ে চলতেই তিনি পছন্দ করেন। তবুও সেক্রেটারির কথায় তাঁর চোখ চিক্ চিক্ করে ওঠে।

ডিভাইসটা আর কিছুই নয়, দুটো লম্বা বাঁশকে পরপর দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে। তার এক মাথায় বেশ বড়ো একটা মেটালের আঁকশি। অনেকটা মানুষের পাঁচ আঙুলের থাবার মতো। কৌশল হল, বাঁশটা নারকোলগাছে কাকেদের বাসা বরাবর নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর আঁকশি দিয়ে সম্পূর্ণ বাসাটা তুলে আনা হবে।

পরিকল্পনা দেখে সকলেই ফের উৎসাহী হয়ে ওঠে। প্রথমে ছাদ থেকে। তারপর বারান্দা থেকে অনেকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দেখা যায় দুটো বাঁশ জোড় দিয়েও কাকের বাসার কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। ফলে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সাকুল্যে পাঁচটা পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বাঁশ বাঁধা হয়। তারপর কাকের বাসা অবধি যখন আঁকশি পৌঁছাল, ততক্ষণে মড় মড় শব্দ উঠেছে। বাঁশের বাঁধন পলকা হয়ে গেছে। সেক্রেটারি আই.এ.এস. ফলে ফের তিনি ত্রুটিগুলো ঠিক করলেন। আবার আঁকশি ওঠানো গেল। কিন্তু এতদূর থেকে আঁকশিতে বাসা তুলে আনা গেল না।

শালা বিজ্ঞানের ব জানে না বালের সেক্রেটারি হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা পেছন থেকে ফুট কাটে। ডাইনামিক্স পড়েছে! পলিটিক্যাল সায়েন্স আর ফিজিক্স এক হল!

মরার আগেই যার মড়ার খবর করে দেয়, সেই মিডিয়াকূল এর মধ্যে এসে হাজির। আজ বিকেলে হোম মিনিস্টারের একটা প্রেস কনফারেন্স রয়েছে। গত পরশু পুরুলিয়ায় ফসলের দাম না পাওয়া চাষিরা হাই-ওয়ে আটকালে পুলিশের গুলিতে তিনজন মারা যায়। বিরোধীরা হোম মিনিস্টারের রেজিগনেশন দাবি করেছে। আজকে বিকেলে সেই নিয়ে প্রেস কনফারেন্স। তারপর সন্ধ্যেবেলায় টিভি চ্যানেলে প্যানেল ডিসকাশন। আবাসনের ভেতরে দু-চারটে ওবি ভ্যান আর বুম হাতে ছেলেমি মেয়েগুলো হামলে পড়েছে। চলছে লাইভ টেলিকাস্ট। সঙ্গে রানিং কমেন্ট্রি। এরই মধ্যে একটা চ্যানেল আবার স্টুডিয়োতে কিছু আঁতেল জোগাড় করে ঘটনার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবিক, মানসিক এবং যৌবিক বিশ্লেষণ শুরু করেছে। পায়ে পায়ে পার্টির নেতারাও এসে হাজির। এত লোকের জন্য চা-বিস্কুটের ব্যবস্থা করতে প্রমোটার চাদু আর তাঁর সিন্ডিকেটের লোকজনের হাঁপ ধরে গেল।

এভাবে দেখতে দেখতে সূর্য ঢলে পড়ল পশ্চিমে। কিন্তু বিজ্ঞান, ঝাড়-ফুঁক, তন্ত্রমন্ত্রপতঞ্জলিতেও না উদ্ধার হল হোম মিনিস্টারের মোবাইল ফোন। না পারা গেল কাকেদের অবস্থান ধর্মঘট থেকে সরাতে। ফলে, একে একে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ও নিয়ে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা ক্রমে কেটে পড়লেন। হোম মিনিস্টার আজ সকাল থেকেই গৃহবন্দি। মাঝে একবার মুখ্যমন্ত্রীর ফোন এসেছিল। তিনি খিস্তি করে মা-বোন এক করে দিয়েছেন।

ফলে সকলে চলে গেলে মন্ত্রীমশাইয়ের আবাসন ফের স্বাভাবিক হয়ে আসে। সারাদিনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার পরে হোম মিনিস্টার ক্লান্ত, হতাশ, রিক্ত তাঁর বারোশো স্কোয়ার ফুটের ভূগোলে ফিরে আসেন।

সারাদিন এ তাকে, সে একে বিস্তর দোষারোপ করে পরিবারের সকলেই এত ক্লাস্ত আর নতুন কোনো প্রসঙ্গ উঠে আসে না। সারাদিন প্রায় খাওয়া-দাওয়া হয়নি। ছেলে হোটেল থেকে রাতের খাবার নিয়ে আসে। সকলেই আজ তাড়াতাড়ি খেয়ে নেয়। সারাদিন নারকোলগাছ-নারকোলগাছ করে হোম মিনিস্টারের মাথা এখন ঘুরছে।

রাত তখন ঠিক কত জানা নেই। হঠাৎ কাকের চিৎকারে হোম মিনিস্টারের ঘুম ভেঙে যায়। ধড়মড় করে বিছানায় জেগে ওঠেন। নাইট ল্যাম্পের আলোয় দেখেন তাঁর স্ত্রী খুব কুৎসিংভাবে ঘুমিয়ে। কাকটা ব্যালকনি থেকে ডাকছে। তিনি উঠে যান। এ কি সকালে যেখান ফোনটা তুলে নিয়েছিল কাকে, সেটা সেখানেই! কাকটা তাহলে এত কাণ্ড করে শেষমেষ ফেরত দিয়ে গেল। তিনি খুব দ্রুত হাতে তুলে নেন মোবাইল ফোনটা। সুইচ্ড অফ। অন করার জন্য সুইচ টিপতেই অন্ধকার ব্যালকনি আলো ঝলমল করে ওঠে। সেই ঝলমলে আলোর ছিটে লাগে হোম মিনিস্টারের দু-চোখে। কিন্তু এ কী! ফোনটাকে রি-সেট করে দিয়েছে। না আছে মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের সব নেতা-নেত্রীদের গোপন হোয়াট্সঅ্যাপ। শিঞ্জিনির হট ছবিগুলো। পানু ভিডিয়ো। গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস। কিংবা ডকুমেন্ট। মন্ত্রীমশাইয়ের ফোন ফ্যাকটরি রি-সেট হয়ে গেছে। কেবল স্ক্রিন সেভার হিসেবে স্ক্রল হচ্ছে গোটা গোটা বাংলায় লেখা একটা বাক্য— প্রতিটা খুনই আসলে রাজনৈতিক।

Facebook Comments

পছন্দের বই